Bangladesh Election: এবার ইউনূসের গদি ধরে টান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর, দাঁড়াবেন ভোটে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে লেগে গিয়েছে জোর শোরগোল
হাইলাইটস:
- বাংলাদেশে এবারের ভোটে লড়াই করতে প্রস্তুতি শুরু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর
- ইউনূস সরকারকে কার্যত খোঁচা মেরেই ভোটে প্রবেশ করবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশে কী তবে ৯০ দিনেই হবে জাতীয় নির্বাচন? কী জানা যাচ্ছে দেখুন
Bangladesh Election: ফের খালেদা জিয়ার প্রবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির চেয়ারপার্সন তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবারও লড়বেন জাতীয় নির্বাচনে। তাঁর দলের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয় গতকাল। এরপর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
বাংলাদেশে ফের লড়াইয়ে নামবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
যখন ক্ষমতায় হাসিনা ছিলেন, তখন কিছু শারীরিক অসুস্থতার কারণেই খালেদা জিয়া প্রায় পর্দার আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন। একাধিকবার সঙ্কটজনক হয়ে গিয়েছিল তাঁর অবস্থা। কার্যত বলা চলে মৃত্যুমুখ থেকেই ফিরে এসে ফের একবার সরাসরি ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
We’re now on Telegram- Click to join
এক প্রতিবেদন অনুসারে, গতকালই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টো জানান যে দলের প্রধান ইতিমধ্যে ভাল আছেন এবং তিনি লড়াই করবেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কোন আসন থেকে লড়বেন তিনি সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। আব্দুল আওয়াল মিন্টো বলেছেন যে ফেণী আসন থেকে লড়তে পারেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সাথেও হয়ে গিয়েছে মিটিং।
এদিকে, লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারেন খালেদা জিয়ার ছেলে অর্থাৎ বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এ নিয়েও রয়েছে বিশেষ জোর জল্পনা। তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টো কেবল জানিয়েছেন যে, তাদের মতে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ঠিক হয়তো প্রথম সপ্তাহে হতে পারে এই নির্বাচন।
মহাম্মদ ইউনূস সরকারকে একপ্রকার বলা চলে খোঁচা মেরেই তিনি বলেন, “বর্তমানে যা পরিস্থিতি দেশে, তাতে হতে পারে ফেব্রুয়ারির আগেও নির্বাচন, কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে। যদি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়, তবে ৯০ দিনের মধ্যে করাতে হবে নির্বাচন।”
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্ট মাসে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ঠিক তার আগেই মে মাসে লন্ডন থেকে ফেরেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘ ৪ মাস ছিলেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার কিডনির সমস্যা, লিভার ক্রিরোসিস, হার্টের সমস্যা ও আর্থারাইটিস রয়েছে।
Read More- বাংলাদেশের নির্বাচন কি এবার অনুষ্টিত হতে চলেছে? ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বড় দাবি জানালেন রাজনৈতিক দলগুলি
২০১৮ সাল পর্যন্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির কারণে তিনি জেলবন্দি ছিলেন। তবে করোনাকালে জেল থেকে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল হাসিনা সরকার। এরপর ২০২০ সালে তাঁর সাজা মকুব করে দেওয়া হয় কিছু শর্ত সাপেক্ষে। তবে গত বছর হাসিনা সরকার পতনের পরই তাঁর মুক্তির জন্য নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। চলতি বছরের ঠিক মার্চ মাসে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে দেয় এবং দুর্নীতি মামলা থেকে তাঁকে মুক্ত করে দেয় তাকে সুপ্রিম কোর্টও।
এইরকম আরও রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।