Historical Monuments In India: মুঘল শাসকদের দ্বারা নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি দুর্দান্ত স্থাপত্যের জন্য এখনও সারা বিশ্বে পরিচিত
হাইলাইটস:
- ভারতের বিশাল স্মৃতিস্তম্ভগুলি তাদের দুর্দান্ত স্থাপত্যের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত
- আজও পর্যটকরা ভারতের এই চমৎকার স্মৃতিস্তম্ভগুলি দেখতে মরিয়া
- মুঘল আমলে আমাদের দেশ অনেক ঐতিহাসিক ভবনের আশীর্বাদপুষ্ট ছিল
Historical Monuments In India: মুঘল সম্রাটরা ভারতের মাটিতে অত্যন্ত চমৎকার এবং বিশাল স্মৃতিস্তম্ভ (Great Monuments Of India) নির্মাণ করেছিলেন, যা আজও ভারতের ইতিহাস ও স্থাপত্যের গর্ব হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভগুলি শুধুমাত্র মুঘল আমলের সমৃদ্ধি এবং শক্তির প্রতীক নয়, বরং ভারতীয় সংস্কৃতি ও শিল্পের (Historical Monuments In India) একটি অমূল্য সম্পদ। এই বিশাল স্মৃতিস্তম্ভগুলি এখনও পর্যটকদের আকর্ষণ করে, আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন ১০টি অসাধারণ স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে, যেগুলি মুঘলদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
We’re now on WhatsApp – Click to join
১) তাজমহল, আগ্রা
ভারত এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি হল তাজমহল। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই বিশাল সমাধিটি মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতিতে তৈরি করেছিলেন। খাঁটি মার্বেল দিয়ে তৈরি তাজমহলের সৌন্দর্য দেখার মতো। এর সূক্ষ্ম খোদাই এবং সমৃদ্ধ নকশা ভারতের শিল্প ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি প্রতিফলিত করে। ১৯৮৪ সাল থেকে, তাজমহল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত।
২) লালকেল্লা, দিল্লি
শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত লালকেল্লা ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। লাল বেলেপাথরের তৈরি এই দুর্গের নির্মাণ শুরু হয় ১৬৩৯ সালে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এই দুর্গটি এখনও জাতীয় উৎসবের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩) কুতুব মিনার, দিল্লি
কুতুব মিনার পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মিনারগুলির মধ্যে একটি। ১২০০ খ্রিস্টাব্দে কুতুবুদ্দিন আইবক এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য মুঘল শাসকদের দ্বারা এটি সম্পন্ন হয়। এটি লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি একটি বিশাল স্তম্ভ, যা তার স্থাপত্য ও ইতিহাসের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত।
৪) জামা মসজিদ, দিল্লি
শাহজাহানের তৈরি জামা মসজিদ দিল্লির সবচেয়ে বড় মসজিদ। মুঘল স্থাপত্যের একটি চমৎকার নিদর্শন হওয়ায়, এই মসজিদটি তার জাঁকজমকের জন্য পরিচিত এবং এটি ভারত ও বিদেশের পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে।
We’re now on Telegram – Click to join
৫) বুলন্দ দরওয়াজা, ফতেপুর সিক্রি
‘বুলন্দ দরওয়াজা’, যার অর্থ ‘বিজয়ের দ্বার’, মহান মুঘল সম্রাট আকবর ১৬০১ সালে গুজরাট জয়ের উপলক্ষ্যে এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন। আগ্রার কাছে ফতেপুর সিক্রিতে অবস্থিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবেশদ্বার। এর মহিমা এবং স্থাপত্য মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি এবং সমৃদ্ধি প্রতিফলিত করে।
৬) হুমায়নের সমাধি, দিল্লি
নিজের পিতার স্মরণে মুঘল সম্রাট আকবর হুমায়নের সমাধি নির্মাণ করেছিলেন। এটি লাল বেলেপাথরের তৈরি একটি বিশাল সমাধি, যা তার স্থাপত্য ও ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত।
৭) বিবি কা মাকবারা, ঔরঙ্গাবাদ
আপনি কি জানেন ঔরঙ্গাবাদে একটি ‘মিনি তাজমহল’ আছে? বিবি কা মাকবারা নামের এই স্মৃতিস্তম্ভটি ঔরঙ্গজেবের পুত্র আজম শাহ তাঁর মায়ের জন্য নির্মাণ করেছিলেন। এর সৌন্দর্য এবং দুর্দান্ত নকশা আপনাকে তাজমহলের কথা মনে করিয়ে দেবে।
৮) আগ্রা ফোর্ট
তাজমহলের পর আগ্রার সবচেয়ে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ হল আগ্রা ফোর্ট। শাহজাহান দ্বারা নির্মিত এই দুর্গটি ইউনেস্কোর একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং দিল্লির লালকেল্লা থেকে অনুপ্রাণিত। দুর্গের ভেতরে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ভবন ও বাগান।
৯) মতি মসজিদ, আগ্রা
আগ্রা দুর্গের অভ্যন্তরে অবস্থিত মতি মসজিদ, শাহজাহান দ্বারা নির্মিত একটি সুন্দর সাদা মার্বেলের স্মৃতিস্তম্ভ। ১৬৪৭ সালে এর নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৬৫৪ সালে শেষ হয়। চকচকে পৃষ্ঠের কারণে একে ‘মতি মসজিদ’ বলা হয়।
Read more:- পুজোর ছুটিতে উত্তরবঙ্গের কোনও অফবিট ডেস্টিনেশন ঘুরতে যেতে চান? তবে আপনার গন্তব্য হতে পারে ঝান্ডি
১০) জামিয়া নিজামিয়া, ভূপাল
জামিয়া নিজামিয়া মুঘল সম্রাট আসফ জাহি কর্তৃক নির্মিত একটি মাদ্রাসা। এটি একটি বিশাল কমপ্লেক্স, যার মধ্যে অনেক শ্রেণীকক্ষ, মসজিদ এবং বাগান রয়েছে। আপনাদের বলি, জামিয়া নিজামিয়া ভারতের অন্যতম বড় মাদ্রাসা।
এইরকম আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
One Comment