Winter Bath Tips: শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করা কি সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক? কারা ঠান্ডা জলে স্নান করতে পারবেন এবং কারা পারবেন না জেনে নিন
ইদানীংকালে বরফ-জলে স্নান করা বা স্কিন কেয়ার রুটিনে বরফ-জল রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ইয়ং জেনারেশনের মধ্যে। তবে আপনি কি শীতের সময়ে ঠান্ডা জলে স্নান করা স্বাস্থ্যের জন্য আদেও ভালো কি না?
Winter Bath Tips: শরীরে কোন রোগ থাকলে শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান না করাই ভালো
হাইলাইটস:
- শীতকালে কেউ কেউ ঠান্ডা জলে স্নান করলেও বেশিরভাগেই ভরসা গরম জল
- এই শীতে ঠান্ডা জলে স্নান করার আগে জেনে নিন এটি আদেও উপকারী কি না
- হার্টের রোগী বা হাঁপানি রোগীরা এই সময় ভুলেও ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না
Winter Bath Tips: উত্তর ভারতের অধিকাংশ জায়গায় বরফ পড়া শুরু হলেও বাংলায় এখনও জাঁকিয়ে ঠান্ডা তেমন পড়েনি। তবে ঠান্ডা জলে স্নান করা যাচ্ছে না। ফলে ঈষদুষ্ণ জলই ভরসা। অনেকে আবার কালের তোয়াক্কা না করে সারা বছরই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করে থাকেন। চিকিৎসকদের মতে, শরীর ভালো রাখতে ঠান্ডা জলে স্নান করারও একাধিক উপকারিতা রয়েছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ইদানীংকালে বরফ-জলে স্নান করা বা স্কিন কেয়ার রুটিনে বরফ-জল রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ইয়ং জেনারেশনের মধ্যে। তবে আপনি কি শীতের সময়ে ঠান্ডা জলে স্নান করা স্বাস্থ্যের জন্য আদেও ভালো কি না? তবে এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কাদের জন্য ঠান্ডা জলে স্নান করা উপকারী এবং কারা একেবারেই সে পথে যাবেন না –
• কোনও রকম অসুখবিসুখ এবং অ্যালার্জির জনিত সমস্যা না থাকলে শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করাই যায়। তবে মনে রাখতে হবে, জল যেন কনকনে ঠান্ড না হয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা জলে স্নান করলে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না।
• ২০১৬ সালে এক গবেষণার দাবি করা হয়েছিল যে, ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো সাধারণ সংক্রামক ব্যধিগুলিও নিরাময় সম্ভব।
We’re now on Telegram – Click to join
• এমনকি ঠান্ডা জলে স্নান করলে মানসিক চাপ কমার সাথে সাথে অবসাদজনিত অসুখ ঠেকিয়ে রাখা যায়। বিপাকের হারও উন্নত হয়। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা, কারণ তারা যদি বেশি ঠান্ডা জলে স্নান করেন তবে হিতে বিপরীত হতে পারে।
• যারা হার্টের রোগী কিংবা আগে স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে, তারা শীতকালে অবশ্যই উষ্ণ জলে স্নান করবেন। বেশি ঠান্ডা জল শরীরে ঢাললে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্লথ হয়ে পড়ায় সারা দেহের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে হৃদযন্ত্র নিজের গতি বাড়িয়ে দেবে। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাবে এবং অস্বাভাবিক হার্টরেট বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতীতে শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শোনা গেছে।
• অন্যদিকে হাঁপানি বা সিওপিডি-র সমস্যা যাদের আছে, তারা এই শীতকালে ভুলেও ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না। এতে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ঠান্ডা জলে স্নান করায় ফুসফুসে সংক্রমণও দেখা দিতে পারে।
Read more:- আবহাওয়ার পরিবর্তনে সময় সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে টিপসগুলি অনুসরণ করুন
• যাদের কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস আছে, তারা যদি শীতে কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান করেন তবে ত্বকের প্রদাহ, র্যাশ এবং চুলকানির মতো একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করাই ভালো।
এই রকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।