Entertainment

Haati Haati Paa Paa: বাবা-মেয়ের সম্পর্কের চিরন্তন গল্প নিয়ে কেমন হল চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণীর ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’? রইল রিভিউ

এরইসঙ্গে, উত্থাপন করা হয়েছে অত্যন্ত জরুরি একটি প্রসঙ্গ, যে সবার জীবনেই একজন সঙ্গী দরকার, জীবনের মধ্যাহ্ন অতিক্রান্ত হলেও প্রধান চরিত্রে নজর কেড়েছেন বাবা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এবং মেয়ে রুক্মিণী মৈত্র।

Haati Haati Paa Paa: অবাধ্য বাবাকে কীভাবে সামলালেন রুক্মিণী? জানতে পুরো রিভিউ পড়ুন

হাইলাইটস:

  • বাবা-মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে তৈরি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’
  • ট্রেলার দেখেই বোঝা যায় পারিবারিক একটি ছবি
  • কেমন হল তবে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণীর এই ছবি? জানুন

Haati Haati Paa Paa: বাবা-মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েই তৈরি চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণীর ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। ট্রেলার দেখেই স্পষ্ট পারিবারিক ছবি, মূলত আবেগ নির্ভর। সন্তানের সাথে বাবার বন্ধন, ব্যক্তিগত বেদনা, এবং না-বলা ভালোবাসার কথা নিয়েই তৈরি চিত্রনাট্য (প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার)। পরিচালক অর্ণব মিদ্যার ভাবনায় বয়স্ক বাবা বাড়িতে থাকলে, মেয়ের যেমন মনের অবস্থা হয় এবং অন্যদিকে, মাতৃহারা কন্যার জন্য বাবার যে মনের উচাটন কোন দিকে যায়, সেইসবই তুলে ধরা হয়েছে।

We’re now on WhatsApp- Click to join

এরইসঙ্গে, উত্থাপন করা হয়েছে অত্যন্ত জরুরি একটি প্রসঙ্গ, যে সবার জীবনেই একজন সঙ্গী দরকার, জীবনের মধ্যাহ্ন অতিক্রান্ত হলেও প্রধান চরিত্রে নজর কেড়েছেন বাবা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এবং মেয়ে রুক্মিণী মৈত্র।

We’re now on Telegram- Click to join

ছবির শুরুতে বাবা দীপক চক্রবর্তী (চিরঞ্জিত চক্রবর্তী) এবং মেয়ে মৌ-এর (রুক্মিণী মৈত্র) ছোট ছোট ঝগড়া-হালকা খুনসুটি ‘পিকু’ বা ‘আয় খুকু আয়’ -এর কথা মনে করায়। বাবা-মেয়ের এই সংসারে এক পরিচারিকাও (ঈশিকা দে) রয়েছেন। মেয়ে চাকরি করে ফলে সে বাড়ির বাইরে গেলেও তাঁর বাবাকে সামলায় পরিচারিকা। মাঝে মধ্যেই মেয়ে বলে, বাবার সাথে একবেলা থাকা যায় না! অন্যদিকে বাবা খোঁটা দেয় মেয়ের চাকরি আর উপার্জন নিয়ে। বাবার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে মেয়ে যাতে বাড়ি ছেড়ে গিয়ে তাঁর নিজের সংসার পাতে। তার এক প্রবাসী প্রেমিক রয়েছে পোলুয়া (বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়)। এই করতে করতে বাবা এক দুর্দান্ত পরিকল্পনা করে, কাগজে ছবি সাঁটিয়ে ‘পাত্রী চাই’-এর বিজ্ঞাপন দেয়। ব্যস, ছবির দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই গল্প তখন মোড় নেয় অন্যদিকে।

 

View this post on Instagram

 

 

এরপর আবির্ভাব হয় বনলতা সেনের তথা কুট্টি মাসির (অঞ্জনা বসু)। সে এসে জরিপ করে যে, ‘দীপকের বয়সটা কী কাগজের থেকে একটু বেশি?’ তবুও বন্ধুত্ব হতে সময় লাগে না দুজন প্রবীণ মানুষের। এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে মেয়ের মায়ের জায়গায় অন্য কেউ এলে মেয়ে কি পারবে মেনে নিতে?

Read More- সীমান্তের সমস্যা, খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রণার কথা জানিয়ে কেমন হল ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’?

বাবা তার বান্ধবীকে বলেন, তার শাসন করার একটাই মানুষ সে হল তাঁর মেয়ে। এবার তাকে ছেড়ে এগিয়ে যেতে হবে। এরপর কী ঘটে সেটাই দেখার বিষয়। ছবির বিষয় ভাবনা ভালো কিন্তু প্রয়োগ বেশ দুর্বল। বাবার সাথে মেয়ের ছদ্ম দূরত্ব তৈরির প্লটটা খুব একটা জমে না।

এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button