Politics

Aparna Sen: “পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল কিন্তু এই পরিবর্তনও চায়নি বাংলার মানুষ”, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি অপর্ণা সেনের

Aparna Sen: পঞ্চায়েত পরবর্তী হিংসা নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন

হাইলাইটস:

• নির্বাচনী হিংসা এবার হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অপর্ণা সেনের

• পঞ্চায়েত নির্বাচনী হিংসার ঘটনায় তীব্র নিন্দাও প্রকাশ করেন তিনি

• তাঁর মতে, পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল কিন্তু এই পরিবর্তনও চায়নি বাংলার মানুষ

Aparna Sen: বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা, অশান্তি এবং খুনোখুনি জেরে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনী হিংসার ঘটনায় তীব্র নিন্দাও প্রকাশ করেন তিনি। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত একের পর এক রক্ত ঝরায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং আতঙ্কিত তিনি।

রাজ্যে পালাবদলের সময় ‘পরিবর্তন’ পন্থীদের মধ্যে অপর্ণা সেন ছিলেন অন্যতম। তাঁকে অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের সাথে মহানগরের রাজপথে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর কথায়, পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল কিন্তু এই পরিবর্তনও চায়নি বাংলার মানুষ”। তিনি আরও বলেন, “বাম জমানায় যেমন অত্যাচারের প্রতিবাদ করা হয়েছিল, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তৃণমূলের আমলেও। সুতরাং বলা যায়, নির্বাচনী হিংসার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারকেই দায়ী করেছেন।

অপর্ণা সেন তাঁর খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘আপনি অবগত আছেন যে গত ৮ই জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৩৭ দিনে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তত ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। আপনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা অস্বীকার না করেও, অবশ্যই এই কথা বলা যায় যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হওয়া হিংসা ও অরাজকতার দায়ভার মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এবং আপনার।’

তিনি এও দাবি করেন, বাংলায় গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই, এমন অবস্থা চলতে থাকলে কিছুদিন পর তো বাক স্বাধীনতার অধিকারও চলে যাবে। তাঁর মতে, তৃণমূল সহ প্ৰতিটি রাজনৈতিক দলই দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি চিঠিতে যুক্তি দেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী অরাজকতার দায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এর দায় নিতে হবে। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপরে নির্ভর করে চলে।

এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button