Bangla News

Kolkata Hotel Fire Incident: বড়বাজারের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই শিশু সহ ১৪ জন, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘কলকাতার বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দাহ্য পদার্থ হোটেলে মজুত থাকার কারণে এত জনের মৃত্যু। সারারাত আমি তাঁদের উদ্ধারকাজের খোঁজ-খবর নিয়েছি।

Kolkata Hotel Fire Incident: বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যুকূপ কলকাতার হোটেল, ইতিমধ্যে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর

হাইলাইটস:

  • গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ কলকাতার ওই হোটেলে লেগে যায় ভয়াবহ আগুন
  • দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, প্রাণহানি এড়ানো যায়নি
  • জানা যায়, প্রবল ধোঁয়ার জেরে ওই হোটেলটি পরিণত ‘গ্যাসচেম্বার’-এ

Kolkata Hotel Fire Incident: মঙ্গলবার, বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির ছ’তলার এক হোটেলে লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন শিশু সহ ১১ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিহত এই ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনের দেহ ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের দেহ শনাক্ত করার কাজ এখনও চলছে। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের মধ্যে এক জন রয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের ক্ষতিপূরণ যাবৎ দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।

We’re now on WhatsApp- Click to join

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শোকপ্রকাশ

আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘কলকাতার বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দাহ্য পদার্থ হোটেলে মজুত থাকার কারণে এত জনের মৃত্যু। সারারাত আমি তাঁদের উদ্ধারকাজের খোঁজ-খবর নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন করারও ব্যবস্থা করেছি এলাকায়। এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। আমার সহমর্মিতা রইল নিহতদের পরিবারের প্রতি।’’

Kolkata Hotel Fire Incident

মঙ্গলবার, অর্থাৎ গতকাল ঠিক সন্ধ্যা ৭:৩০টা নাগাদ মধ্য কলকাতার বড়বাজার মেছুয়ার ফলপট্টির ওই হোটেলে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। প্রায় ৮ ঘণ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আজও চলছে উদ্ধারকাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’তলার ওই হোটেলটির দোতলায় প্রথমে আগুন লেগেছিল। তারপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্য তলে। ওই হোটেলের মোট ৪২টি ঘরে তখন লোক ছিলেন ৮৮ জন।

We’re now on Telegram- Click to join

এই হোটেলটি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং বিধান সরণির সংযোগকারী এই রাস্তায় অবস্থিত। ওখানকার রাস্তাটি বেশ ঘিঞ্জি। যে হোটেলটিতে আগুন লেগেছে তার আশেপাশে প্রচুর দোকানপাট এবং বাড়ি রয়েছে। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ারও একপ্রকার আশঙ্কা ছিল। তার আগেই দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ভোর ৩টে পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা।

Read More- আগুন লাগলেই খবর পৌঁছে যায় ‘ফায়ার ব্রিগেডে’র কাছে! কিন্তু এই ‘ফায়ার ব্রিগেডে’র নাম বাংলায় ‘দমকল’ হল কীভাবে তা জানেন?

পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, আনন্দ পাসোয়ান নামের একজন ব্যক্তি এই ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচতে হোটেলের কার্নিস থেকে ঝাঁপ দেন নীচে। আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রবল ধোঁয়ার জেরেই হোটেলটি পরিণত হয় ‘গ্যাসচেম্বার’-এ। যার ফলেই দমকল কর্মীরা ঢুকতে পারছিলেন না হোটেলের ভিতর। তাঁরা মই দিয়ে ৪ ও ৫ তলার রুমের জানলা ভেঙে সেখানে দিয়ে প্রবেশ করেন ভিতরে। তার পর হোটেলের আবাসিকদের একে একে উদ্ধার করেন তাঁরা।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button