Screen Time Effect on Kids: আপনার বাচ্চাও কী হাতে ফোন না দিলে খেতে চায় না? বাচ্চাদের এই অভ্যাস কিন্তু তাদের মারাত্মক ক্ষতি করছে!
এই অভ্যাসটি শিশুদের মধ্যে এতটাই গভীরভাবে গেঁথে গেছে যে তারা মোবাইল ছাড়া খেতেই অস্বীকার করে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই অভ্যাসটি কেবল তাদের খিদেই নয়, তাদের স্বভাব এবং সামাজিক আচরণকেও প্রভাবিত করছে?
Screen Time Effect on Kids: মোবাইল দেখতে দেখতে খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিচ্ছে! বিস্তারিত জানুন
হাইলাইটস:
- বাচ্চাদের খাওয়া এখন খিদের সাথে নয়, বরং মোবাইলের স্ক্রিনের সাথে সম্পর্কিত একটি অভিজ্ঞতা
- এই অভ্যাসটি শিশুদের মধ্যে এতটাই গভীরভাবে গেঁথে গেছে যে তারা মোবাইল ছাড়া খেতেই অস্বীকার করে
- এই অভ্যাসটি কেবল শিশুদের খিদেই নয়, তাদের স্বভাব এবং সামাজিক আচরণকেও প্রভাবিত করছে
Screen Time Effect on Kids: মা, আগে আমাকে মোবাইলটা দাও, তারপর আমি খাবো!” এই বাক্যটি এখন প্রতিটি বাড়িতেই একটি সাধারণ গল্পে পরিণত হয়েছে। খাওয়া এখন স্বাদ এবং খিদের সাথে নয়, বরং মোবাইলের স্ক্রিনের সাথে সম্পর্কিত একটি অভিজ্ঞতা। যেখানে একসময় পরিবার একসাথে বসে খেতো আর কথা বলতো, এখন সবার চোখ জ্বলন্ত স্ক্রিনের দিকে। এই অভ্যাসটি শিশুদের মধ্যে এতটাই গভীরভাবে গেঁথে গেছে যে তারা মোবাইল ছাড়া খেতেই অস্বীকার করে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই অভ্যাসটি কেবল তাদের খিদেই নয়, তাদের স্বভাব এবং সামাজিক আচরণকেও প্রভাবিত করছে?
We’re now on WhatsApp – Click to join
শিশুরা কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে?
• মনোযোগের অভাব: ক্রমাগত স্ক্রিনের দিকে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস শিশুদের মনোযোগ হ্রাস করে।
• মানসিক ভারসাম্যহীনতা: তথ্য অনুসারে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের কারণে শিশুরা খিটখিটে এবং রাগী হয়ে ওঠে।
• সামাজিক দূরত্ব: মোবাইলের কারণে শিশুরা পরিবারের সাথে কথা বলতে আগ্রহী হয় না, যার কারণে তারা একাকী বোধ করতে শুরু করে।
শিশুদের আচরণের উপর প্রভাব
খাবারের সময় কেবল পুষ্টির জন্যই নয়, বরং মানসিক সংযোগের জন্যও সময়। যখন একটি শিশু মোবাইল দেখতে দেখতে খায়, তখন সে সেই সংযোগ থেকে দূরে সরে যায়। ধীরে ধীরে, এই অভ্যাস তাদের অটিস্টিক করে তোলে, যার কারণে তারা সমাজ এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। যখন কোনও কথাবার্তা হয় না, যখন অনুভূতিগুলি ভাগাভাগি করা হয় না, তখন শিশুদের মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতা তৈরি হতে শুরু করে, যা রাগ এবং একাকীত্বে পরিণত হতে পারে।
We’re now on Telegram – Click to join
বাবা-মায়ের কী করা উচিত?
ফোন ছাড়া খাবারের নিয়ম মেনে চলুন: খাওয়ার সময় মোবাইল ফোন এবং টিভি বন্ধ রাখুন।
নিজে খুব বেশি টিভি বা মোবাইল দেখবেন না: শিশুরা যা দেখে তাই শেখে। অতএব, আপনাকে নিজের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
খাবার সময়কে ইন্টারেক্টিভ করুন: গল্প বলুন, হালকা আলাপচারিতা করুন।
ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করুন: তাৎক্ষণিকভাবে থামবেন না, ধীরে ধীরে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন।
Read More:- শিশুদের ব্রেন টিউমার কেন হয়? এবিষয়ে চিকিৎসক কিছু প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ, প্রতিরোধের টিপস দিয়েছেন
শৈশবের এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলি ভবিষ্যতে শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠন করে। মোবাইলের সাহায্যে আপনার শিশুকে খাওয়ানো সহজ সমাধান বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এটি ধীরে ধীরে আপনার শিশুকে একাকী, বদমেজাজি এবং সামাজিকভাবে দুর্বল করে তুলছে। কারণ আজও পরিবর্তিত শৈশবকে লালন-পালনের দায়িত্ব বাবা-মায়ের উপর।
জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।