Durgapur Junction Review: বিষণ্ণ দুর্গাপুরে দুর্ভেদ্য থ্রিলার ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর, রইল ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির রিভিউ
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল প্রসেনজিৎ চৌধুরির ক্যামেরায় শহরের বাইরের এক নগরীর চিত্রায়ণ। মহানগরীর ক্লিশে চেনা ভিসুয়াল না থাকায় এই জনার আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে পর্দায়, কারণ এই অচেনা শহরের অলিগলিই তৈরি করেছে গোলকধাঁধা। টুপিতে মুখ ঢাকা শ্যাওলা সবুজ জলাশয়ে সুদূর নৌকোয় ভাসমান অচেনা মাছ-ধরা লোকটিকে আরও বেশি রহস্যময় লাগছে।
Durgapur Junction Review: স্বস্তিকা-বিক্রমের বৈপরীত্য! প্রসেনজিতের ক্যামেরায় ফিরেছে ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর প্রাণ
হাইলাইটস:
- সম্প্রতি, বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘দুর্গাপুর জংশন’
- ‘দুর্গাপুর জংশন’ রীতিমতো টানটান উত্তেজনা জাগিয়েছে দর্শকদের মনে
- বিক্রম-স্বস্তিকার বৈপরীত্য এককথায় অসাধারণ, পড়ুন ছবির রিভিউ
Durgapur Junction Review: সম্প্রতি, পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য-র ‘শিবপুর’ ছবি দেখার পর পরবর্তী ছবি নিয়ে একটা উন্মাদনা তো ছিলই। ‘শিবপুর’ ভালো ছবি নাকি খারাপ ছবি তা নিয়েই বেশ চর্চিত হয়েছিল কারণ বাঙালি দর্শককে কিছু নতুনত্ব এনে দিয়েছিল এবং যা অন-স্ক্রিন ভায়োলেন্সের থেকেও আরও বেশি কিছু। ছবিতে বেশ কিছু চরিত্রায়ণ, নতুন চোখে দেখা আন্ডারওয়ার্ল্ডকে আর চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স। ‘দুর্গাপুর জংশন’ হল যেন সেই ঝলকেরই এক্সটেনশন। তবে এটি সংগঠিত ক্রাইম নয়, একা মানুষের সুচতুর বুদ্ধির সাথে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের লড়াই। ‘নিও নয়্যার’ ধাঁচে তৈরি হু ডান ইট থ্রিলার নিয়েই ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর প্রেক্ষাপট।
We’re now on WhatsApp- Click to join
স্বস্তিকা-বিক্রমের ‘দুর্গাপুর জংশন’
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল প্রসেনজিৎ চৌধুরির ক্যামেরায় শহরের বাইরের এক নগরীর চিত্রায়ণ। মহানগরীর ক্লিশে চেনা ভিসুয়াল না থাকায় এই জনার আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে পর্দায়, কারণ এই অচেনা শহরের অলিগলিই তৈরি করেছে গোলকধাঁধা। টুপিতে মুখ ঢাকা শ্যাওলা সবুজ জলাশয়ে সুদূর নৌকোয় ভাসমান অচেনা মাছ-ধরা লোকটিকে আরও বেশি রহস্যময় লাগছে। বিকেলের আধো-অন্ধকারে কবর খানায় খননকার্য তৈরি করে এক ভৌতিক পরিবেশ। কেসে পুরোপুরি ফেঁসে গিয়ে গলা জলে ডুবে থাকা চমৎকার পুলিশ অফিসার ‘সৌম্য’কে কু দিতে এসে অচেনা এক ক্যাফেতে আধো আধো গলায় কথা বলা ‘উষসী’র হাজিরা যেন এক অন্য হাতছানির ইশারা আরও বেশি করে উস্কে দেয়। প্রসেনজিতের চৌধুরির ক্যামেরায় অদেখা শহরকে বিষণ্ণ নীল রঙেতে ঢেকে দিলে, ভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে একের পর এক মৃত্যুরহস্য আরও বেশ জটিল হয়ে ওঠে।
We’re now on Telegram- Click to join
অরিন্দম ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবিটি মার্ডার মিস্ট্রি হলেও কিছু কিছু জরুরি প্রশ্ন তুলে দেয়। সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হ্রাস নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এই পোড়া দেশে প্রতিবাদ মানেই হল বিপদ এবং মেরুদণ্ড যেন প্রহসন। রাগী পুলিশ অফিসার ‘সৌম্য’র ভূমিকায় বিক্রম চট্টোপাধ্যায় লাগছেন বেশ স্টাইলিশ।
অন্যদিকে, আপাতদৃষ্টিতে, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘উষসী’র সামনে তেজি, রুক্ষ বিক্রম যেন হল রোদ্দুর এবং মেঘের লুকোচুরির খেলা। গোটা ছবি জুড়ে রয়েছে এই লুকোচুরি কনট্রাস্ট, তবে এই কনট্রাস্ট আরও ধারালো করা যেত। তবে ‘সৌম্য’ কেন এত রাগী, চিত্রনাট্য সে আভাস দেয়নি। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত এই ‘উষসী’ যেন সিনেমার মেল্টিং পয়েন্ট। সে রং বদলায় ঘন ঘন। হাত থেকে পিছলে যায় পারদের মতো। ফসকে যাওয়া এমনই এক মরীচিকা নারীর ভূমিকায় স্বস্তিকাকে দারুণ লাগছে। সিনিয়র পুলিশ অফিসারের চরিত্রে একাবলী খান্না বেশ মানানসই। তবে, তার চরিত্রায়ণে আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন ছিল।
‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবিটি আরও টানটান হতে পারত, এই ইনভেস্টিগেশনের দৃশ্যগুলির দ্রুতি বজায় রেখেই আরও ডিটেলড হতে পারত। তবুও, ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির সেকেন্ড হাফ বেশ রুদ্ধশ্বাস এবং ঢেকে দেয় নানা ঘাটতি। গতানুগতিক, নতুন কিছু পেতে চাইলে দেখতে পারেন এই ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবিটি।
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।