Nabanna Abhijan Rally: অশান্তির টের আগে থেকে পেয়ে সর্বশক্তি নিয়েই ময়দানে পুলিশ
হাইলাইটস:
- নবান্ন অভিযান ঘিরে আজ উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি
- ইতিমধ্যে সর্বশক্তি নিয়েই ময়দানে হাজির হয়েছে পুলিশ
- কলকাতা ও হাওড়া দুই দিকেই থাকবছে ব্যারিকেড
Nabanna Abhijan Rally: আজ মঙ্গলবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে রয়েছে নবান্ন অভিযান। এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক পারদ চড়া শুরু হয়েছে। যার ফলে নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও তুঙ্গে। আজ হাওড়া, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক মিছিল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই দুই জেলার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ হয়ে হয়েছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এদিকে বিদ্যাসাগর সেতু এবং র্যাম্প, খিদিরপুর রোড, বেহালা তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, রিমাউন্ট রোড, কোল বার্থ রোড এবং কলকাতা বন্দরের সংযোগকারী ফিডার রোড-সহ কলকাতার একাধিক রাস্তায় আজ রাত ১০টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা করেছে কলকাতা পুলিশ। শুধু তাই নয়, যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, লাভার্স লেন এবং ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম রাস্তাতেও।
অপরদিকে হাওড়ার মঙ্গলাহাটও আজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। এই হাটে পাইকারি বা খুচরো জিনিসপত্র কেনাবেচা হয়। তবে আজ সব ধরনের কেনাবেচা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এটি নবান্নের অনেক কাছেই অবস্থিত। তবে ব্যবসার ভরা মরসুমে মঙ্গলাহাট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা অনুমান করছেন বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
We’re now on Telegram – Click to join
আজ নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬ হাজার বাহিনী মোতায়েন থাকছে। হাওড়া-কলকাতা মিলিয়ে মোট ১৯টি পয়েন্টে থাকছে ব্যারিকেড। এমনকি পরিস্থিতি বুঝে বন্ধ করা হতে পারে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর যান চলাচলও। সকাল ৮টা থেকে জলকামান, টিয়ার গ্যাস, র্যাপ নিয়ে সকাল ৮টা থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে পুলিশ। থাকছেন ২৬ জন ডিসি।
Read more:- ‘ফেক নিউজ’ রুখতে সতর্ক রাজ্য পুলিশ, জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা
এই নবান্ন অভিযান ঘিরে গতকাল অর্থাৎ সোমবার দফায় দফায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজকুমার ভার্মা জানিয়েছেন, এই অভিযানে মহিলা এবং পড়ুয়াদের সামনে রেখে অশান্তির ছক কষেছে একাংশ। শুধু তাই নয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ আসলে কারা, তা নিয়ে একপ্রকার ধন্দও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই অভিযান একেবারেই বেআইনি। তবে তার পরেও এই অভিযান মোকাবিলা করতে সর্বশক্তি নিয়েই ময়দানে থাকবে পুলিশও।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।