Ram Mandir: রামমন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর ‘ধ্বজা’ উত্তোলনে সমালোচনা পাকিস্তানের! পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব ভারতের, জবাবে কী জানাল ভারত?
বুধবার এই বক্তব্যের চরম প্রতিবাদ জানায় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মতো একটি দেশ যেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নিত্যদিন দমন-পীড়ন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ, অত্যাচার এবং নৃশংসতা ঘটে, তাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নৈতিক অধিকার নেই মন্তব্য করার।
Ram Mandir: অযোধ্যায় রামমন্দিরের চূড়ায় ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনায় পাল্টা ভারত
হাইলাইটস:
- এদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী
- ভারতের এহেন কার্যকলাপে বয়ে আসে পাকিস্তানের সমালোচনার ঝড়
- এবার পাকিস্তানের এই সমালোচনায় পাল্টা জবাব দিয়ে বসল ভারতও
Ram Mandir: রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনার এবার যোগ্য জবাব দিল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অযোধ্যায় রামমন্দিরের চূড়ায় ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলন ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন কূটনৈতিক তরজা। মঙ্গলবারের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের পরই ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। তাঁদের অভিযোগ, ‘ইসলামফোবিয়া’-কে উস্কে দেয় এই কর্মসূচি এবং ‘অপবিত্র’ করে সংখ্যালঘুদের ঐতিহ্যকে। এর পাশাপাশি, ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদের ধ্বংসের প্রসঙ্গ টেনে ভারত সরকারের ভূমিকারও ইসলামাবাদ সমালোচনা করে। এই বিবৃতি ঘিরে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মহলেও।
We’re now on WhatsApp- Click to join
রামমন্দিরে ধ্বজা উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনায় পাল্টা জবাব ভারতের
বুধবার এই বক্তব্যের চরম প্রতিবাদ জানায় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মতো একটি দেশ যেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নিত্যদিন দমন-পীড়ন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ, অত্যাচার এবং নৃশংসতা ঘটে, তাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নৈতিক অধিকার নেই মন্তব্য করার। তিনি বলেছেন, “ধর্মান্ধ, মৌলবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের অন্যকে জ্ঞান দেওয়া একেবারেই তা মানায় না।” তাঁর কথায়, ভারত তার সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাম্য রক্ষা করেই চলেছে।
We’re now on Telegram- Click to join
রামমন্দিরের চূড়ায় ধর্মধ্বজ উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি ভারতের। জয়সওয়াল স্পষ্ট জানিয়েছেন, অযোধ্যা মন্দির নির্মাণ এবং তার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ ভারতের বিচারব্যবস্থা ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই তা সম্পন্ন হয়েছে। পাকিস্তানের এই প্রক্রিয়া নিয়ে অযথা মন্তব্য করা আসলে তাদের ব্যর্থতা আড়াল করার কৌশল বলেই মত নয়াদিল্লির। তিনি আরও বলেছেন, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে যে রাষ্ট্র ব্যর্থ, নিজেদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড নিয়ে আত্মসমালোচনা করা তাদের উচিত।”
आज अयोध्या नगरी भारत की सांस्कृतिक चेतना के एक और उत्कर्ष-बिंदु की साक्षी बन रही है। श्री राम जन्मभूमि मंदिर के शिखर ध्वजारोहण उत्सव का यह क्षण अद्वितीय और अलौकिक है। सियावर रामचंद्र की जय! https://t.co/4PPt0rEnZy
— Narendra Modi (@narendramodi) November 25, 2025
মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি হাজির ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রামমন্দিরের শীর্ষে ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলনকে “ভারতের আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক” বলেই উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠান ঘিরে অযোধ্যায় বিপুল সংখ্যক ভক্ত এবং দর্শনার্থী ভিড় জমালে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে রয়ে এসেছে উত্তেজনা। রাম মন্দির ইস্যুতে আবারও সেই উত্তপ্ত পরিবেশই সামনে এল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ। তবে নয়াদিল্লির স্পষ্ট বার্তা যে, ভারতের ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিংবা বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করার আগে তাঁদের নিজের অভ্যন্তরীণ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া উচিত পাকিস্তানের।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।







