lifestyle

World Day For Safety And Health At Work: ২৮শে এপ্রিল কেন পালিত হয় ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস’? এর গুরুত্ব এবং এই বছরের থিম কী তা বিস্তারিত জানুন

আমরা যখন দৈনন্দিন কাজের জন্য বাইরে যাই, তখন কর্মক্ষেত্র নিরাপদ থাকা আমাদের মৌলিক অধিকার। কেউ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে চায় না। 'বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস' পালিত হয় যাতে বিশ্বজুড়ে কোম্পানি, সরকার এবং সংস্থাগুলি কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা উন্নত করে এবং কর্মীদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।

World Day For Safety And Health At Work: ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস’ এই বিশেষ দিনটির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন

হাইলাইটস:

  • প্রতি বছর ২৮শে এপ্রিল পালিত হয় ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস’
  • এই বিশেষ দিনটি কেন প্রতি বছর এই দিনেই পালিত হয় তা জানেন?
  • আসুন আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিই এই দিনটির গুরুত্ব কি?

World Day For Safety And Health At Work: যারা বাড়ির বাইরে কাজ করেন তাদের কেবল একটিই ইচ্ছা থাকে। অর্থাৎ, তারা কাজ করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চায়। এর পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। কিন্তু সবার এই ইচ্ছা পূরণ হয় না। কখনও কখনও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকে বলে মনে হয়। যার কারণে কখনও কখনও কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাও ঘটে। যেগুলো এতটাই বিপজ্জনক যে এর ফলে কারো জীবনও নষ্ট হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনাগুলি যাতে কোনও পরিবারের জন্য শোকের কারণ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, প্রতি বছর বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য হল কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া। আসুন জেনে নিই কেন এই দিনটি পালিত হয়। এর ইতিহাস কী? এর গুরুত্ব কী এবং ২০২৫ সালের থিম কী?

We’re now on WhatsApp- Click to join

আমরা কেন বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন করি?

আমরা যখন দৈনন্দিন কাজের জন্য বাইরে যাই, তখন কর্মক্ষেত্র নিরাপদ থাকা আমাদের মৌলিক অধিকার। কেউ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে চায় না। ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হয় যাতে বিশ্বজুড়ে কোম্পানি, সরকার এবং সংস্থাগুলি কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা উন্নত করে এবং কর্মীদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। এই দিবসের বার্তা হল, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তনও একজন শ্রমিকের জীবন বাঁচাতে পারে। এই দিনটি সেইসব শ্রমিকদেরও স্মরণ করে যারা কাজের সময় দুর্ঘটনা বা রোগের শিকার হয়েছিলেন

We’re now on Telegram- Click to join

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস

ইতিহাসের কথা বলতে গেলে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিবসটি উদযাপন শুরু করে। কিন্তু ২৮শে এপ্রিল বেছে নেওয়ার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে।

আসলে এই তারিখটি ‘মৃত ও আহত শ্রমিকদের জন্য আন্তর্জাতিক স্মরণ দিবস’-এর সাথে সম্পর্কিত, যা ১৯৯৬ সালে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন দ্বারা শুরু হয়েছিল। এই দিনটি লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের প্রতি উৎসর্গীকৃত যারা তাদের কাজ করার সময় দুর্ঘটনা বা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার হয়েছিলেন।

World Day For Safety And Health At Work

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবসের গুরুত্ব

আজকাল প্রযুক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে, কাজের ধরণও পরিবর্তিত হচ্ছে। অতএব, নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলিও আপডেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই দিনের গুরুত্ব এভাবে বোঝা যায়-

কর্মীদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করা

– কোম্পানিগুলিকে উন্নত নিরাপত্তা পদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহিত করা

– সরকারকে শক্তিশালী নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের জন্য সচেতন করা।

– কর্মক্ষেত্রকে স্বাস্থ্যকর এবং চাপমুক্ত করা।

– ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।

Read More- আজ বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস, জেনে নিন এই দিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ এর থিম 

প্রতি বছর এই দিবসের জন্য একটি থিম নির্ধারণ করা হয়, যা বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে। ২০২৫ সালের থিম হল:

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় বিপ্লব: কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিজিটালাইজেশনের ভূমিকা’

এর অর্থ হল, আগামী সময়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এর মতো নতুন প্রযুক্তি কর্মক্ষেত্রকে আরও নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে। স্মার্ট হেলমেটের মতো, নিরাপত্তা সেন্সর, স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ইত্যাদি ভবিষ্যতের নিরাপত্তা সরঞ্জাম হয়ে উঠবে। এই থিমটি আমাদের প্রস্তুত করে যে কীভাবে আমরা প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ উন্নত করতে পারি।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button