Suvendu Adhikari: বারাসাত বিস্ফোরণ কাণ্ডে NIA-এর তদন্ত চেয়ে আজই আদালতে যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
Suvendu Adhikari: এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকার
হাইলাইটস:
- বারাসাত বিস্ফোরণ কাণ্ডে NIA-এর তদন্ত চেয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চলেছেন শুভেন্দু
- এই ঘটনায় তাঁর নিশানায় রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকার
- আজই বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তিনি রওনা দেবেন বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশ্যে
Suvendu Adhikari: রবিবার ছুটির দিনে যখন মত্ত বঙ্গবাসী তখন ঠিক সকাল ১০টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকা৷ সূত্রের খবর, এই ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে একটি অবৈধ বাজি কারখানায়। বারাসতের দত্তপুকুর নীলগঞ্জ এলাকায় সামসুর আলি নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই অবৈধ বাজি কারখানা চালাতো কেরামত আলি নামে এক ব্যক্তি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। আর নিকটবর্তী বাঁশবাগানে বা অন্যত্র বাজি তৈরি করে তা মজুত করে রাখা হল এই সামসুরের বাড়িতে৷
চলতি বছরের ১৬ই মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামের এক অবৈধ বাজি কারখানাতেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেখানেও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অসংখ্য। এবার এগরার পর দত্তপুকুর। প্রশাসনের অজান্তে কীভাবে অবৈধ বাজি কারখানা গড়ে উঠেছে জেলায় জেলায় তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এই ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭ জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এমনকি পাশের বাড়ির চিলেকোঠায়, পেয়ারা গাছের ডালে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। বহু মানুষ বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলে থাকা বাড়ির ছাদও৷ সূত্রের খবর, মূলত ভিন জেলার কারিগরদের নিয়েই চলত এই অবৈধ কাজ৷
দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার NIA তদন্তের আবেদন জানিয়ে আজই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ দাবি, এই বিস্ফোরণের ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনে রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁর একেবারেই আস্থা নেই। তাই NIA-এর তদন্ত হোক, এমনই চান তিনি।
বিজেপি সূত্রে খবর, আজই বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তিনি রওনা দেবেন বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশ্যে। গতকাল দত্তপুকুর যে বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল তা নিজের চোখে দেখতে যাবেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলবেন বিজেপি বিধায়করা। গতকালই নন্দীগ্রাম বিধানসভায় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসক দল এবং রাজ্য সরকারকেই কাঠগোড়ায় তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন এই ঘটনার জন্য।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।