Quality Sleep Vs Quantity Sleep: ৮ ঘন্টা ঘুমের পরেও শরীর ক্লান্ত থাকে, এটাই কারণ
ভালো ঘুম মানে পর্যাপ্ত ঘুম যা শরীর এবং মন উভয়কেই সম্পূর্ণরূপে সতেজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একজন ব্যক্তির প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
Quality Sleep Vs Quantity Sleep: আট ঘন্টা ঘুমের পরেও শরীর কেন ক্লান্ত বোধ করে? আসুন কারণগুলি অনুসন্ধান করা যাক
হাইলাইটস:
- ভালো ঘুম মানে এমন ঘুম যা শরীর এবং মন উভয়কেই সম্পূর্ণরূপে সতেজ করে
- বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একজন ব্যক্তির প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত
- তবে আট ঘন্টা ঘুমানোর পরেও অনেকে ক্লান্ত এবং অলস বোধ করেন, এর কারণ কী?
Quality Sleep Vs Quantity Sleep: বর্তমানের দ্রুতগতির জীবনে, মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামকে তাদের অভ্যাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, কিন্তু একটি বিষয় এখনও অনেকেই উপেক্ষা করে: সেটা হল ভালো ঘুম। ভালো ঘুম মানে পর্যাপ্ত ঘুম যা শরীর এবং মন উভয়কেই সম্পূর্ণরূপে সতেজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একজন ব্যক্তির প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
We’re now on WhatsApp – Click to join
তবে, অনেকেই প্রতিদিন আট ঘন্টা ঘুমানোর পরেও ক্লান্ত, অলস এবং ভারী বোধ করে ঘুম থেকে ওঠেন। এটি কেবল ঘুমের পরিমাণের বিষয় নয়, বরং এর মানের বিষয়। আজকাল লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সমস্যার সাথে লড়াই করছেন। এখন প্রশ্ন হল কেন এটি ঘটছে। আট ঘন্টা ঘুমের পরেও শরীর কেন ক্লান্ত বোধ করে তার কারণগুলি অনুসন্ধান করা যাক।
১. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা – আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট হরমোন থাকে যা ঘুম, ক্ষুধা, মেজাজ এবং শক্তির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই হরমোনগুলি ব্যাহত হয়, বিশেষ করে যখন স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা ব্যাহত হয়, তখন এটি ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। কর্টিসলের মাত্রা খুব বেশি বা খুব কম হলে অপর্যাপ্ত বিশ্রাম হতে পারে। এর ফলে রাতের পূর্ণ ঘুম হতে পারে, কিন্তু শরীর ক্লান্ত থাকে।
২. ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি – ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, পেশী শিথিল করে এবং ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। যখন এই খনিজ পদার্থগুলির কোনওটির ঘাটতি থাকে, তখন ঘন ঘন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বা গভীর ঘুম হয়, যার ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও ক্লান্তি দেখা দেয়।
৩. মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপের অতিরিক্ত ব্যবহার, যার অর্থ নীল আলোর সংস্পর্শে আসা – আজকাল, আমরা সকলেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমাদের মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি। এই স্ক্রিনগুলি থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্কে সংকেত দেয় যে ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়েছে। এটি ঘুম-প্ররোচিত হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন হ্রাস করে, যার ফলে ঘুম আসে, কিন্তু এটি গভীর হয় না এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আমরা ভারী বোধ করি।
৪. প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা – যদি আপনি কখনও রাত ১০টায়, কখনও ১২টায় এবং কখনও সকাল ৬টায় এবং কখনও ৯টায় ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে এটি শরীরের জৈবিক ঘড়িকে ব্যাহত করে, এমনকি ৮ ঘন্টা ঘুমিয়েও শরীর প্রকৃত বিশ্রাম পায় না এবং আপনি সারা দিন ক্লান্ত বোধ করেন।
৫. রাতে ভারী খাবার বা ক্যাফেইনযুক্ত খাবার খাওয়া – চা, কফি, ঠান্ডা পানীয় পান করা, অথবা ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়া আপনার পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে। এর ফলে ঘুমিয়ে পড়তে বা ঘুমিয়ে থাকতে অসুবিধা হতে পারে। এর ফলে সকালে আপনি সতেজ বোধ করতে পারেন না।
৬. ঘুমের ব্যাঘাত – কিছু লোক রাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত, জোরে নাক ডাকা, অথবা ঘন ঘন ঘুম থেকে ওঠার মতো সমস্যা অনুভব করেন। এই সমস্ত কিছু ঘুমের মানের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আপনি এটি অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
Read more:- যদি শান্তিতে ঘুমাতে চান, তাহলে রাতে এই ৭টি খাবার একেবারেই খাবেন না
ঘুমের মান কীভাবে উন্নত করা যায়?
১. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।
২. ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন।
৩. রাতে হালকা খাবার খান এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
৪. ঘুমানোর আগে ধ্যান, যোগব্যায়াম অথবা হালকা স্ট্রেচিং করুন।
৫. দিনের বেলায় কিছু শারীরিক কার্যকলাপ করুন।
৬. যদি আপনি ক্রমাগত ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে আপনার ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পরীক্ষা করে নিন।
জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।







