Bangla News

Bangladesh Plan: বাংলাদেশের পরিকল্পনা ফাঁস! এবার ‘বৃহৎ বাংলা’ গঠনে রাজ্যের এই ১০টি জেলাকে দখল করতে পারে বাংলাদেশ, বাদ গেল না কলকাতাও

এমন অবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে এই ডায়েরিতে কি লেখা ছিল? জেনে রাখুন, ২০২৩-এর মাঝে ৩ দিনের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন এই ডায়েরির মালিক। মূলত, জামায়াতে ইসলামির সমর্থক ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদেও নিযুক্ত ছিলেন ওই ডায়েরির মালিক।

Bangladesh Plan: ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক ফাঁস, একী পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ? ‘বৃহৎ বাংলা’ গঠনে রাজ্যের ১০টি জেলাকে দখল

হাইলাইটস:

  • সম্প্রতি, একটি বিস্ফোরক খবর সামনে এসেছে
  • বাংলাদেশের এই পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই ফাঁস
  • ‘বৃহৎ বাংলা’ গঠনে এবার রাজ্যের এই জেলাকে দখল করবে বাংলাদেশ

Bangladesh Plan: বর্তমানে রাজ্যে কিছু উত্তেজনামূলক ঘটনা ঘটেছে। কেবল তাই নয়, মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জেলাগুলি। আন্দোলনের নাম করে সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার নৈপথ্যে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের উস্কানি-র বিষয়টিও উঠে এসেছে আলোচনার শীর্ষ কেন্দ্রবিন্দুতে। ঠিক এই জেরেই এবার এমন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন আপনিও। মূলত, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের শুরুতে সূত্র মারফত, ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর এক আধিকারিক একটি ডায়রি হাতে পেয়েছিলেন। এই ডায়েরিটি মূলত শেখ হাসিনার আমলের বাংলাদেশের সরকারি আমলাদের ব্যবহারের জন্য ছিল। বাংলা এবং ইংরেজি সন-তারিখে লেখা এই ডায়েরিতে এমন কিছু তথ্য ছিল ওই গোয়েন্দা আধিকারিক যা সম্পর্কে জেনে অবাক হয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও এই বিষয়টি উপস্থাপিত করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিক।

We’re now on WhatsApp- Click to join

বাংলাদেশ একী পরিকল্পনা করছে –

এমন অবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে এই ডায়েরিতে কি লেখা ছিল? জেনে রাখুন, ২০২৩-এর মাঝে ৩ দিনের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন এই ডায়েরির মালিক। মূলত, জামায়াতে ইসলামির সমর্থক ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদেও নিযুক্ত ছিলেন ওই ডায়েরির মালিক। তবে, তিনি যে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন সেটি কোনওরকম সরকারি প্রশিক্ষণ ছিলনা বরং ওই প্রশিক্ষণটির প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন জামায়াতে ইসলামি এবং হেফাজতের ঘনিষ্ঠ মৌলানারা। এমন পরিস্থিতিতে, ওই প্রশিক্ষণে প্রশাসনিকভাবে উচ্চপদে নিযুক্ত থেকেও অংশগ্রহণকারী আমলাদের দেশেতে জানা যাচ্ছে খিলাফত প্রতিষ্ঠার জেহাদে এবার কী কী করা উচিত তা তাঁদের শেখানো হয় বলেও।

We’re now on Telegram- Click to join

প্রসঙ্গত এদিকে, এই প্রশিক্ষণে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে ‘বৃহৎ বাংলা’ খিলাফত কায়েমের লড়াইয়ে নামা। এবং প্রশিক্ষণে উপস্থাপিত করা হয় এই আন্দোলনের মূল রূপরেখা। যেগুলো বাংলাতেই লিখে রেখেছিলেন ওই ডায়েরির মালিক। পরবর্তীকালে, একটি বিশেষ সূত্র মারফত ভারতীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের কাছে এসে পৌঁছায় এই ডায়েরি। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর একটি বিষয় হল, ‘বৃহৎ বাংলা’ খিলাফতের যে, ভৌগোলিক সীমানার কথা বলা হচ্ছে ওই প্রশিক্ষণে, সেখানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বের এই ৭টি রাজ্য থেকে শুরু করে রাজ্যের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, নদিয়া, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা মালদা এবং কলকাতাকেও ধরা হয়েছে।

Bangladesh Plan

অন্যদিকে যদিও, প্রাথমিকভাবে সেখানে জানানো হয়েছে যে, আপাতত তাদের লক্ষ্য হল মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই দিনাজপুর জেলা। অর্থাৎ, এই অঞ্চলগুলিকে নিয়ে একটি পৃথক প্রদেশ গঠন করতে চান তারা। যার মালদায় নির্ধারণ করা হবে রাজধানী। যদিও, পরবর্তীকালে ওই উচ্চ পদস্থ আমলাদের জানানো হয় দুই চব্বিশ পরগনা ও কলকাতাকে দখল করে এক্কেবারে হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ‘বৃহৎ বাংলা’ খিলাফতের সীমানা বাড়ানোর প্রসঙ্গেও। পাশাপাশি, বরাক, নামনি অসম এবং ত্রিপুরাকে নিয়ে দ্বিতীয় একটি প্রদেশের পরিকল্পনাও প্রকাশ্যে এসেছে। একটি শহরকে অসমের মুসলিম অধ্যুষিত যেটির রাজধানী করা যেতে পারে। এদিকে আবার, গত ১৬ই ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে এক ফেসবুক পোস্ট করেন ইউনূসের ঘোষণা মতো বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম ও ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা। তাঁর এই পোস্টে ফুটে উঠেছিল ‘বৃহৎ বাংলা’ খিলাফতের ছায়া। যদিও পরে ওই পোস্ট তিনি মুছে ফেলেন সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে।

Read More- এবার বাংলাদেশকে সরাসরি শিক্ষা দিল ভারত! এবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে তিন দেশের সাথে বাণিজ্য, ফলে মাথায় হাত ইউনূস সরকারের

আরও একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে যে, ভারতের এই নির্দিষ্ট অংশ দখল করার জন্য সন্ত্রাসবাদকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করেছে তারা। যেই খানে প্রশিক্ষকরা আমলাদের জানিয়েছেন মূর্তিপুজো বন্ধ করার লক্ষ্যের ভিড়ে ঠাসা পুজোর মণ্ডপে সশস্ত্র হামলা কিংবা বিস্ফোরণই যথেষ্ট। এছাড়াও, আরও অন্যান্য পরিকল্পনাও প্রকাশ্যে আনা হয়। এমন অবস্থায়, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানান, এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকাকালীন। তবে, সেই দেশের নজরদারি সংস্থাগুলিতে সন্ত্রাসীদের অনুগত থাকায় সরাসরি সরকার পর্যন্ত পৌঁছয়নি এই খবর। কিন্তু, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জঙ্গিরা পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করে ‘বৃহৎ বাংলা’ খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আর সেই জন্যই ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে ছাড়া পাচ্ছে কয়েকশো জঙ্গি এমনটাই মনে করেছেন ওই গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আর এভাবেই তারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button