Zubeen Garg Death Case: জুবিন মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়, এবার গায়কের মৃত্যুতে দুই দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার অসম পুলিশের
জুবিনের দুই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নন্দেশ্বর বোরা এবং পরেশ বৈশ্যকে গ্রেপ্তার করেছে অসম পুলিশ। সম্প্রতি গায়কের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে নেমে বড় তথ্য হাতে আসে অসম পুলিশের।
Zubeen Garg Death Case: জুবিন মৃত্যু এবার চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে, এই মামলায় দুই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার!
হাইলাইটস:
- গায়ক জুবিনের মৃত্যু এবার নতুনদিকে মোড় নিয়েছে
- সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে রহস্যের আঁচ পেল অসম পুলিশ
- গায়কের মৃত্যু মামলায় এদিন দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে
Zubeen Garg Death Case: সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যু মামলায় রীতিমতো একের পর এক নয়া মোড় সামনে এসেই চলেছে। ঠিক তেমনই বেড়ে চলেছে একের পর এক গ্রেপ্তারির সংখ্যা। গতকাল সকালেই এই মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার জুবিনের দুই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে অসম পুলিশ। কিন্তু তাঁদের গ্রেপ্তারির নৈপথ্যে কী কারণ?
We’re now on WhatsApp- Click to join
জুবিনের দুই দেহরক্ষী গ্রেপ্তার
জুবিনের দুই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নন্দেশ্বর বোরা এবং পরেশ বৈশ্যকে গ্রেপ্তার করেছে অসম পুলিশ। সম্প্রতি গায়কের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে নেমে বড় তথ্য হাতে আসে অসম পুলিশের। তদন্তে উঠে এসেছে, সম্প্রতি গায়কের একজন দেহরক্ষীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখ এবং অপরজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। তাঁদের বেতনের চেয়ে এই টাকার অঙ্ক অনেকটাই বেশি। জানা গিয়েছে, গায়ক জুবিনের মৃত্যুর ঠিক কিছুদিন আগেই লেনদেন হয় এই অর্থের।
We’re now on Telegram- Click to join
কারা কারা গ্রেপ্তার হয়েছেন?
অসম পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় এখনও অবধি সন্দীপন গর্গ ছাড়াও আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে কনসার্টের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, ব্যান্ডের সদস্য শেখরজ্যোতি গোস্বামী, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং জুবিনের সহ গায়িকা অমৃতপ্রভ মহন্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হল এই মামলায়।
View this post on Instagram
ময়না তদন্তের রিপোর্ট
সিঙ্গাপুরের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুবিনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, গায়কের নাকি জলেই ভয় ছিল। প্রশ্ন ওঠে যে, তাহলে তা সত্ত্বেও কেন লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই জলে নামলেন গায়ক? উপরন্তু এও অভিযোগ উঠেছে যে, গায়ক জুবিনকে জলে ডুবে যেতে দেখেও নাকি তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি।
সম্প্রতি, জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখরজ্যোতি গোস্বামী সেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, যখন ইয়টে করে জুবিনকে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন জুবিনের ম্যানেজার নিজেই চালককে সরিয়ে নিজে উত্তাল সমুদ্রে ইয়ট চালাতে শুরু করেন। গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা নাকি অসম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মদ দিতে বারণ করে আর নিজেই তা সাপ্লাই করেছিলেন। শেখরজ্যোতি গোস্বামী আরও বলেছেন, যখন গায়কের নিঃশ্বাস আটকে আসছিল তখন নাকি গায়কের ম্যানেজার বলছিলেন যে, “যেতে দাও যেতে দাও”। এদিকে গায়কের মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠতে শুরু করলেও জুবিনের ম্যানেজার বলেছিলেন, “ওটা অ্যাসিড থেকে হচ্ছে। এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই।” চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাও তিনি করেননি বলেই অভিযোগ করেছেন শেখরজ্যোতি গোস্বামী।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।