Mamata Banerjee: নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বামেরা
Mamata Banerjee: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুরহস্য নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস:
- এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ফের বামেদের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী
- ফের একবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুরহস্য নিয়ে মুখ খুললেন তিনি
- সরাসরি আক্রমণ করলেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিকে
Mamata Banerjee: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুরহস্য নিয়ে ফের একবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় আবারও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের অনুষ্ঠান থেকে যাদবপুর কাণ্ডে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র নিন্দা করেন।
এই সভা থেকে তিনি বলেন, “আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করতাম এবং এখনও করি। কিন্তু আপনারা সকলে দেখলেন তো একটি ছাত্রকে কীভাবে সিপিএম-র ইউনিউয়নগুলি এবং বামপন্থীরা কীভাবে মেরে ফেলল। সেখানের পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি। এতো ভুল করেও তারা বদলায়নি। এতো রক্ত নিয়েও বদলায়নি। কারণ এরা জীবনেও বদলাবে না, মনে রাখবেন।”
যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুরহস্য নিয়ে গত ১৪ তারিখ কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিল বামেরা। তিনি সেদিনের মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, “ছেলেটির বাবা মা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাঁর নামকরণ করেছিলেন। আর যাদবপুরে
ছেলেটিকে অত্যাচার করতে করতে তাঁকে শেষ করে দিল। আমি নিজে ছেলেটির বাবার সাথে কথা বলেছি ফোনে। ওর বাবা ফোনে বলেছেন আমাকে, ছেলেটি খুব কাঁদত আর বলতো খুব অত্যাচার হয়েছে। আমি যাব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু আমি এতো দূর।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ছেলেটির বাবা বলেছেন ছেলের মৃত্যুর বিচার চান। আমিও তাঁকে আশ্বাস দিয়েছি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বপ্নদীপের বাবা আরও বলেন, “আমি কিন্তু বুঝতে পারিনি ওরা আমার ছেলেকে এইরকম নির্মম অত্যাচার করে উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। আমি এর সঠিক বিচার পাই। আর এইদিকে মুখ্যমন্ত্রীও বামেদের নিশানা করে বলেন, “এরা কারা? এরা হল মাক্সসবাদী। এখন বিজেপি করছে বা কখনও কংগ্রেসের সঙ্গেও ঘর করছে। তৃণমূল হল ওদের এক নম্বর শত্রু। ওদের লজ্জা, আবেগ, বিবেক বলে তো কিছুই নেই।” তবে তাঁর কথায়, “সবাই কিন্তু খারাপ না। ওখানে কিছু আগমার্কা সিপিএমও আছে। আর তারাই তো মনে করে গ্রামবাংলা থেকে নতুন ছেলেমেয়েরা আসলেই তাদের উপর অত্যাচার চালানো তাদের নৈতিক অধিকার। এদের আজও কোনও লজ্জা নেই। এরা হল একরকমের দানবিক শক্তি, মানবিক শক্তি নয়।”
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।