lifestyle

Foods for long and thick hair: লম্বা এবং ঘন চুল পেতে চাইলে অবশ্যই এই ৫টি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান, সব চিন্তা দূর হবে

যদি খাবারে কিছু ভিটামিনের ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রথম প্রভাব চুলের উপর দেখা যায় - যেমন চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া এবং বৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়া। সুখবর হলো সঠিক ভিটামিন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি আপনার চুলকে আবার সুস্থ ও মজবুত করতে পারবেন।

Foods for long and thick hair: এই ৫টি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার চুলকে ঘন, লম্বা এবং উজ্জ্বল করবে, আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন

হাইলাইটস:

  • ব্যস্ত জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপের কারণে চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে
  • অনেক সময় শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে চুল পড়া, ভেঙে যাওয়া বা পাতলা হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়
  • বিশেষ করে কিছু ভিটামিনের অভাব, যা চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে বড় ভূমিকা পালন করে

Foods for long and thick hair: আমরা সকলেই চাই আমাদের চুল লম্বা, ঘন এবং উজ্জ্বল হোক। কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপের কারণে চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। অনেক সময় চুল পড়া, ভেঙে যাওয়া বা পাতলা হওয়ার কারণ কেবল বাহ্যিক যত্ন নয়, বরং শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবও। বিশেষ করে ভিটামিন, যা চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে বড় ভূমিকা পালন করে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

যদি খাবারে কিছু ভিটামিনের ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রথম প্রভাব চুলের উপর দেখা যায় – যেমন চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া এবং বৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়া। সুখবর হলো সঠিক ভিটামিন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি আপনার চুলকে আবার সুস্থ ও মজবুত করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই এমন ৫টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন সম্পর্কে।

বায়োটিন হেয়ার প্রোটিন বুস্টার

বায়োটিন হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিটামিন যা চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি কেরাটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুল, ত্বক এবং নখের প্রধান প্রোটিন। বায়োটিনের অভাবের ফলে চুল দুর্বল, শুষ্ক এবং ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।

We’re now on Telegram – Click to join

 

View this post on Instagram

 

A post shared by medicos (@medicos2624)

ডিম, বাদাম, স্যামন এবং মিষ্টি আলু থেকে আপনি বায়োটিন পেতে পারেন। যদি আপনার খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োটিন না পান, তাহলে সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করা যেতে পারে। নিয়মিত সেবন মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে আপনার চুলের শক্তি এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

নতুন চুলের জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য

ভিটামিন ডি-এর অভাব প্রায়শই চুল পড়া এবং টাক পড়ার (Alopecia) কারণ হতে পারে। এটি নতুন চুলের ফলিকল তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুলকে ঘন এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ভিটামিন ডি-এর সর্বোত্তম উৎস হল সূর্যের আলো। প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট রোদে বসে থাকা খুবই উপকারী। এ ছাড়া, আপনি চর্বিযুক্ত মাছ, মাশরুম এবং দুগ্ধজাত খাবার থেকেও এটি পেতে পারেন। যদি ঘাটতি তীব্র হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরিপূরক গ্রহণ করাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

ভিটামিন ই স্ক্যাল্প স্পা চিকিৎসা

ভিটামিন ই একটি চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শিকড় পর্যন্ত পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং পুরানো ক্ষতি মেরামত করে। বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, পালং শাক এবং অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস। আপনি যদি চান, তাহলে আপনি মাথার ত্বকে ভিটামিন ই তেলও ব্যবহার করতে পারেন, তবে এটি খাদ্যতালিকা থেকে গ্রহণ করা আরও কার্যকর।

উজ্জ্বলতা এবং শক্তির জন্য ভিটামিন এ

শরীরের প্রতিটি কোষের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজন, এবং এর মধ্যে চুলের কোষও অন্তর্ভুক্ত। এটি সিবাম নামক একটি প্রাকৃতিক তেল তৈরিতে সাহায্য করে, যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং চুলকে উজ্জ্বল রাখে। গাজর, রাঙালু, পালং শাক ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। তবে মনে রাখবেন, এর অত্যধিক ব্যবহার চুল পড়ার কারণও হতে পারে। তাই এটি সুষম পরিমাণে গ্রহণ করুন।

কোলাজেন এবং শক্তিশালী চুলের জন্য ভিটামিন সি

ভিটামিন সি কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, চুলের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুলকে শক্তিশালী করে। এটি আয়রন শোষণেও সাহায্য করে, যা চুল পড়া রোধ করে। কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ক্যাপসিকাম এবং ব্রোকলি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যেহেতু শরীর এটি সংরক্ষণ করে না, তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Read more:- শুষ্ক-প্রাণহীন চুলের সমস্যার সমাধানে বাড়িতেই তৈরি করে নিন কেরাটিন হেয়ার মাস্ক, সিল্কি হবে চুল

ভিটামিন কিভাবে ব্যবহার করবেন?

পরিপূরক সাহায্য করতে পারে, তবে সর্বোত্তম উপায় হল প্রাকৃতিক খাবার থেকে এগুলি গ্রহণ করা। আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, তাজা ফল, ডিম, মাছ এবং বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন। যদি চুলের সমস্যা এখনও অব্যাহত থাকে, তাহলে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করান এবং সঠিক পরিপূরক গ্রহণ করুন। ধৈর্য ধরাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ চুল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মাথার ত্বকের যত্ন এবং মানসিক চাপ কমানো কয়েক মাসের মধ্যে ভালো ফলাফল দেবে।

জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button