lifestyle

Why Is Cigarette Hard To Quit: সিগারেটের আসক্তি ত্যাগ করা এত কঠিন কেন? ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন মস্তিষ্কের উপর এর কী প্রভাব পড়ে

কেন প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ "আজকের পর আর নয়" বলে শপথ করে, অথচ কয়েক দিনের মধ্যেই আবার একই ধোঁয়ার মাঝে ফিরে আসে? আসলে, এটি কেবল ইচ্ছাশক্তির অভাব নয়, বরং আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে লুকিয়ে থাকা একটি গভীর বৈজ্ঞানিক ধাঁধা।

Why Is Cigarette Hard To Quit: সিগারেটের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া কী এতই কঠিন? শুধুই কী ইচ্ছাশক্তির অভাব নাকি এর পেছনে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে? জেনে নিন

হাইলাইটস:

  • সিগারেটের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া এত কঠিন কেন?
  • এর পিছনে কী কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে?
  • জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত

Why Is Cigarette Hard To Quit: আপনার পকেটে থাকা সেই ছোট সিগারেটের প্যাকেটটি, যা দেখতে খুবই সাধারণ, আসলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিজের দাস করে তুলছে। হ্যাঁ, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন কেউ যখন এটি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন সে নিজেকে অসহায় এবং শক্তিহীন মনে করে?

We’re now on WhatsApp – Click to join

কেন প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ “আজকের পর আর নয়” বলে শপথ করে, অথচ কয়েক দিনের মধ্যেই আবার একই ধোঁয়ার মাঝে ফিরে আসে? আসলে, এটি কেবল ইচ্ছাশক্তির অভাব নয়, বরং আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে লুকিয়ে থাকা একটি গভীর বৈজ্ঞানিক ধাঁধা। আসুন আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিই সিগারেটের ধোঁয়া আমাদের মস্তিষ্কে কী জাদুকরী প্রভাব ফেলে যে এর আসক্তি ত্যাগ করা এত কঠিন হয়ে পড়ে।

নিকোটিন মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় শত্রু

সিগারেট খাওয়ার সাথে সাথেই এতে উপস্থিত নিকোটিন নামক রাসায়নিকটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। এই নিকোটিন মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক একটি রাসায়নিক নিঃসরণ করে। এই ডোপামিন হল সেই রাসায়নিক যা আমাদের খুশি এবং সন্তুষ্ট বোধ করায়। এই কারণেই সিগারেট খাওয়ার পরে আপনি ভালো বোধ করেন, মানসিক চাপ কমে যায় এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।

We’re now on Telegram – Click to join

মস্তিষ্কর ‘মিথ্যা সুখ’

আমাদের মস্তিষ্ক ডোপামিনের এই ‘নকল সুখ’-এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে, এত সুখ পেতে মস্তিষ্কের নিকোটিনের একটি অবিরাম ডোজ প্রয়োজন হতে শুরু করে। যখন আপনি ধূমপান করেন না, তখন ডোপামিনের মাত্রা কমে যায় এবং আপনার অস্থিরতা, বিরক্তি, বিষণ্ণতা এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধার মতো সমস্যা দেখা দেয়। একে ‘প্রত্যাহারের লক্ষণ’ বলা হয়।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

অনেকেই ধূমপান ত্যাগ করতে চান কিন্তু তবুও তারা এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। এর প্রধান কারণ হল নিকোটিনের আসক্তি। নিকোটিন হল একটি রাসায়নিক যা মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ করে, যা একজন ব্যক্তিকে অল্প সময়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য এবং আনন্দিত বোধ করায়। এই কারণেই যখন একজন ব্যক্তি ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন, তখন তাকে বিরক্তি, অস্থিরতা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা এবং মনোযোগের অভাবের মতো প্রত্যাহারের লক্ষণগুলির মুখোমুখি হতে হয়।

বারবার কেন ইচ্ছা করে?

ধূমপান কেবল একটি শারীরিক আসক্তি নয়, এটি একটি মানসিক অভ্যাসও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু মানুষ যখন চাপ, একাকীত্ব বা মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকে তখন সিগারেটের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কখনও কখনও সামাজিক পরিস্থিতি, যেমন বন্ধুদের সাথে মদ্যপান, এই অভ্যাসকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

নিকোটিন আসক্তির কারণে মস্তিষ্কে তৈরি ‘পুরষ্কারের পথ’ এতটাই শক্তিশালী যে আপনি যখন চাপে থাকেন, খুশি থাকেন, এমনকি এমন কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় থাকেন যেখানে আপনি আগে সিগারেট খেতেন, তখন মস্তিষ্ক তাৎক্ষণিকভাবে নিকোটিন মনে রাখে। এই ‘ট্রিগার’গুলি বারবার তৃষ্ণা তৈরি করে।

এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ধূমপান ত্যাগ করার জন্য কেবল ইচ্ছাশক্তিই নয়, সঠিক পরামর্শ, ওষুধ (যেমন নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি), কাউন্সেলিং এবং পারিবারিক সহায়তাও প্রয়োজন।

Read more:- মদ্যপান করার সাথে সাথেই ধূমপান করছেন? কত দ্রুত মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন জানেন?

যদি একজন ব্যক্তি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং সঠিক নির্দেশন পালন করতে পারেন, তাহলে তিনি এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করে এবং বিশেষজ্ঞের সাহায্যে ধূমপান ত্যাগ করা একেবারেই সম্ভব।

জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button