Momo Trend In India: সবার প্রিয় মোমো হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে এসেছে, মোমোর ভারতে আসার মজার গল্পটি জেনে নিন
মশলাদার চাটনির কারণেই মোমো ভারতে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে (Momo Trend In India)। তবে ভারতে মোমোর যাত্রা এত সহজ ছিল না। যদিও আমরা এই খাবারটি তিব্বত এবং নেপাল থেকে পেয়েছি, আজ এটি ভারতের গর্বের একটি পদ (Momo History In India) হয়ে উঠেছে।
Momo Trend In India: এদেশে যখনই স্ট্রিট ফুডের নাম আলোচনা করা হয়, প্রথমেই আসে মমোর নাম, কীভাবে ভারতে মোমোর আগমন হল? গল্পটি শুনুন
হাইলাইটস:
- এভাবেই ভারতে মোমোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে
- মামো ১৯৭০ সালে ভারতের এই রাজ্যে আসে
- ভারতে মোমোর যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না
Momo Trend In India: ভারতীয়দের মধ্যে মোমোর ক্রেজ দিন দিন বাড়ছে। ভারতে মোমো একটি বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছে। এদেশে যখনই স্ট্রিট ফুডের নাম আলোচনা করা হয়, প্রথমেই আসে মমোর নাম। এটি একটি জলখাবার যা সব বয়সের মানুষই খেতে পছন্দ করেন। আগে, মোমো শুধুমাত্র বাষ্প অর্থাৎ স্টিমে প্রস্তুত করা হয়েছিল, কিন্তু আজ এটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে বানানো হয়। সবাই ভাজা, তন্দুরি, চকোলেট, কেএফসি স্টাইলের মোমো পছন্দ করছে। এখন রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে ছোট-বড় রেস্তোরাঁ সব জায়গায় এই মোমো সহজেই পাওয়া যায়। এর সাথে মশলাদার চাটনির যুগলবন্দীতে মানুষ এখন মোমোর জন্য কার্যত পাগল।
We’re now on WhatsApp – Click to join
মশলাদার চাটনির কারণেই মোমো ভারতে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে (Momo Trend In India)। তবে ভারতে মোমোর যাত্রা এত সহজ ছিল না। যদিও আমরা এই খাবারটি তিব্বত এবং নেপাল থেকে পেয়েছি, আজ এটি ভারতের গর্বের একটি পদ (Momo History In India) হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফুড ব্লগাররাও এটিকে বিখ্যাত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ভারতে মোমো আসার মজার গল্প কী এবং কেন এখানকার মানুষের মধ্যে মোমোর ক্রেজ এত বেড়েছে।
পাহাড় থেকে শুরু হয় মোমোর গল্প
ভারতবর্ষে মোমো কেবল একটি জলখাবার নয় বরং একটি অনুভূতিতে পরিণত হয়েছে। এখানে মোমোর ক্রমবর্ধমান ক্রেজ, ভারত কীভাবে সহজেই বিভিন্ন সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে নেয় তার প্রতীক। মোমোকে ভারতে তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। এর গল্প শুরু হয় পাহাড় থেকে। মোমো তিব্বত, চীন, নেপাল এবং ভুটানের মতো দেশের একটি প্রধান খাদ্য ছিল।
১৯৭০-৮০ সালে ভারতে মোমো নিজের পরিচয় তৈরি করে
তিব্বতি এবং নেপালিরাই এই রেসিপিটি ভারতে এনেছিলেন। ভারতে, মোমো প্রথমে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পৌঁছেছিল। যার মধ্যে রয়েছে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর। সেখানকার মানুষ মোমো খুব পছন্দ করত। ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এর পর তা পৌঁছে যায় দিল্লি ও কলকাতার মতো বড় শহরে। এটি ছিল ১৯৭০-৮০ সাল যখন মোমো ভারতে নিজের পরিচয় বানাতে শুরু করেছিল (Momo Evolution In India)।
We’re now on Telegram – Click to join
কীভাবে মোমোর প্রবণতা বাড়ল?
মোমোকে মানুষের প্রিয় করে তুলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে এর সাথে যে লাল এবং মশলাদার চাটনিটা দেওয়া হয়, তার। কারণ অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয়রা মশলাদার খাবার পছন্দ করেন। এর জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হল এটি খুব সস্তায় পাওয়া যায়। মোমো তৈরি করতে খুব বেশি উপকরণ বা সময় লাগে না। এটি ময়দা, সবজি বা মাংস এবং কিছু মশলা দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায়। যে কারণে রাস্তার ধারে বেশিরভাগ ফাস্টফুড বিক্রেতারা এটি তৈরি করেন। এ কারণে তাঁদের আয়ও বাড়ছে।
মানুষ সব মরসুমেই মোমো পছন্দ করে
আগে, মোমো কেবল ভাপিয়ে বা ভেজে তৈরি করা হত এবং ভিতরে সবুজ শাকসবজির পুর ভরা থাকত। কিন্তু এখন পনির, চিকেন, মটন ও ভুট্টারও পুর দেওয়া শুরু হয়েছে। তন্দুরি মোমো আজকাল সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফুড ব্লগাররাও মোমোকে বিখ্যাত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শীত হোক, গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা, প্রতিটি ঋতুতেই মোমো মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে।
Read more:- দোকানের মতো রসালো মোমোর স্বাদ এবার থেকে কী বাড়িতেই পেতে চান? তবে মাথায় রাখুন এই ৫টি টোটকা
ভারতে এখন এই ধরনের মোমো পাওয়া যায়
• স্টিমড মোমো
• ভাজা মোমো
• ক্রিস্পি মোমো
• চিজি মোমো
• চকোলেট মোমো
• কোরিয়ান মোমো
• গ্রেভি মোমো
• তন্দুরি মোমো
• মাঞ্চুরিয়ান মোমো
এইরকম আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।