Chronic Fatigue Syndrome: ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমে কি? দীর্ঘদিন ধরে এই রোগে ভুগছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত
তিনি জানিয়েছেন যে ২০১৮ সাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে হয়রানি করে আসছে। অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন যে তিনি গত ৫ বছর ধরে মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। তিনি ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমে ভুগছেন।
Chronic Fatigue Syndrome: তিনি গত ৫ বছর ধরে মানসিক চাপ এবং ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমে ভুগছেন
হাইলাইটস:
- অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের একটি ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে
- ভিডিওতে তনুশ্রী দত্তকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে
- তিনি জানান যে তিনি ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমে ভুগছেন
Chronic Fatigue Syndrome: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের একটি ভিডিও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ভিডিওটিতে তনুশ্রী দত্ত কাঁদছেন এবং সাহায্যের জন্য আবেদন করছেন। তিনি জানিয়েছেন যে ২০১৮ সাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে হয়রানি করে আসছে। অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন যে তিনি গত ৫ বছর ধরে মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। তিনি ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমে ভুগছেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এই রোগের নাম শোনার পর থেকেই মানুষ এটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সবাই এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। আমরা আপনাকে ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম রোগ সম্পর্কে বলবো। এর পাশাপাশি, লক্ষণ এবং কারণগুলি সম্পর্কেও জানব। আসুন বিস্তারিত জেনে নিন –
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম কী?
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা মায়ালজিক এনসেফালোমাইলাইটিস এমন একটি রোগ যেখানে একজন ব্যক্তি অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করেন। এই ক্লান্তি এতটাই তীব্র হয় যে একজন ব্যক্তি তার দৈনন্দিন কাজ করতে অক্ষম হন অথবা কখনও কখনও বিছানা থেকে উঠতেও কষ্ট হয়। বিশ্রাম বা ঘুমের মাধ্যমেও এই ক্লান্তি দূর হয় না। কখনও কখনও শারীরিক বা মানসিক কাজ করার পরেও এটি আরও বেড়ে যায়। এই রোগটি মায়ালজিক এনসেফালোমাইলাইটিস (ME) এবং সিস্টেমিক এক্সার্শন ইনটলারেন্স ডিজিজ (SEID) নামেও পরিচিত।
এর লক্ষণগুলি কী কী?
• ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে ক্লান্তি থাকা এবং বিশ্রামের পরেও উন্নতি না হওয়া
• অনিদ্রা বা ঘন ঘন ঘুমের ব্যাঘাত
• মাথাব্যথা
• জয়েন্ট এবং পেশীতে ব্যথা
• চিন্তা করতে, মনোযোগ দিতে, মনে রাখতে এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া
• ঝাপসা দৃষ্টি
• রাতের ঘাম বা ঠান্ডা লাগা
• ঘাড় বা বগলে ফোলাভাব
• পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা ডায়রিয়া
• মেজাজের পরিবর্তন, বিরক্তি এবং উদ্বেগ
• বাহু, পা বা মুখে অসাড়তা
• মাথা ঘোরা
• দুর্বল বা অজ্ঞান বোধ করা
We’re now on Telegram – Click to join
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমের কারণ কী?
এখন পর্যন্ত সিএফএসের কোন স্পষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে কিছু বিষয় এই রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অতিরিক্ত চাপ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পরিবর্তন, নিম্ন রক্তচাপ এই রোগের কারণ হতে পারে।
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমের ঝুঁকির কারণগুলি কী কী?
• এই রোগটি মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
• ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
• এই রোগটি বংশগত হতে পারে।
চিকিৎসা কী?
সিএফএসের কোন নিশ্চিত প্রতিকার নেই, তবে ওষুধ, ভালো ঘুমের অভ্যাস এবং সঠিক জীবনধারা গ্রহণের মাধ্যমে এর লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যদি আপনার দীর্ঘদিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই ক্লান্তি এবং ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
এই রকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।