HIV Transmission Between Partners: স্বামী-স্ত্রীর কি একে অপরের থেকে এইডস হতে পারে? এইচআইভি ভাইরাস কীভাবে তৈরি হয় তা জানুন
এইচআইভি মূলত মা থেকে সন্তানের মধ্যে অরক্ষিত যৌন মিলন, সংক্রামিত রক্ত, সূঁচ বা প্রসবের সময় ছড়িয়ে পড়ে, তাই বিবাহিত দম্পতিদেরও এই সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
HIV Transmission Between Partners: এইচআইভি এবং এইডস কী? কীভাবে এই রোগ হয়? বিস্তারিত জানুন
হাইলাইটস:
- বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত
- চিকিৎসার অভাবে প্রতি মিনিটে একজন এইডস রোগী মারা যাচ্ছেন
- এইডস রোগের জন্য অনেক কারণ দায়ী
HIV Transmission Between Partners: হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (HIV) আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এর ফলে অ্যাকুয়ার্ড ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম (AIDS) হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এইচআইভি আমাদের শরীরের টি-কোষ ধ্বংস করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immune System) এতটাই দুর্বল করে দেয় যে শরীর ছোটখাটো রোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এইডস এবং এইচআইভি নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ধরণের বিভ্রান্তি রয়েছে। এই প্রশ্নগুলির মধ্যে একটি হল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে HIV/AIDS ছড়াতে পারে কিনা। উত্তরটা জানা যাক।
We’re now on WhatsApp – Click to join
স্বামী-স্ত্রীর কি একে অপরের থেকে এইডস হতে পারে?
এইচআইভি মূলত মা থেকে সন্তানের মধ্যে অরক্ষিত যৌন মিলন, সংক্রামিত রক্ত, সূঁচ বা প্রসবের সময় ছড়িয়ে পড়ে, তাই বিবাহিত দম্পতিদেরও এই সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি সতর্কতা না নেওয়া হয়, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও এইচআইভি ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে এইচআইভি/এইডস দ্বারা সংক্রামিত করতে পারেন। যদি সঙ্গীর মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই এইচআইভি পজিটিভ থাকে এবং সতর্কতা অবলম্বন না করা হয়, তাহলে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এইচআইভি কীভাবে ছড়ায়?
১. অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক
যদি একজন সঙ্গী ইতিমধ্যেই এইচআইভিতে আক্রান্ত থাকে এবং তারা সুরক্ষা ছাড়াই যৌন মিলন করে, তাহলে সংক্রমণটি অন্য সঙ্গীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় মানুষ এই ভেবে অসাবধান হয়ে পড়ে যে যেহেতু তারা বিবাহিত, তাই তাদের কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি নেই, কিন্তু যদি একজন সঙ্গীর ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস থাকে, তাহলে অন্য সঙ্গীও সংক্রামিত হতে পারে।
We’re now on Telegram – Click to join
২. সংক্রামিত রক্ত বা ইনজেকশন
যদি কারো ইতিমধ্যেই এইচআইভি থাকে এবং তার রক্ত অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাস সংক্রামিত ইনজেকশন, ব্লেড এবং ট্যাটু বা ছিদ্রের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৩. গর্ভাবস্থা, প্রসব বা বুকের দুধ খাওয়ানো
যদি কোনও মায়ের এইচআইভি সংক্রমণ থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এটি শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতএব, সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। কারণ সামান্য অসাবধানতাও আসন্ন শিশুকে সংক্রামিত করতে পারে।
এইচআইভি এড়াতে কী করা উচিত?
১. নিয়মিত আপনার এইচআইভি পরীক্ষা করান।
২. শারীরিক সম্পর্কের আগে ল্যাটেক্স কনডম ব্যবহার করুন।
৪. সকল যৌনবাহিত রোগের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করান।
৫. সেলুনে নাপিতকে একটি নতুন ব্লেড ব্যবহার করতে বলুন।
৬. ইনজেকশন নেওয়ার সময় বা রক্ত পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার সময়, নিশ্চিত করুন যে নতুন প্যাকেট খোলার পরেই সিরিঞ্জটি বের করা হচ্ছে। যদি জীবাণুমুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা প্রত্যাখ্যান করুন।
৭. ট্যাটু করার সময়, শুধুমাত্র নতুন ছুঁচ ব্যবহার করুন।
Read more:- HMPV পরীক্ষায় কত টাকা খরচ হয়? জেনে নিন সরকারি-বেসরকারি ল্যাবের খরচ
এইচআইভি কি নিরাময়যোগ্য?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে এইচআইভি বা এইডসের কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই, তবে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART) দিয়ে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। এআরটি ওষুধ ভাইরাসের বৃদ্ধি বন্ধ করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।