Abhishek Banerjee: দিল্লির প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে লাইভ সম্প্রচার অভিষেকের! নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তিনি
Abhishek Banerjee: ট্রেন বাতিলের জন্য এবার সড়কপথেই দিল্লি যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল
হাইলাইটস:
- তৃণমূলের তরফে দিল্লির প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে লাইভ সম্প্রচার অভিষেকের
- কেন্দ্রকে এমনই হুংকার দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
- এবার দিল্লিতে কীভাবে আন্দোলন হবে, তারও রূপরেখা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি
Abhishek Banerjee: দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি নিজেদের প্রাপ্য ‘বকেয়া আদায়’-এর জন্য দিল্লি গিয়ে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল তৃণমূল। তবে বাংলার ১০০ দিনের কর্মী এবং আন্দোলনকারীদের জন্য যে ট্রেনের আয়োজন করা হয়েছিল সেই ট্রেনও বাতিল করেছে মোদি সরকার। যার ফলে ট্রেনের পরিবর্তে বাসে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ট্রেন বাতিলের জন্য গতকালই মোদি সরকারকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও বলেছিলেন যে, ট্রেনের বাতিল হলেও তাঁরা বিকল্প পথের ব্যবস্থা করবেন। তবে এবার তিনি রূপরেখা স্পষ্ট করে দিলেন, দিল্লিতে কীভাবে এই আন্দোলন হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আগামী ২রা এবং ৩রা অক্টোবর দিল্লিতে রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ২রা অক্টোবর দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা দিল্লির রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে চলেছেন। আর অন্যদিকে, ৩রা অক্টোবর যন্তরমন্তরের সামনে প্রতিবাদ জানাবেন বাংলা থেকে যাওয়া ১০০ দিনের কর্মীরা। আর এই যাবতীয় বিক্ষোভ কর্মসূচি লাইভ সম্প্রচারিত করা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। প্রথমদিন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিরা গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান দিয়ে শুরু করবেন কর্মসূচি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “২রা অক্টোবর দিল্লিতে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার জন্য একাধিকবার আমরা দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলাম। তবে সর্বত্র আমাদের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও বাধাই কাজ করবে না। বাংলার মানুষের আন্দোলন ও লড়াই করার এই অধিকারকে দিল্লির সরকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। জল দেব না, ঘর দেব না, প্রতিবাদ করার অধিকারও দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের তরফে যে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা বাতিল করা হয় মোদি সরকারের তরফে। সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা নেওয়ার পরেও ট্রেন দেওয়া হচ্ছে না আমাদের। এইদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন হাতে সবুজ পতাকা নিয়ে ট্রেন উদ্বোধন করছেন। কিন্তু, সেই ট্রেনে গরিব মানুষ যেতে পারবে না।” এমনকি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলব প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, “ইডি-সিবিআই-কে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূলের মনোবল ভাঙা যাবে না। লড়াই তো আরও জোরাল হবে।” এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, দিল্লিতে যদি কোনও সাধারণ মানুষের গায়ে হাত পড়ে তবে গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষ তার জবাব দেবে বলে।
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।