Home Remedies for Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন? ঘরোয়াভাবে এই রোগ নিরাময়ের কার্যকর উপায়গুলি জেনে নিন
বেশিরভাগ মানুষ এটিকে স্বাভাবিক ভেবে উপেক্ষা করে, কিন্তু যদি সময়মতো এর যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে এটি লিভার সিরোসিস, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
Home Remedies for Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারের ঘরোয়া প্রতিকার এবং প্রতিরোধের সহজ উপায় জেনে নিন
হাইলাইটস:
- ফ্যাটি লিভারকে স্বাভাবিক সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করবেন না
- এটি লিভার সিরোসিস এবং হৃদরোগের মতো গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে
- কিভাবে এই রোগকে প্রতিরোধ করবেন এবং এর ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নিন
Home Remedies for Fatty Liver: অনিয়মিত জীবনযাত্রা লিভারের সমস্যাকে এখন সাধারণ করে তুলেছে। ফ্যাটি লিভার, অর্থাৎ লিভারে চর্বি জমা, এমন একটি সমস্যা যা ধীরে ধীরে গুরুতর রোগের রূপ নিতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ এটিকে স্বাভাবিক ভেবে উপেক্ষা করে, কিন্তু যদি সময়মতো এর যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে এটি লিভার সিরোসিস, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সঠিক সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে ফ্যাটি লিভার সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর লক্ষণ এবং সমাধান খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন কমান
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্থূলতা, বিশেষ করে পেটের চর্বি, লিভারে চর্বি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটা, সাইকেল চালানো বা যোগব্যায়াম করা উচিত।
View this post on Instagram
চিনি এবং ফলের রস থেকে দূরে থাকুন
চিনি এবং প্যাকেটজাত ফলের রস লিভারে চর্বি জমার কারণ হয়। তাই মিষ্টি পানীয়, বেকারির খাবার এবং সাদা পাউরুটির মতো পরিশোধিত খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, ঘরে তৈরি খাবার, সবুজ শাকসবজি এবং গোটা শস্য খান।
View this post on Instagram
হলুদ এবং গ্রিন টি
হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন একটি চমৎকার প্রদাহ-বিরোধী উপাদান, যা লিভারের প্রদাহ কমায়। প্রতিদিন সকালে গরম জলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করা উপকারী। অন্যদিকে, গ্রিন টি-তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লিভারে জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
We’re now on Telegram – Click to join
ভাজা খাবার
ঘি, মাখন, রেড মিট এবং ভাজা খাবার লিভারের উপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করে। চিকিৎসকরা খাদ্যতালিকা থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দেওয়ার এবং অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আমলকি এবং গুলঞ্চ লতার মতো আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
আমলকি লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং ফ্যাট মেটাবলিজম উন্নত করে। আপনি এর গুঁড়োও খেতে পারেন। অন্যদিকে, গুলঞ্চ লতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং লিভারকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ফ্যাটি লিভার কোনও অসাধ্য রোগ নয়। আপনার খাদ্যাভ্যাস, রুটিন এবং জীবনযাত্রার প্রতি একটু মনোযোগ দিলে, এটি ঘরে বসেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একটি সুস্থ জীবনধারা হল লিভারের আসল ঔষধ। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য এবং কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার গ্রহণের মাধ্যমে, আপনি ওষুধ ছাড়াই লিভারকে সুস্থ রাখতে পারেন।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।