Durga Puja 2025: নৌকা বা গজরাজে ‘চড়ে’ নয়, কলকাতার এই ৩ বনেদি বাড়ির পুজোয় প্রতি বছর মা দুর্গা আসেন প্রবাদে ‘চড়ে’
এক চলতি প্রবাদ হল, মা মর্ত্যে এসে পোশাক পরে সাজেন দাঁ বাড়িতে। আহার করেন কুমোরটুলির মিত্র বাড়িতে। রাত্রি জেগে নাচ দেখেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে। কলকাতার বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো বলতে যে নামগুলি প্রথম সারিতে উঠে আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল এই তিনটি বনেদি পুজো।
Durga Puja 2025: বনেদি বাড়ির পুজো আজও সারা বাংলা জুড়ে সমান জনপ্রিয়
হাইলাইটস:
- প্রতি বছর নৌকা বা গজে চড়ে দেবী দুর্গার আগমন হয়
- কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রবাদে চড়েও দেবী আসেন
- কলকাতার এই ৩ বনেদি বাড়ির পুজো কাহিনিও অনেকটা তেমনই
Durga Puja 2025: বাঙালির প্রাণের উৎসব হল দুর্গাপুজো। তাই এই উৎসব নিয়ে প্রাচীনকাল থেকে নানা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। তেমনই এক চলতি প্রবাদ হল, মা মর্ত্যে এসে পোশাক পরে সাজেন দাঁ বাড়িতে। আহার করেন কুমোরটুলির মিত্র বাড়িতে। রাত্রি জেগে নাচ দেখেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে। কলকাতার বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো বলতে যে নামগুলি প্রথম সারিতে উঠে আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল এই তিনটি বনেদি পুজো।
View this post on Instagram
We’re now on WhatsApp – Click to join
শিবকৃষ্ণ দাঁয়ের পুজো
কলকাতার জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ পরিবারে মা দুর্গার পুজো হয়ে আসছে ১৮৪০ সাল থেকে। এই পরিবারের অন্যতম সদস্য গোকুলচন্দ্র দাঁয়ের উদ্যোগেই হয় প্রথম পুজো। তিনি ছিলেন বর্ধমানের সাতগাছিয়ার আদি বাসিন্দা। সেখানে এখনও রয়েছে মায়ের মন্দির ও মূর্তি। এই গোকুলচন্দ্র দাঁয়ের দত্তক পুত্রই হলেন শিবকৃষ্ণ দাঁ। আসলে তার আমলেই দাঁ পরিবারের সুখসমৃদ্ধি ফুলে ফেঁপে ওঠে। পরিবারের লোহা, কয়লা আর হার্ডওয়ারের ব্যবসায় যা লাভ হতে শুরু করেছিল তার প্রভাব পড়েছিল দুর্গাপুজোতেও। দাঁ বাড়ি অর্থাৎ শিবকৃষ্ণ দাঁয়ের পুজোয় দেবী দুর্গা নজর কাড়তেন তাঁর রাজকীয় বেশে। আর তখন থেকেই এই বাড়ির পুজো আজও কিংবদন্তী হয়েই রয়ে গেছে।
We’re now on Telegram – Click to join
অভয়চরণ মিত্র বাড়িতে পুজো
কুমোরটুলির অভয়চরণ মিত্র বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয় প্রায় ২০০ বছর আগে। রাধাকৃষ্ণ মিত্রর হাত ধরে শুরু হয় এই বাড়ির প্রথম পুজোর। রথের দিন কাঠামো পুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় কলকাতার অন্যতম বনেদি বাড়ির প্রতিমা নির্মাণ। এখানে ডাকের সাজে সজ্জিত হন মা দুর্গা। এদিকে মাখনের নৈবেদ্য হল অভয়চরণ মিত্র বাড়ির ভোগের প্রধান আকর্ষণ। প্রতি বছর মিত্র বাড়িতে ৩০-৫০ মণ চালের নৈবেদ্য থাকে, যা এই বাড়়িকে উন্নীত করেছিল প্রবাদে।
Read more:-
শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো
View this post on Instagram
অন্যদিকে শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো শুরুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের পাতায় উল্লিখিত পলাশীর যুদ্ধ। সেই সময় যুদ্ধে জয়লাভ করে ব্রিটিশরা বিজয় উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করতে বলেছিলেন রাজা নবকৃষ্ণ দেবকে। আর এই শোভাবাজার রাজবাড়িতেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। তখন থেকেই শুরু হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রসঙ্গত এই রাজবাড়ির দুর্গাপুজোতেই প্রথম বাঈজি নাচ হয়। তাই প্রবাদে বলা হয়, দেবী দুর্গা শোভাবাজার রাজবাড়িতে রাত জেগে নাচ দেখেন।
এই রকম দুর্গাপুজো সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।