Jadavpur University: নবান্নে এলেন যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবা-মা, দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে
Jadavpur University: মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে
হাইলাইটস:
- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দানা বেঁধেছে অনেক রহস্য
- গতকাল নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন মৃত ছাত্রের বাবা-মা
- মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁদের ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা এখনও একমাসও কাটেনি। এবার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাইতে গতকাল নদীয়ার বগুলা থেকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করতে আসের মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা। মুখ্যমন্ত্রী আগেও আশ্বাস দিয়েছিলেন দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে।
সূত্রের খবর, স্বপ্নদীপের বাবা-মার সঙ্গে প্রথমে দেখা করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এর আগে নদীয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজে গিয়েছিলেন মৃত ছাত্রের বাড়িতে। গতকাল দুপুর নাগাদ নবান্নে আসেন যাদবপুরের মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপের বাবা এবং মা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বপ্নদীপের বাবা-মা বলেন, তাঁদের সন্তানের মৃত্যুর বিচার চাইতেই নবান্নে এসেছিলেন দিদির কাছে। তাঁরা আরও বলেন, দিদি তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন সঠিক বিচার হবে এবং অপরাধীদেরও উপযুক্ত শাস্তি হবে। সূত্রের খবর, স্বপ্নদীপের বাবা-মায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় স্বপ্নদীপের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর পুলিশি তদন্ত আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাই তিনি এইদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও ডেকেছিলেন নবান্নে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম মৃত পড়ুয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁর নামেই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দু তিনদিনের মধ্যে বোর্ডও বসে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে দায়িত্বও নিয়েছেন স্বপ্নদীপের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার। এদিন ফের একবার স্বপ্নদীপের বাবার গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমাদের ছেলেটাকে একেবারে মেরেই ফেলল। ওর হাত-পা ভেঙে দিলেও তাও তো আমরা অন্তত চোখের দেখা দেখতে পেতাম। এবার সারাজীবন আমরা কী নিয়ে থাকব বলুন?’
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।