lifestyle

Younger Wife: আপনার এবং আপনার স্ত্রীর মধ্যে জেনারেশন গ্যাপের কারণে ঠিক মতো মনের মিল হচ্ছে না? এই ৫টি টিপস কাজে লাগান

আগেকার দিনের বাবা মা-রা মনে করতেন মেয়ের একটু বড় বয়সের পাত্রের সাথে বিয়ে দিলে সংসার জীবন সুখের হবে।

Younger Wife: স্ত্রী বয়সে ছোট হলে মানসিকতায় পার্থক্য তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক

হাইলাইটস:

• অতীতে একটু জেনারেশন গ্যাপ দেখলেই মেয়ের বিয়ে দিতেন বাবা মা-রা

• তবে এখনকার দিনে জেনারেশন গ্যাপ অনেকটাই সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে স্বামীদের

• সুতরাং আমাদের দেওয়া টিপসগুলি ফলো করুন

Younger Wife: আগেকার দিনের বাবা মা-রা মনে করতেন মেয়ের একটু বড় বয়সের পাত্রের সাথে বিয়ে দিলে সংসার জীবন সুখের হবে। যার ফলে তারা কমপক্ষে ১০ বছরের বড় পাত্র খুঁজতেন তাদের মেয়ের জন্য। তবে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত। ফলে বিয়ের জন্য আর কেউই বয়স দেখেন না। স্বামীকেই যে স্ত্রীর চেয়ে বয়সে বড় হতে হবে তার কোনও যুক্তি এখনকার উন্নত সমাজে নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে আজও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জেনারেশন গ্যাপ থেকে গেছে। ফলে মনের মিল তো হচ্ছেই না বরং সংসার জীবনেও সুনামি নেমে আসছে। স্ত্রী বয়সে ছোট হলে মানসিকতায় পার্থক্য তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ আপনার যদি ভালো লাগে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তবে তার পছন্দ বিরাট কোহলি। অবশ্য সবার আলাদা পছন্দ থাকলেই পারে। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে জেনারেশন গ্যাপের সমস্যা। যার ফলে স্বামীরা হয়ে উঠেছেন নিরুপায়। তারা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না স্ত্রীর সাথে কীভাবে মানিয়ে চলবেন! আজ আমরা এইরকম নিরুপায় স্বামীর জন্যই নিয়ে এসেছি ৫টি দুর্দান্ত টিপস। দেখে নিন সেগুলি –

১. ভাবনা-চিন্তার পরিবর্তন আনা জরুরি:

আপনার এবং আপনার স্ত্রীর মধ্যে হয়তো জেনারেশন গ্যাপ রয়েছে। তবে সেদিকে না ভেবে আপনাকে প্রথমে এটি জানতে হবে নতুন জেনারেশনের রীতিনীতি। অনেকেই আছে যারা খুব সহজেই নতুন মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে। সে যতই বয়সের ফারাক থাকুক না কেন। আপনাকেও যে এই গুণগুলি আয়ত্ব করতে হবে। একবার যদি স্ত্রীর সাথে বন্ধুর মতো মিশে যান, আর চিন্তা কী, আপনাদের মধ্যে দূরত্ব সহজেই মিটে যাবে।

২. স্ত্রীকে বেশি করে সময় দিন:

অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র মনের মিল হচ্ছে না, এই অজুহাতে একে অপরের থেকে ১০০ মাইল দূরে সরে যান। তবে এটি মস্ত বড় একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ এই দূরত্ব খুব সহজে মেটে না। আপনি আবার এইরকম কোনও সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। এতে আপনাদের বিবাহিত জীবনের ক্ষতি হতে পারে। বরং স্ত্রীকে বেশি করে সময় দিন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য ফাঁকা সময় বের করুন। স্ত্রীর সাথে দিনের বেশিটা সময় কাটালে তাকে আরও বেশি করে ভালোবাসতে পারবেন। তখন সেও মন খুলে আপনার কাছে নিজেকে জাহির করবেন। ফলে তার ভাবনা চিন্তাও আপনার খানিকটা বোধগম্য হবে। এইভাবেই জেনারেশন গ্যাপ মিটিয়ে ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে পারবেন।

৩. নিজেকে তার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন:

অনেক পুরুষ মানুষেরই ইগোর সমস্যা থাকে। এই ইগোর চক্করে তারা নতুন কিছু মেনে নিতে পারেন না। স্ত্রীর দিক থেকে গ্রিন সিগন্যাল না পেলে তারা এগোবেন না। তবে আপনিও যদি এইরকমই ইগোবাদী হন তবে মহা সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ মহিলারা একটু লাজুক স্বভাবেই হয়। তারা মুখ ফুটে কিছু বলতে চায়না। তবে আপনি আবার নিজের ইগো নিয়ে বসে না থেকে এগিয়ে আসুন। কারণ আপনার থেকে এরকম ব্যবহার পেলে স্ত্রীও নিজেকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেবে। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ে বৈকি কমে না। তাই এহেন আচরণ থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন। ইগোকে দূরে সরিয়ে স্ত্রীকে আপন করে নিন। সে এগোচ্ছে না তো কী আছে, আপনি আপনার ১০০ শতাংশ লাগিয়ে দিন। এইভাবেই আপনাদের জেনারেশন গ্যাপের সমস্যা অনেকটাই মিটতে পারে।

৪. অভিভাবকের ভূমিকায় অভিনয় নয়:

বিয়ের পর প্ৰতিটি মহিলার অভিভাবক স্বামীই। তবে স্ত্রীর বয়স কম বলে তার সাথে অভিভাবকের মতো আচরণ করবেন, তা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ একবার যদি আপনি নিজেকে তার অভিভাবক হিসাবে জাহির করতে শুরু করেন, তবে আপনার মধ্যে সবেতেই বাধা দেওয়ার ব্যাপারটি চলে আসবে। সবসময় তাকে সব বয়সে বাধা দেবেন এবং তার উপর ছড়ি ঘোরাবেন। তবে সমস্যা হল, বিয়ের প্রথম প্রথম সে সব কিছু মেনে নিলেও পরের দিকে তাও এই জীবন একঘেয়ে লাগবে। তখন শুরু হবে দাম্পত্য কলহ। তার থেকে ভালো আপনি আপনি তাকে অবশ্যই গ্রাইড করবেন, তবে তার সব ব্যাপারে মাতব্বরি করতে যাবেন না। এইভাবেই আপনি জেনারেশন গ্যাপের সমস্যা দূর করতে পারবেন।

৫. তার বন্ধু হয়ে উঠুন:

অভিভাবকের মতো আচরণ না করে বরং চেষ্টা করুন তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি হয়ে উঠার। তাকে সমর্থন করুন। বিশেষ করে ভালোকে ভালো বলুন এবং খারাপ কিছু দেখলে শুধরে দিন। কোনওরকম বকাঝকা না করে এবং কোনও রকম চাপ না দিয়ে তার ভুলগুলি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই শর্ত মেনে চললেই জেনারেশন গ্যাপের সমস্যা জানালা দিয়ে উড়ে যাবে। আর আপনাদের দাম্পত্য জীবনও হবে সুমধুর।

এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button