WB Voter List Special Intensive Revision: ২৬শের নির্বাচনের আগেই নতুন ভোটের তালিকা! বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন
এই পদক্ষেপের তবে সময় ও পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দল এবং বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বহু বিশেষজ্ঞরা। এর জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে। নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি, বিহারে কাজ শুরু করেছে ভোটার তালিকা সংশোধনের, যার লক্ষ্য ভুয়ো এবং বাদ দেওয়া অনাগরিক ভোটারদের তালিকা থেকে।
WB Voter List Special Intensive Revision: ২০২৬ সালের ভোটের আগেই রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু নির্বাচন কমিশনের তরফে
হাইলাইটস:
- বিহারের পরই এবার বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রক্রিয়ার বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন
- জানা গিয়েছে বিহারের পর এবার নাকি রাজ্যেও এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রস্তুতি শুরু কমিশনের
- এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন? দেখুন
WB Voter List Special Intensive Revision: রাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) পরিকল্পনা করেছে ভোটার তালিকার সংশোধন (এসআইআর)। বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের পরই বর্তমানে রাজ্য-সহ কেরল, অসম, পুদুচেরি, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের।
We’re now on WhatsApp- Click to join
রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের
এই পদক্ষেপের তবে সময় ও পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দল এবং বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বহু বিশেষজ্ঞরা। এর জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে। নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি, বিহারে কাজ শুরু করেছে ভোটার তালিকা সংশোধনের, যার লক্ষ্য ভুয়ো এবং বাদ দেওয়া অনাগরিক ভোটারদের তালিকা থেকে। এ প্রক্রিয়ায় ভোটারদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে।
We’re now on Telegram- Click to join
এদিকে, বিরোধী দলগুলির তীব্র প্রতিবাদ জাগিয়েছে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এমন মনে করা হচ্ছে যে, সারা দেশে বিহার মডেলই অনুকরণ করা হবে। বিহারের পরে সংশোধনের কাজ হবে এ রাজ্যে এই ভোটার তালিকা। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা না করেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (সিইও) অফিস এর জন্য অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি আরও জোরদার করেছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে মনোজ আগরওয়াল কোনওরকম আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্র পাননি। তবে, তাঁর দফতর থেকে বলা হয়েছে যে, ‘সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা যাতে বিজ্ঞপ্তি আসার সাথে সাথেই অবিলম্বে আমরা কাজ শুরু করতে পারি। তা চলতে পারে আগস্ট থেকে শুরু হয়ে অক্টোবর পর্যন্ত।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে আগামী, ১লা আগস্টের দিকে শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধন, যা শেষ হবে অক্টোবর নাগাদ। এরপর প্রয়োজনে সামারি রিভিশন করা যাবে নভেম্বর আর ডিসেম্বর মাসেও। বিহারের ধাঁচে গণনার ফর্মের তালিকা আগে থেকে ছাপানো এবং এসআইআর একটি নির্দিষ্ট নথির ভিত্তিতে বাংলায় পরিচালিত হবে। তবে, সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম ও অন্যান্য আইনি পরামর্শের উপর নির্ভর করেই যাচাই-বাছাইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিছু অতিরিক্ত নথি।
অন্যদিকে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেছেন, ‘কবে শুরু হবে এসআইআর তা বলতে পারছি না আমরা, তবে পুরোপুরি আমরা প্রস্তুত। আমরা কাজ শুরু করব নির্বাচন কমিশনের নোটিফিকেশন এবংগাইডলাইন পেলেই।’ তিনি আরও বলেছেন, বুথ স্তরের অফিসার (বিএলও) সহ পূরণ করা হচ্ছে সিইও অফিস ও জেলা স্তরে শূন্য পদগুলিও। এখনও অবধি পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৭০ শতাংশ জেলা বৈঠক করেছে নতুন ভোটকেন্দ্র নির্বাচন নিয়ে ইআরও ও স্থানীয় থানাগুলির সঙ্গে। দাবি করা হয়েছে যে এই প্রক্রিয়া ১৫ই জুলাইয়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে।’
জানা যাচ্ছে, রাজ্যে সর্বশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছিল ২০০২ সালের ১লা জানুয়ারি। সে সময় তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ২৮ লক্ষ ভোটারের নাম। এর মধ্যে ছিলেন মৃত, রাজ্য অথবা বুথের বাইরে চলে যাওয়া ভোটাররাও। এদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে। তিনি বলেছেন যে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে হতে পারে এসআইআর জারি করা ষড়যন্ত্র এবং এর পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। মমতা বলছেন এটিকে ঘুরপথে এনআরসি।
এইরকম আরও নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।