lifestyle

Lifestyle Tips: স্যান্ডউইচ জেনারেশন বলতে কি বোঝায়? কেন এই জেনারেশনকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়?

সন্তানের পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি তাকে বড় করে তোলার খরচও রয়েছে। এর সাথে বাবা-মায়ের মেডিক্যাল খরচাও চালাতে হচ্ছে। আবার অন্যদিকে সংসার চালানোর আলাদা খরচ রয়েছে।

Lifestyle Tips: স্যান্ডউইচ জেনারেশনের জীবন সব সময় চাপের হয় কেন? এর লক্ষণগুলি কি?

হাইলাইটস:

  • অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চাপ থাকে
  • ইমোশনাল স্ট্রেস বাড়তে থাকে
  • নিজের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠেনা

Lifestyle Tips: এখন রোজ জেন জি প্রায় চর্চায় থাকে। কিন্তু জানেন কি জীবনে সবথেকে চাপ বেশি স্যান্ডউইচ জেনারেশনের। অর্থাৎ এরা মিলেনিয়াল-জেন জিও হতে পারে আবার হয়তো জেন এক্স-ও হতে পারে। আবার হয়তো মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভোগা কোনও ব্যক্তিও হতে পারে। যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৫৪, অর্থাৎ মধ্যবয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের বলা হয় স্যান্ডউইচ জেনারেশন। এদেরকে তাঁদের বুড়ো বাবা-মায়ের দেখাশোনা করতে হয়, আবার নিজের সন্তানও মানুষ করতে হয়। সংসারের সব দায়দায়িত্ব তাঁদের একার কাঁধে নিতে হয়। এমন জীবনযাপন করার জন্যই এই জেনারেশনকে স্যান্ডউইচ জেনারেশন বলা হয়। জীবনের এই চরম পর্যায়ে এসে অসংখ্য ভূমিকা, দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় স্যান্ডউইচ জেনারেশনকে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: সন্তানের পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি তাকে বড় করে তোলার খরচও রয়েছে। এর সাথে বাবা-মায়ের মেডিক্যাল খরচাও চালাতে হচ্ছে। আবার অন্যদিকে সংসার চালানোর আলাদা খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে হাঁপিয়ে পরে এই স্যান্ডউইচ জেনারেশন। আবার এর সাথে খরচের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের কথাও ভাবতে হয় তাঁদের।

Read more – আপনার কি কারও সঙ্গ ভালো লাগছেনা? তাহলে কীভাবে তাঁকে এড়িয়ে যাবেন?

ইমোশনাল স্ট্রেস: বাড়িতে যদি বয়স্ক ও অসুস্থ বাবা-মা থাকে, ব্যাস মাথার মধ্যে সারাক্ষণ সেই চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। সারাক্ষণ এটাই চলতে থাকে এই বুঝি কোনও অঘটন না ঘটে যায়। এসব ছাড়া বাচ্ছা ঠিকভাবে মানুষ হচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর দিতে হয়। এসব কিছু বাদে আবার কাজের জায়গায় হাজার একটা সমস্যা লেগেই থাকে। সব মিলিয়ে তাঁদের মানসিক চাপ বাড়তেই থাকে।

সময়ের অভাব: স্যান্ডউইচ জেনারেশনের মানুষদের নিজের জন্য একদম সময় থাকে না। নিজের শখগুলো পূরণ করার পিছনে একদম সময় পাওয়া যায় না। তার সাথে অফিস, সংসার সব কিছু একসাথে সামলানোর সময় থাকে না। দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য সারাক্ষণ দৌড়ে যেতে হয়।

We’re now on Telegram – Click to join

নিজের যত্ন: এই বয়সে এসে নিজের শখ পূরণ করার মত কথা খুব কম মানুষ ভাবেন। দায়িত্বের সাথে সময়ের অনেক অভাব রয়েছে। এসবের মাঝে নিজের যত্ন নেওয়াও হয় না। এখন ৪০ বছর বয়স দোরগোড়ায় পৌঁছানোর আগেই সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। নিজের প্রতি খেয়াল না রাখার জন্যই এসব হচ্ছে। আর এই সব সমস্যাগুলি স্যান্ডউইচ জেনারেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

এইরকম সম্পর্ক ও জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button