Spiritual

Hanuman Jayanti 2025: গোলাপী চাঁদ, পঞ্চগ্রাহী যোগের রহস্যটি জানুন, এবং এর সাথে হনুমান জয়ন্তীর কেন বিরল মিল রয়েছে সেটিও জানুন

হনুমান জি চৈত্র শুক্লা পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা এবার ১২ই এপ্রিল ২০২৫, শনিবার। হনুমান জিকে 'রুদ্র'-এর অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তিনি নিজেই 'চৈত্য' উপাদান থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় মহাজাগতিক চেতনা বলা হয়।

Hanuman Jayanti 2025: এবার হনুমান জয়ন্তীতে ধর্ম, বিজ্ঞান এবং গ্রহ যোগের আশ্চর্য রহস্য দেখা যাবে, কোন রাশিতে এর বেশি প্রভাব পড়বে?

হাইলাইটস:

  • হনুমান জয়ন্তী ২০২৫: শুধু একটি তিথি নয়, একজন চেতনা
  • শনিবার এবং হনুমানের মধ্যে অটুট বন্ধন
  • চৈত্র পূর্ণিমা এবং চন্দ্রের প্রভাব: বিজ্ঞান ও ধর্মের সঙ্গমস্থল

Hanuman Jayanti 2025: ১২ই এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, এমন একটি দিন যা কেবল হনুমান জয়ন্তীর কারণেই নয়, এর সাথে জড়িত রহস্যময় কাকতালীয়তার কারণেও অত্যন্ত রহস্যময় এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। আসুন জেনে নিই কিভাবে একটি পবিত্র উৎসব, একটি বিশেষ দিন, একটি জ্যোতির্বিদ্যার অবস্থান এবং একটি গভীর ধর্মতাত্ত্বিক ইঙ্গিত একত্রিত হয়ে একটি শক্তিশালী চিহ্ন তৈরি করছে।

১. হনুমান জয়ন্তী ২০২৫: শুধু একটি তিথি নয়, একজন চেতনা

হনুমান জি চৈত্র শুক্লা পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা এবার ১২ই এপ্রিল ২০২৫, শনিবার। হনুমান জিকে ‘রুদ্র’-এর অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তিনি নিজেই ‘চৈত্য’ উপাদান থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় মহাজাগতিক চেতনা বলা হয়।

শাস্ত্র অনুসারে, যখন চন্দ্র পূর্ণিমা থাকে, তখন মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি তার সর্বোচ্চ স্তরে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, হনুমান জয়ন্তীর পূর্ণিমা, তাও শনিবার, এক অস্বাভাবিক শক্তি নিয়ে আসে।

২. শনিবার এবং হনুমানের মধ্যে অটুট বন্ধন

হনুমান জিকে শনিদেবকে নিয়ন্ত্রণকারী দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শনিবার হনুমানের পুজো করলে শনি দোষ, ষড়যন্ত্র এবং তান্ত্রিক বাধা দূর হয়। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, শনিদেব হনুমানজিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর ভক্তদের কষ্ট দেবেন না। হনুমানজিই একমাত্র দেবতা যিনি শনিদেবের অহংকার ভেঙে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে শনিদেব নিজেও হনুমানজির উপাসক হয়ে ওঠেন।

We’re now on WhatsApp – Click to join

অতএব, শনিবার হনুমান জয়ন্তী একটি অত্যন্ত বিরল এবং কার্যকর কাকতালীয় ঘটনা। জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি নেতিবাচক গ্রহগুলিকে শুদ্ধ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

৩. চৈত্র পূর্ণিমা এবং চন্দ্রের প্রভাব: বিজ্ঞান ও ধর্মের সঙ্গমস্থল

চৈত্র পূর্ণিমায়, চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে এবং এর চাঁদের আলো সবচেয়ে তীব্র হয়। নাসার মতে, ২০২৫ সালের এপ্রিলের এই পূর্ণিমাটি ‘গোলাপী পূর্ণিমার’ মতো হবে। অর্থাৎ এই দিনে চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে। ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২২ মিনিটে আকাশে গোলাপী পূর্ণিমার মতো পরিস্থিতি দেখা যাবে।

বিজ্ঞান বলে: পূর্ণিমায় মানুষের পাইনাল গ্রন্থি সক্রিয় হয়, মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, এই সময়টি ধ্যান, ভক্তি এবং শক্তি অনুশীলনের জন্য সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হয়। সাধু-ঋষিরা এই সময়টিকে বিশেষ ধ্যানের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন, এই সময়টিকে সিদ্ধি অর্জনের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

ধর্ম অনুসারে: চন্দ্র হল মনের কারক। শাস্ত্রে হনুমানজিকে মনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। পূর্ণিমা + হনুমান জয়ন্তী = মনের উপর জয়লাভের চূড়ান্ত যোগ।

৪. গ্রহের অবস্থান ১২ই এপ্রিল ২০২৫: এটি কি যুগের কোনও পরিবর্তনের লক্ষণ?

জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুসারে: ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে, বৃহস্পতি মীন রাশিতে পঞ্চ গ্রহী যোগ গঠন করছেন, যা অত্যন্ত বিরল। বহু বছর পর চৈত্র পূর্ণিমা এবং হনুমান জয়ন্তীতে এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে, এই দিনে শনি, বুধ, শুক্র, সূর্য এবং রাহুর সংযোগ মীন রাশিতে দেখা যাবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই সময়টি ‘জনসচেতনতা’ এবং ‘গুরুতর পরিবর্তনের’ও নির্দেশক।

Read more – আজ মহাবীর জয়ন্তী, এই বার্তাগুলির মাধ্যমে আপনার প্রিয়জনদের বিশেষ শুভেচ্ছা পাঠান

কন্যা রাশিতে পাপী গ্রহদের সাথে চন্দ্র গ্রহণ যোগ তৈরি করছে, যা আবেগগত বিশ্লেষণ এবং ভক্তির চরম যোগও তৈরি করে। এই কারণেই হনুমান জয়ন্তীর দিনে করা সাধনা, মন্ত্র জপ এবং ধ্যান স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ বেশি কার্যকর ফলাফল দিতে সক্ষম হবে।

৫. হনুমান জয়ন্তীতে এই ৫টি প্রতিকার করুন:

  • সকালে বজরং বান পাঠ করুন
  • শনি ও পিতৃ দোষ দূর করতে কালো তিল দান করুন।
  • সন্ধ্যায়, হনুমানকে লাল চন্দনের তিলক লাগান।
  • রাতে ১১ বার ‘হনুমান কবচ’ জপ করুন।
  • চাঁদকে জল অর্পণ করুন এবং ধ্যান করুন – মন পবিত্র হবে।

We’re now on Telegram – Click to join

২০২৫ সালের ১২ই এপ্রিল দিনটি কেবল একটি উৎসবই নয়, ধর্ম, বিজ্ঞান এবং চেতনার একটি বিরল সঙ্গমও। হনুমানজির তেজ, শনির আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, চন্দ্রের মানসিক শক্তি এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সমন্বয় – এই সবকিছু মিলে ইঙ্গিত দেয় যে এই দিনটি আধ্যাত্মিক শক্তি জাগ্রত করার একটি সুযোগ।

এইরকম ধর্মীয় বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button