Sonajhuri Haat: শান্তিনিকেতন যাওয়ার প্ল্যান করছেন? জেনে নিন সোনাঝুড়ির হাট বসার নতুন দিনক্ষণ
Sonajhuri Haat: সপ্তাহে আর ৭ দিন খোলা থাকবে না শান্তিনিকেতনের সোনাঝুড়ি হাট
হাইলাইটস:
- উইকেন্ডে বোলপুর শান্তিনিকেতন যেতে চাইছেন?
- জানেন কি সোনাঝুড়ির হাট এবার থেকে সপ্তাহে আর ৭ দিন বসবে না?
- জেনে নিন বন দফতরের নির্দেশিকা
Sonajhuri Haat: রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতন মানেই, এখন সোনাঝুড়ি হাট। বোলপুর শান্তিনিকেতন গেলেই পর্যটকেরা কোথাও যান বা না যান অন্ততপক্ষে একবার ঘুরে আসেন সোনাঝুরি হাট থেকে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, বন দফতরের তরফে এই হাট সরিয়ে ফেলা হবে। যার ফলে চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছিল হাট ব্যবসায়ীদের কপালে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
সূত্রের খবর, এবার থেকে আর সপ্তাহে ৭ দিন খোলা থাকবে না এই হাট। সেই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, বন দফতরের জায়গা থেকে এখনই সরছে না সোনাঝুড়ি হাট। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, সপ্তাহের ৭ দিনের বদলে হস্তশিল্পীরা পসরা নিয়ে বসতে পারবেন মাত্র ৪ দিন।
এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে সোমবার অবধি বসবে এই হাট। আসলে সোনাঝুরি হাট সংলগ্ন এলাকা বন দফতরের অধীনে থাকায় বেশ কিছু বিধিনিষেধও চালু হতে চলেছে। বনদফতরের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, সোনাঝুড়ি হাট বসলেও কোনও ভাবে যাতে জঙ্গলের কিংবা গাছের ক্ষতি না হয় সেটাও দেখতে হবে হাট ব্যবসায়ীদের।
We’re now on Telegram – Click to join
জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় এই হাট বসায় গাছের মধ্যে পেরেক পুঁতে ত্রিপল টাঙিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। এবার থেকে এইসব আর কিছু করা যাবে না। সেই সঙ্গে হাট কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাতেই বসাতে হবে প্রায় ১০ হাজার নতুন চারা গাছ। এছাড়াও জঙ্গল থেকে মাটি চুরি কিংবা চার চাকা গাড়ি-টোটোর দৌরাত্ম্য বা গাছপালা নষ্ট হলেও বন দফতরের তরফে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।
আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী, হস্তশিল্পী এবং আদিবাসীশিল্পীদের নিয়ে বন দফতরের অধীনে থাকা এই জায়গায় শুরু হয়েছিল এই সোনাঝুরি হাট। নিছক কয়েকজনের প্রচেষ্টায় এই হাট শুরু হলেও বর্তমানে হস্তশিল্পীদের এই হাট আজ রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অনেকে তো এখন শান্তিনিকেতনে বেড়াতেই যান শুধুমাত্র সোনাঝুরি হাট থেকে শাড়ি কেনার জন্য। তাই যদি শান্তিনিকেতন আসার পরিকল্পনা করেন তবে সোনাঝুরি হাট বসার নির্দিষ্ট দিনগুলি দেখে তবেই ট্রেনের টিকিট কাটুন।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।