Nepal Violence: উত্তপ্ত নেপাল, বাড়িতে নেপালে ঝলসে মৃত্যু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর! বিক্ষোভের সময় জ্বলন্ত বাড়িতে আটক পড়েই প্রাণ হারিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী
এদিন নেপালে গণবিদ্রোহের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবনেও ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এরপর একে একে নেপালের প্রাক্তন ও বর্তমানের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতারা।
Nepal Violence: অশান্ত নেপাল, নেপালে নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি লক্ষ্য করে আগুন আম-জনতাদের
হাইলাইটস:
- সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরই উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ দেখায় আম জনতারা
- বিক্ষোভের জেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন কেপি শর্মা ওলি
- বিক্ষোভ আরও চরম আকার ধারণ করে নেপালের নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবনে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন
Nepal Violence: ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকরের। গণবিক্ষোভের সময়ে তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর সূত্রের। ভিতরে আটকে পড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী। পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি বলেই খবর।
We’re now on WhatsApp- Click to join
এবার বাংলা দেশের পর উত্তপ্ত হয়েছে নেপাল
এদিন নেপালে গণবিদ্রোহের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবনেও ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এরপর একে একে নেপালের প্রাক্তন ও বর্তমানের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতারা। রাস্তার মাঝে ওই দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে তাড়া করা হয়। রাস্তায় ফেলে করা হয় মারধরও। রেহাই পেলেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ এবং তাঁর পরিবারও।
View this post on Instagram
গতকাল রাজধানী কাঠমান্ডুর ডাল্লু এলাকায় তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যলক্ষ্মী। সূত্রের দাবি, তাঁকে ভিতরেই আটকে রেখে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে পোড়া ক্ষত নিয়েই তাঁকে ভর্তি করানো হয় কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু ঘটে তাঁর।
We’re now on Telegram- Click to join
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নেপাল সরকার। তাকে কেন্দ্র করেই দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আগুন। পথে নামে নেপালের জেন জেড ছাত্র-যুবরা। সোমবারই সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে মৃত্যু হয় ১৯ জনের। এরপর বিক্ষোভ আরও বেড়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। রাতে তড়িঘড়ি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হয় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকার। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। গতকাল সকাল থেকে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয় ওলির পদত্যাগের দাবিতে। ওলি ইস্তফা দেন বেলার দিকেই। মনে করা হয়, দেশ ছেড়ে চলে যাবেন তিনি। হয়তো আশ্রয় নিতে পারেন দুবাইতে। তবে এখনও সে বিষয়ে স্পষ্ট করে জানা যায়নি। ওলির পদত্যাগপত্র গ্রহণের পরই ইস্তফা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতিও।
গতকাল সকাল থেকে নেপালে অনেক নেতা-মন্ত্রী এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা বিক্ষোভকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। নেপালের পার্লামেন্ট ভবন ও সুপ্রিম কোর্টেও তাণ্ডব চালিয়েছে আম জনতা।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।