CAA implemented in India: লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশ জুড়ে লাগু হল সিএএ আইন, জারি হল বিজ্ঞপ্তি জারি
CAA implemented in India: ২০১৯ সালে সংসদে পাস হয়েছিল এই আইনটি
হাইলাইটস:
- লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের মাস্টারস্ট্রোক
- কার্যকর হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি হল বিজ্ঞপ্তি
CAA implemented in India: লোকসভা নির্বাচনের মুখে মোদী সরকারের বড় পদক্ষেপ। প্রত্যাশিত ভাবেই লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখেই কার্যকর করা হল সিএএ (CAA) আইন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সিএএ (CAA) আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। আর এর সঙ্গে দেশ জুড়ে কার্যকর হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)।
We’re now on WhatsApp – Click to join
গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে সিএএ (CAA) কার্যকর করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সংসদে পাস হয়ে গিয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন৷ কিন্তু তারপর থেকে বিধি তৈরির কারণে ৫ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি৷ তবে যদিও বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ (CAA)-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে৷
সিএএ (CAA) আইনের অধীনে থাকা প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দু, পার্সি, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অধীনে ঠিক কী কী পদ্ধতিতে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সম্ভব, তারই পদ্ধতি এ দিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোদী সরকার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের পদ্ধতি একেবারেই সরল রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের আস্তিনের শেষ তাস বের করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহরা।
সূত্রের খবর, সিএএ (CAA) আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি পোর্টাল চালু করা হবে৷ সেই পোর্টালের মাধ্যমেই নিজস্ব মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি-র মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহীরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন৷
পশ্চিমবঙ্গের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে এই আইন কার্যকর হওয়া মূলত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে এক বড় অস্ত্র হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ বিশেষত বাংলার মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের অনুকূলে টানতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিজেপির প্রচারের বড় অস্ত্র হতে চলেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিরোধী নেতাই সিএএ-এর বিরোধিতা করে এসেছেন৷ তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য বার বারই দাবি করেছেন, সিএএ আইন ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কার্যকর করা হচ্ছে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়৷
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।