lifestyle

Sheikh Hasina Jamdani Saree: শেখ হাসিনার ‘জামদানি স্টাইল’ সারা বিশ্বজুড়ে কেন বিখ্যাত?

বিশ্বনেতারা যখন আনুষ্ঠানিক পোশাক পরে যে কোনও উপস্থিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন, তখন শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে এই বার্তা দেন যে সাংস্কৃতিক পরিচয়ই চূড়ান্ত পরিচয়। আন্তর্জাতিক সভা থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন পর্যন্ত, তিনি জামদানিকে তার স্বাক্ষর শৈলীতে পরিণত করেছেন।

Sheikh Hasina Jamdani Saree: এই শাড়িকে আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

হাইলাইটস:

  • বাংলার সমৃদ্ধ বুনন ঐতিহ্যের সবচেয়ে শৈল্পিক রূপ হল ‘জামদানি শাড়ি’
  • জামদানি শাড়ি কূটনীতি এবং স্টাইলের প্রতীক হয়ে ওঠেছে
  • একটি শাড়ি তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে

Sheikh Hasina Jamdani Saree: বিশ্ব রাজনীতিতে, নেতারা প্রায়শই তাদের পোশাকের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেন। কেউ কেউ একটি নির্দিষ্ট রঙ বেছে নেন, আবার কেউ কেউ একটি নির্দিষ্ট প্রতীক। তবে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্ধতিটিকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যান, ফ্যাশনকে কূটনীতির একটি কার্যকর অস্ত্রে পরিণত করেন। তার পোশাকের ধরণ এখন জামদানি কূটনীতি নামে পরিচিত।

We’re now on WhatsApp – Click to join

হ্যাঁ, তার প্রতিটি জামদানি শাড়ি কেবল সুন্দরই নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক বিবৃতিও, যা প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের পরিচয় তার তাঁত, কারিগর এবং ঐতিহ্যের মধ্যে নিহিত। এই প্রতিবেদনে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে একটি সাধারণ শাড়ি বিশ্বের কাছে একটি জাতির পরিচয় তুলে ধরতে কাজ করেছে।

ফ্যাশনকে কূটনীতির অস্ত্র বানানো হয়েছে

বিশ্বনেতারা যখন আনুষ্ঠানিক পোশাক পরে যে কোনও উপস্থিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন, তখন শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে এই বার্তা দেন যে সাংস্কৃতিক পরিচয়ই চূড়ান্ত পরিচয়। আন্তর্জাতিক সভা থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন পর্যন্ত, তিনি জামদানিকে তার স্বাক্ষর শৈলীতে পরিণত করেছেন। তার প্রতিটি উপস্থিতি একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে, যা স্পষ্ট বার্তা দেয় যে জামদানি আর কেবল একটি শাড়ি নয়, বরং বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং কারুশিল্পের একটি বিশ্বব্যাপী প্রতীক।

জামদানির ভাগ্য বদলে দেওয়া বিশেষ অনুষ্ঠানগুলি হল 

• ২০১৪ সালে, যখন তৎকালীন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকা সফরে এসেছিলেন, তখন তিনি হাসিনাকে একটি সিল্কের শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনাও প্রতিদানে একটি জামদানি শাড়ি দিয়েছিলেন – একটি ছোট্ট মুহূর্ত যা ফ্যাশন কূটনীতির এক প্রধান উদাহরণ হয়ে ওঠে।

• ২০১৫ সালে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করতে দিল্লি সফরের সময় শেখ হাসিনা একটি সাদা-ধূসর রঙের জামদানি শাড়ি পরেছিলেন, যা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

• ২০১৯ সালে বাকুতে অনুষ্ঠিত ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জামদানি এত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্থান করে নেয়। হাসিনার ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিদেশী প্রতিনিধিদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিষয় ছিল।

• গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত COP26 জলবায়ু সম্মেলনে (২০২১) হাসিনার নীল-ধূসর রঙের জামদানি শাড়ির ছবি বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, ফ্যাশন সমালোচকরা এটিকে “টেকসই তাঁতের শক্তি” হিসেবে প্রশংসা করেন।

• ২০২২ সালে তার চার দিনের ভারত সফরের সময়, তার প্রতিটি লুক ব্যবসায়ী নেতা এবং ডিজাইনারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এই সময়কালকে জামদানির বিশ্বব্যাপী উত্থানের একটি মোড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

• G20 শীর্ষ সম্মেলনে (2023), ল্যাভেন্ডার ঢাকাই জামদানি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এটি ছিল সেই মুহূর্ত যখন জামদানি কেবল একটি শাড়ি নয়, বরং একটি কূটনৈতিক স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে ওঠে।

সুতোয় বোনা একটি সংস্কৃতি

জামদানির শেকড় ঢাকার প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো বুনন ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। এর বৈশিষ্ট্য হল “স্বচ্ছ বুনন” কৌশল, যেখানে প্রতিটি ফুল, পাতা এবং নকশা সূক্ষ্ম মসলিনের উপর হাতে বোনা হয়। এই কারণেই একটি শাড়ি তৈরির একটি ইতিহাস রয়েছে যা মাসের পর মাস স্থায়ী হয়। ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ই তাদের নিজস্ব শৈলী – ঢাকাই জামদানি এবং বাংলার জামদানি এগিয়ে নিয়ে গেছে, তাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র পরিচয় নিয়ে।

Read more:- জামদামি শাড়িতে নজর কাড়ল পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির, তবে এই শাড়ি নিয়ে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে

শিল্পের সুরক্ষা এবং কারিগরদের প্রতি শ্রদ্ধা

শেখ হাসিনার উদ্যোগের ফলে জামদানির চাহিদা বৃদ্ধি পায়, রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং কারিগরদের কাছে নতুন স্বীকৃতি আসে। সরকার জিআই ট্যাগ এবং মান নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে এর সত্যতা রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয়। আজ, অনেক তরুণ ডিজাইনার আধুনিক সিলুয়েটে জামদানিকে অভিযোজিত করে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বাজারে জামদানিকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।

এই রকম ফ্যাশন দুনিয়ার প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button