Kangana-Javed: ৫ বছরের আইনি ঝগড়ায় দাড়ি টানলেন জাভেদ-কঙ্গনা! অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছলেন তাঁরা
অভিনেত্রী সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাতের বেলায় জাভেদ আখতারের সাথে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসি মুখ পোজ দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজ জাভেদজি আর আমি মধ্যস্থতার মাধ্যমে আমাদের আইনি ঝগড়া (মানহানির মামলা) এবং জটিলতা সমাধান করেছি। জাভেদজি এই মধ্যস্থতায় খুবই দয়ালু ও সদয় হয়েছেন।
Kangana-Javed: দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষ করে এবার আড়ি থেকে ভাব জাভেদ-কঙ্গনার
হাইলাইটস:
- ৫ বছরের ঝগড়া কাটিয়ে এবার মিল করেছেন জাভেদ-কঙ্গনা
- খুশির খবর জানাতেই ছবি পোস্ট করেছেন নেটপাড়ায়
- কী নিয়ে ঝামেলা জাভেদ-কঙ্গনার? জেনে নিন বিস্তারিত
Kangana-Javed: এবার দীর্ঘ ঝগড়ার ইতি টানলেন জাভেদ-কঙ্গনা, এই ঝগড়া গড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে আদালতে। টানা ৫ বছরের পর অবশেষে স্বস্তি, নিজেদের মধ্যে সমস্ত ঝগড়া-ঝামেলা মিটিয়ে এবার আড়ি থেকে ভাব করলেন জাভেদ আখতার এবং কঙ্গনা রানাওয়াত। সেই খুশির খবর সকলের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করলেন জাভেদ-কঙ্গনা।
We’re now on WhatsApp- Click to join
আইনি লড়াই শেষ জাভেদ-কঙ্গনার
অভিনেত্রী সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাতের বেলায় জাভেদ আখতারের সাথে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসি মুখ পোজ দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজ জাভেদজি আর আমি মধ্যস্থতার মাধ্যমে আমাদের আইনি ঝগড়া (মানহানির মামলা) এবং জটিলতা সমাধান করেছি। জাভেদজি এই মধ্যস্থতায় খুবই দয়ালু ও সদয় হয়েছেন। কেবল তাই নয়, আমার পরিচালনায় পরবর্তী ছবির জন্য উনি গান লিখতেও রাজি হয়েছেন।
We’re now on Telegram- Click to join
কী নিয়ে ঝামেলা জাভেদ-কঙ্গনার?
গত ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একটি নিউজ চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকার হয় কঙ্গনার। এরপরই শুরু হয় ২জনের মধ্যে বিবাদ। শুরু হয় আইনি লড়াইও। এক বিবৃতিতে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন যে জাভেদ আখতার নাকি তাঁকে তাঁর সহ-অভিনেতা হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। যে হৃত্বিকের সঙ্গে কিনা ২০১৬ সালে তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জনের বিষয়ে জনসাধারণের সামনে সরাসরি মুখ খোলার জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছিলেন।
কঙ্গনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জাভেদ আখতার একবার আমাকে ওঁর বাড়িতে ডেকে পাঠান। আর বলেন, রাকেশ রোশন এবং তাঁর পরিবার হল অনেক বড় মানুষ। তাঁদের কাছে আপনি যদি ক্ষমা না চান তবে কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না আপনার। আপনাকে ওঁরা জেলে ঢোকাবে। আর শেষ পর্যন্ত, একমাত্র পথ হবে ধ্বংস। তখনই..আত্মহত্যা করতে আপনি বাধ্য হবেন। এটাই ছিল ওঁর কথা। উনি আমাকে চিৎকার করে কথাগুলি বলছিলেন। ওঁর বাড়িতে দাঁড়িয়েই আমি কাঁপছিলাম।
এই কথাগুলিই এক সাক্ষাৎকারে সেই নিউজ চ্যানেলকে বলেন কঙ্গনা। আর এরপরই জাভেদ কঙ্গনার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। যে মামলা চলেছে বছরের পর বছর ধরে। আদালতকে জাভেদ বলেন, ‘কঙ্গনা সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, এতে কোনও সত্য নেই।’
Read More- আর ‘বরদাস্ত নয়’! খলিস্তানিদের রোষে এখন ‘এমার্জেন্সি’, কঙ্গনার পাশে বিদেশমন্ত্রক
আদালতে জাভেদ আখতার বলেছিলেন, ‘আমি ওকে ফোন করেই জানিয়েছিলাম যে আমি ওকে কেন ডেকেছি। ২০১৬ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আবহাওয়া, বা আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার জন্যই আর ওকে ফোন করিনি।’ জাভেদ আরও বলেছিলেন, যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে কঙ্গনাকে চিনতেন না, সামনে থেকে তাঁদের আলাপ হয়নি তখনও। তবে অভিনেত্রী হিসাবে কঙ্গনার কাজ সর্বদা ভালো লাগত। তিনি যখন বুঝেছিলেন যে কঙ্গনা তাঁর কোনও কথা শুনবেন না তখনই তিনি তাঁর প্রসঙ্গ পরিবর্তন করেছিলেন।
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।