Noida Dowry Murder Case: বিউটি পার্লার নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা, নিকি ভাটির যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর আসল কারণ কি ছিল?
তবে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চিন্তাভাবনায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। তিন বছর আগে, নিকি তার স্বামী বিপিনের চরিত্রহীনতার কথা জানতে পারে। নিকির ছেলের বয়স পাঁচ বছর। সে চেয়েছিল ছেলে যেন বাবার চরিত্রহীনতার দ্বারা প্রভাবিত না হয়।
Noida Dowry Murder Case: নিকির মৃত্যুর আসল কারণ ছিল তার শ্বশুরবাড়ির রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা
হাইলাইটস:
- বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা শুরু হয়েছিল নির্যাতন
- নিকির স্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হচ্ছিলেন
- নিকির শ্বশুরবাড়ির রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে
Noida Dowry Murder Case: নিকি ভাটির যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর আসল কারণ ছিল তার শ্বশুরবাড়ির রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা এবং সংকীর্ণ মানসিকতা। বিয়ের পর নিকি ছয় বছর ধরে তার শিক্ষা এবং দক্ষতা গোপন রেখেছিলেন। তিনি তার স্বামী, শাশুড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির সকলের মনপ্রাণ দিয়ে সেবা করেছিলেন। এই আশায় যে তার প্রতি তাদের অনুভূতি বদলে যাবে। তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বিবেচনা করার পরিবর্তে, তিনি কন্যার মতো ভালোবাসা, স্নেহ এবং আশীর্বাদ পাবেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
তবে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চিন্তাভাবনায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। তিন বছর আগে, নিকি তার স্বামী বিপিনের চরিত্রহীনতার কথা জানতে পারে। নিকির ছেলের বয়স পাঁচ বছর। সে চেয়েছিল ছেলে যেন বাবার চরিত্রহীনতার দ্বারা প্রভাবিত না হয়। এই চিন্তা মাথায় রেখে, তিন বছর আগে তিনি তার স্বামীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর থেকেই নিকির পর নির্যাতন চলে।
নিকির শিক্ষাগত যোগ্যতা
রূপবানের বাসিন্দা ভিখারি সিং পায়ালা তার দুই মেয়ে নিকি এবং কাঞ্চনকে শুধু পড়াশোনা নয়, বিউটিশিয়ান কোর্সও শিখিয়েছিলেন। বিয়ের পর, দুই মেয়েরই একই বাড়িতে বিয়ে হয়। নিকির স্বামী বিপিন এবং কাঞ্চনের স্বামী রোহিত তাদের বাবার মুদি দোকান থেকে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতেন।
View this post on Instagram
স্বামীদের উপর বোঝা না হওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়ে দুই বোন স্বনির্ভরতার দিকে এক পা বাড়ায়। তারা বাড়িতেই একটি বিউটি পার্লার খুলেছিল। দক্ষতা কাজে লেগেছিল, এলাকায় দুই বোনের কাজ প্রশংসিত হয়েছিল। পুরো এলাকায়, বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান যেখানেই থাকুক না কেন, মহিলারা নিকির বিউটি পার্লারে পরিষেবা পেতে আসত।
নিকি টাকা আয় করার পর তার স্বামী বিপিনকে টাকা দিতেন। তিনি তা মাদক ও নারীদের পেছনে খরচ করতেন। তিন বছর আগে, যখন তার চরিত্রহীনতা কথা প্রকাশ্যে আসে, নিকি বিপিনকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে বিপিন প্রায়দিনই মদ খেয়ে এসে নিকিকে মারধর করতে শুরু করেন।
স্বামীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হতেই শাশুড়ি বিষ ছিটাতে শুরু করলেন
শাশুড়ি দয়া ভাটিও নিকির উপর রেগেছিলেন। স্বামী বিপিনের সাথে নিকির সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সাথে সাথেই তিনি নিকির বিরুদ্ধে বিষ ছিটাতে শুরু করেন। মায়ের কথা শুনে নিকিকে বিপিন আরও মারধর করত।
We’re now on Telegram – Click to join
সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের মাধ্যম করা হয়েছিল
নিকি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ অ্যাক্টিভ ছিলেন। এর ফলে, তার বিউটি পার্লারটি দ্রুত আশেপাশের এলাকায় তার ভালো কাজের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ইনস্টাগ্রামে নিকির প্রায় ৬৪ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। নিকির অ্যাকাউন্টের সমস্ত ছবি এবং ভিডিও এর সাথে সম্পর্কিত।
এমন কোনও ছবি বা ভিডিও নেই যেখানে কোনও ধরণের অশ্লীলতা দেখানো হচ্ছে। এর পরেও, বিপিন তাকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল ছবি এবং রিল পোস্ট করার অভিযোগে মারধর করত। বিপিন নিকির সাফল্যে খুশি ছিল না। ভেতরে ভেতরে সে নিকির প্রতি ঈর্ষান্বিত হতে শুরু করে।
গত ২১শে অগাস্ট নিকি এবং কাঞ্চন তাদের শাশুড়ির সাথে একটি রিল নিয়ে তর্ক করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, এই বিরোধটি নৃশংস ঘটনার দিকে ঠেলে দেয় যেখানে নিকির উপর কেরোসিন ঢেলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হ্যাঁ জীবন্ত অবস্থায় গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলা হয় নিকিকে। এই এই নৃশংস গৃহবধূ হত্যার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।