Mega Meeting in Patna: পটনার মেগা বৈঠকে ‘মমতা-রাহুল’ একই মঞ্চে, তবে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের সমীকরণ কী হতে চলেছে?
Mega Meeting in Patna: বৈঠকের মধ্যমণি ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস:
• গতকাল বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ‘মমতা-রাহুল’ ছিলেন একই মঞ্চে
• নীতিশ কুমারের আয়োজিত বৈঠকে ১৫টি বিজেপি বিরোধী দলকে একছাতার তলায় দেখা গেল
• বিজেপি বিরোধী মহাজোটের মেগা বৈঠক কতটা সফল, তা বলবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল
Mega Meeting in Patna: ২৩শে জুন, শুক্রবার পটনায় হওয়া মেগা বৈঠক থেকেই সূচনা হল চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের নতুন সমীকরণ৷ বৈঠক শেষে বৈঠকের মূল আয়োজক নীতীশ কুমার জানান, পটনার এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন ১৫টি দলের প্রতিনিধি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে হারানোর জন্য তাঁরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বিজেপি বিরোধী জোটের পরবর্তী বৈঠক হবে আগামী জুলাই মাসে৷ সেই বৈঠকের আয়োজন কংগ্রেস করবে বলে জানান নীতীশ কুমার৷
গতকাল বৈঠক শেষে নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘আজকের আলোচনা ভালো হয়েছে৷ সকলে সম্মতি দিয়েছেন৷ খুব তাড়াতাড়িই আবার সবাই বৈঠকে বসবে। পরবর্তী বৈঠক করবেন মল্লিকার্জুন খাড়গেখড়্গে৷ কোন দল, কত আসনে কোথায় লড়বে সেটা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে৷ আপাতত এটাই স্থির হয়েছে। যেভাবে বিজেপি সরকার চালাচ্ছে তার বিরোধিতা করেছে সবাই৷’’
বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে এই বছরের প্রথম থেকেই রীতিমতো মাঠে নেমে পড়েছেন নীতীশ কুমার৷ আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন রাহুল, মমতা ও অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে নীতিশ কুমার নবান্নেও এসেছিলেন৷ সেই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে পটনায় একটি বৃহত্তর বৈঠকের আয়োজন করার পরামর্শ দেন৷ সেই পরামর্শ মতোই গতকাল, ২৩শে জুন আয়োজন করা হয় এই মেগা বৈঠক৷
গত বৃহস্পতিবারই এই বৈঠকে যোগ দিতে পটনা পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওনারা লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন৷ গতকাল সকালে মেগা বৈঠকে যোগ দিতে পটনা পৌঁছন রাহুল গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে৷ শুক্রবার রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়্গেকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত৷ তারপরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক হয় আধ ঘণ্টা৷
মেগা বৈঠকে রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে৷ এছাড়াও ছিলেন মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাও৷ অন্যদিকে, বামেদের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য৷
বৈঠক শেষের পর রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দেশের প্রতিষ্ঠানের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। আঘাত হানা হচ্ছে আমাদের দেশের আদর্শের উপরে। কোথাও কোথাও ছোট ছোট মতবিরোধ আছে৷ কিন্তু সকলে একসাথে লড়াই করবে এই বিষয়ে আমরা সহমত পোষণ করেছি।’’
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানান, বিরোধী দলগুলির পরবর্তী বৈঠক সিমলায় আয়োজিত হবে আগামী ১২ই জুলাই৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিজেপি-কে পরাজিত করতে যৌথ ভাবে প্রতিটি রাজ্যের জন্য পৃথক রণকৌশল তৈরি করব৷ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন এই ইউনাইটেড ফ্রন্টে৷ এই জোটকে আমরা সকলে একসাথে আরও শক্তিশালী তৈরি করব৷’’
অপরদিকে, বৈঠক শেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা যায় ঐক্যের বার্তা৷ তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘একাধিক মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও এসেছেন। এসেছেন শরদ পওয়ারের মতো নেতা। অনেক দিন পরে মাঠে নেমেছে লালু প্রসাদ যাদবের মতো নেতা। সবাই এসেছেন। পটনায় আমি বৈঠক করতে বলেছিলাম, কারণ এখান থেকে শুরু হয় জন আন্দোলন। অনেক মিটিং করেছি দিল্লিতে, কিন্তু কোনও ফলপ্রসূ হয়নি। আমরা সবাই এক হয়ছি। এক সাথে লড়াই করব আমরা।’’
মোটের ওপর বোঝা গেল গতকালের মেগা বৈঠক সফল। এবার প্রশ্ন হল, আসন সমঝোতায় বৃহত্তর ঐক্যের জন্য কে কতটা স্বার্থত্যাগ করেন। এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে জুলাইয়ের বৈঠকে।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।