health

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলি সম্বন্ধে জেনে নিন

মারণ অসুখ হল ক্যান্সার

বায়ু দূষণ এবং ধূমপান থেকে ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো মারণ অসুখ মানবদেহে বিস্তার লাভ করছে। ফলে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মেয়ো ক্লিনিক বলছে, প্রথমে যে কোনও একটি ফুসফুসে শুরু হয় ক্যান্সার। এই অঙ্গটি অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেয়। ফুসফুসের ক্যান্সার হল মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সহজ না হলেও চেষ্টা করা দরকার। কারণ এই অসুখ জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনতে পারে। ফলে পরিবারের উপরও চাপ এসে পড়ে। তখন সামলানো যায় না নিজেকে এবং পরিবারকেও। অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপে জীবন প্রায় দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।

ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক হাজার গুণ বেড়ে যায়। এই অসুখ হলে শরীরে প্রচণ্ড কষ্ট হয়, শরীরকে পুরো শেষ করে দেয়। তাই রোগটিকে প্রথমেই ধরে ফেলতে হবে। এবং এই মারণ অসুখ থেকে নিরাময়ের সঠিক উপায় জানতে হবে।

ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলিগুলি হল:

•অনেকদিন ধরে যদি কাশি থাকে, তবে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

•আবার যদি কাশির সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসে সেটি আরও বেশি ক্ষতিকর।

•যদি শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট অনুভব করা হয়, তবে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।

•বুকে যদি ব্যথা অনুভব করেন, তবেও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

•গলা যদি ঠিক না থাকে, তবেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

•ওজন কমনোর সবরকম প্রচেষ্টা করার পরেও যদি ওজন না কমে, তবে ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

•যদি হাড়ে অসহ্য যন্ত্রণা হয়, তবেও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

•অসহ্য মাথা ব্যথা হলেও কিছুটা সম্ভবনা থাকে ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার।

এবার এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি। কারণ অল্প সময়ে ক্যান্সারের সমস্যা গুরুতর হয়ে যেতে পারে।

ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে:

যারা ধূমপানে আসক্ত:

ধূমপানের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হন। তাই ধূমপান এখনই আপনার ছেড়ে দেওয়া উচিত।

পরোক্ষে ধূমপান:

অনেক সময় নিজে ধূমপান না করলেও এমন মানুষের সংস্পর্শে থাকেন যারা ধূমপান করেন। এবার পরোক্ষে ধূমপানও এই অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

রেডিয়েশন থেরাপি:

অন্য কোনও ক্যান্সারের কারণে বুকে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হলে এই অসুখের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, নিকেল শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। তাই এখনই সচেতন হন, তবেই নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। এবং সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button