PCOS Snacks Recipes: পিসিওএসে মেদ জমলেই ঘটবে বিপদ, শর্করাও বশে রাখতে এই তিনটি স্ন্যাক্স খান
পিসিওএস যদি হয় শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও কমে যায়। তাই রক্তেও শর্করা বেড়ে যেতে পারে। এর থেকে হৃদরোগের মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু তা বলে খাওয়াদাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই যদি বারে বারেই খিদে পায় বা ভাল মন্দ খেতে ইচ্ছে করে, তাহলে হালকা স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
PCOS Snacks Recipes: পিসিওএসে কোন তিনটি স্নাক্স খেলে ক্ষতি হয়না জানেন কী? এখানে জেনে নিন
হাইলাইটস:
- পিসিওএস ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
- খেয়াল রাখতে হবে যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা না বৃদ্ধি পায়
- তবে পিসিওএসেও এই তিনটি স্ন্যাক্স খাওয়া স্বাস্থ্যকর, দেখুন
PCOS Snacks Recipes: সম্প্রতি, ওজন বাড়লেই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিএওস)-এর মতোতে রোগ হানা দিতে পারে। এই অসুখের কারণে ৫০ শতাংশ মহিলারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সহজেই মেদ বেড়ে যায়, শরীরে বেশি লোম দেখা যায়, মাথার চুল উঠতে থাকে, শরীরে বিগড়ে যায় হরমোনের ভারসাম্যতা। পিসিওএস ধরা পড়লেই খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এবং রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে বেড়ে না যায় খেয়াল রাখতে হয়। কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে না বেড়ে যায়, সে জন্যই বিশেষ ডায়েটও দেওয়া যায়।
We’re now on WhatsApp- Click to join
পিসিওএস যদি হয় শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও কমে যায়। তাই রক্তেও শর্করা বেড়ে যেতে পারে। এর থেকে হৃদরোগের মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু তা বলে খাওয়াদাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই যদি বারে বারেই খিদে পায় বা ভাল মন্দ খেতে ইচ্ছে করে, তাহলে হালকা স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে বেশি ভাজাভুজি নয়, কী ধরনের স্ন্যাক্স খাবেন, তা জেনে নিন।
We’re now on Telegram- Click to join
কিনোয়া স্যালাড
কিনোয়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন এবং ফাইবার আছে। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভাত অথবা রুটির বদলে কিনোয়ার স্যালাড খেতে পারেন।
বানানোর পদ্ধতি
এক কাপ কিনোয়া সেদ্ধ করে নিন। এবার আধ কাপের মতোন ক্যাসিকামের কুচি, লেটুস পাতা, শসা কুচি, পার্সলে পাতা নিন। সবকিছু একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে উপরে ২ চা চামচের মতো দিন অলিভ অয়েল, আধ চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো, এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং এক চিমটে নুন ছড়িয়ে দিন। এই স্যালাডটি খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখবে এবং বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
নাট বাটার রোল
ময়দা দিয়ে তৈরি রোল নয়, খান ওটস দিয়ে বানানো রোল। ঠিকমতোন বানাতে পারলে সুস্বাদুর পাশাপাশি হবে স্বাস্থ্যকরও।
Read More- একটি নিখুঁত স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য ৩টি সহজ এবং দ্রুত হার্টের স্বাস্থ্যকর রেসিপি
বানানোর পদ্ধতি
প্রথমে এক কাপের মতোন নিন রোলড ওটস তারপর এটি নিয়ে শুকনো খোলায় নেড়ে নিতে হবে। লাগবে একটু, আধ চামচের মতোন পিনাট বাটার, আধ কাপের মতো কাঠবাদাম, আধ চা চামচ মধু, আখরোটের গুঁড়ো অথবা নানা ধরের বীজ। সবই গুঁড়িয়ে নিন। এবার সব কিছুই একটি পাত্রে মধু দিয়ে তাতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর থেকে ছোট ছোট বলের মতো করে বেকিং শিটে রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলেই জমে গেলেই সুন্দর স্ন্যাক্স প্রস্তুত হয়ে যাবে। মিষ্টির বদলে খান এই স্ন্যাক্স।
চিয়া পুডিং
সহজপাচ্য প্রোটিন, ফাইবার থেকে হার্ট ভাল রাখতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সবই আছে এই বীজে। ওজন কমাতেও সহায়ক এই চিয়া বীজ। সন্ধ্যার খিদে মেটাতে বা প্রাতরাশের চিয়া পুডিং খেলেই মিলবে উপকার।
বানানোর পদ্ধতি
প্রথমে ১ কাপ গরম দুধ নিন আর তারপর তার মধ্যে ২ চামচ চিয়া বীজ এবং ২ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার চাইলে কিছুটা কেটে নেওয়া কলা টুকরো সেই মিশ্রণে মেশাতে পারেন। গরুর দুধে যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে সয়া মিল্ক অথবা কাঠবাদামের দুধও মেশাতে পারেন। এরপর এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। সারা রাত ফ্রিজে রেখে সকালেও খেতে পারেন বা ঘণ্টা খানেক রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে চিয়া পুডিং।
এইরকম আরও রেসিপি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।