Purulia Balarampur Hospital: মোবাইলের আলো জ্বেলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসব হচ্ছে! বলরামপুর হাসপাতালের শোচনীয় পরিস্থিতি নিয়ে সরব এলাকার বিজেপি বিধায়ক
Purulia Balarampur Hospital: বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতর অভিযোগ প্রায়শই হাসপাতালে বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা
হাইলাইটস:
- ঠিকাদারদের টাকা বকেয়া থাকায় জেনারেটর কাজ করে না, ফলে সূর্য ডুবতেই তিমিরে ডুবছে হাসপাতাল
- আরও অভিযোগ মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে প্রসূতিদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে
- হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাত
Purulia Balarampur Hospital: সন্ধ্যা হলেই হাসপাতালে ডুবছে তিমিরে। এর জেরে চিকিৎসা করতে যেমন সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তেমনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরও। অভিযোগ, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে প্রসূতিদের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবও হচ্ছে এ ভাবে। তা নিয়েই সরব হয়েছেন বলরামপুরের বিধায়ক।
পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লক হাসপাতালের শোচনীয় পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন সেই এলাকার বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাত। তিনি অভিযোগ তোলেন, প্রায়শই হাসপাতালে বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। ঠিকাদারদের টাকা বকেয়া থাকায় জেনারেটরও কাজ করে না। এই কারণে সন্ধ্যা নামতেই তিমিরে ডুবছে হাসপাতাল। এর জেরে চিকিৎসা করতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তেমনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরাও। অভিযোগ উঠেছে, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে প্রসূতিদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবও হচ্ছে এ ভাবে। তা নিয়েই সরব হয়েছেন বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক। অভিযোগ সামনে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর গুপ্তের অভিযোগ, প্রায় দিনই হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকে। সূর্য ডুবলেই পুরো হাসপাতাল জুড়ে অন্ধকার নেমে আসছে। অভিযোগ উঠছে হাসপাতালে জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও তা সচল ভাবে কাজ করে না। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে জলকষ্ট, অপরিষ্কার শৌচালয় ও বিষাক্ত আগাছায় হাসপাতাল চত্বর ভরে থাকার সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণেশ্বর বাবু।
এই অভিযোগের প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ কুনাল কান্তি দে জানিয়েছেন, “আমাদের গোচরে রয়েছে বিষয়টি। ঠিকা প্রাপ্ত সংস্থার টাকা বকেয়া থাকার কারণে জেনারেটর নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাদেরও এবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোগীদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়।” হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবস্থা আরও উন্নত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
রাজ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।