Bangla News

Saudi Arabia Bus Accident: সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রায় ৪২ জন ভারতীয় বাস দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, তাঁদের মৃতদেহ কীভাবে ফেরত পাঠানো হবে? প্রোটোকল কী রয়েছে?

সৌদি আরব থেকে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু নথিপত্রের প্রয়োজন হয়। স্থানীয় হাসপাতাল একটি অফিসিয়াল মেডিকেল এবং ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান করে এবং পুলিশ একটি দুর্ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করে।

Saudi Arabia Bus Accident: সৌদি আরবের মক্কা থেকে মদিনাগামী একটি ওমরাহ যাত্রীবাহী বাসের সাথে ডিজেল ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়, এই দুর্ঘটনায় ৪২ জন ভারতীয় ওমরাহ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে

হাইলাইটস:

  • ১৭ই নভেম্বর মক্কা থেকে মদিনাগামী একটি ওমরাহ যাত্রীবাহী বাসের সাথে একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়
  • দুর্ঘটনায় ৪২ জন ভারতীয় তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে
  • মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য কী কী নিয়ম রয়েছে একবার দেখে নেওয়া যাক

Saudi Arabia Bus Accident: সৌদি আরবে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৭ই নভেম্বর, আজ ভারতীয় সময় আনুমানিক ১:৩০ মিনিটে, মক্কা থেকে মদিনাগামী একটি ওমরাহ যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুফরিহাটের কাছে একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় ৪২ জন ভারতীয় তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য কী কী নিয়ম রয়েছে পর্যালোচনা করা যাক।

We’re now on WhatsApp – Click to join

ভারতীয় দূতাবাসের ভূমিকা 

যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে, তাহলে জেদ্দায় অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট অথবা রিয়াদের দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়। তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো সৌদি পুলিশ, হাসপাতাল এবং স্থানীয় বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন করা। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং ভারতে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে।

মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

সৌদি আরব থেকে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু নথিপত্রের প্রয়োজন হয়। স্থানীয় হাসপাতাল একটি অফিসিয়াল মেডিকেল এবং ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান করে এবং পুলিশ একটি দুর্ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করে। যেহেতু এই ঘটনাটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু জড়িত, তাই পুলিশের তদন্ত এবং ফরেনসিক ক্লিয়ারেন্সে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে। দূতাবাস মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে একটি সম্মতিপত্রও সংগ্রহ করে, যাতে বলা হয় যে তারা মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনতে চান নাকি সৌদি আরবে কবর দিতে চান। পরিবারের সিদ্ধান্ত রেকর্ড হয়ে গেলে, মৃত ব্যক্তির পাসপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয় এবং সমস্ত নথি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।

অনাপত্তি সনদ 

এরপর ভারতীয় দূতাবাস একটি অনাপত্তি সনদ (NOC) জারি করে। এটি মৃতদেহ পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি নথি। সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা যাচাইয়ের পর সৌদি কর্তৃপক্ষও তাদের নিজস্ব অনাপত্তি সনদ (NOC) প্রদান করে।

We’re now on Telegram – Click to join

দেহের প্রস্তুতি এবং পরিবহন

সৌদি আরব যথাযথভাবে দেহ সংরক্ষণের পরই আন্তর্জাতিক প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয়। মৃতদেহটি সাবধানে সংরক্ষণ করা হয় এবং বিমান পরিবহনের জন্য তৈরি একটি বিশেষ কফিনে সিল করা হয়। মৃতদেহ সংরক্ষণ এবং কফিন সিল করা হয়ে গেলে, দূতাবাস বিমান সংস্থা, কাস্টমস এবং অভিবাসন বিভাগের সাথে সমন্বয় করে বিমান কার্গোর মাধ্যমে মৃতদেহ বুকিং করে। বেশিরভাগ মৃতদেহ ভুক্তভোগীর নিজ শহরের নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবহন করা হয়।

খরচ, বীমা এবং দূতাবাস সহায়তা 

যদি মৃত ব্যক্তির ভ্রমণ বীমা বা বিশেষ ওমরাহ বীমা থাকে, তাহলে মৃতদেহের পরিবহন এবং সংরক্ষণের খরচ বীমা কোম্পানি বহন করবে। যেসব ক্ষেত্রে পরিবারের আর্থিক সম্পদের অভাব রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয় সম্প্রদায় কল্যাণ তহবিলের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করতে পারে।

Read more:- অন্ধ্রপ্রদেশে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! বাইকের সাথে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন, ২০ জন নিহত

ভারতে দেহের পুনরুদ্ধার

বিমান অবতরণের সাথে সাথে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিকটতম আত্মীয়দের বৈধ পরিচয়পত্র এবং সম্মতির কাগজপত্র সহ উপস্থিত হতে বলে। কাগজপত্র সম্পন্ন হওয়ার পরে, মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এরপর স্থানীয়ভাবে মৃত্যু নিবন্ধন করে এবং পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান করতে পারে।

দেশ দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button