lifestyle

Infosys Work Life Balance: Infosys-এর প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির তোলপাড় করা বক্তব্যের পর, এই IT সংস্থায় ভারসাম্য নীতি কার্যকর করা হয়েছে, জেনে নিন বিস্তারিত

কিন্তু সম্প্রতি, Infosys-এর একটি অভ্যন্তরীণ প্রচারণায়, কর্মীদের কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজকের ব্যস্ত জীবনে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আবারও সামনে এসেছে।

Infosys Work Life Balance: নারায়ণ মূর্তি এক সময় IT সেক্টরে কর্মরত মানুষদের জন্য তোলপাড় করা একটি মন্তব্য করেছিলেন

হাইলাইটস:

  • উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কর্ম-জীবনের ভারসাম্য অপরিহার্য
  • কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে
  • তবে কাজের মাঝে বিরতি নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ

Infosys Work Life Balance: এক সময় Infosys-এর প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির ৭০ ঘন্টা কাজ করার কথা বলেছিলেন। একথা এখনও অবশ্য কেউ ভুলে যাননি। এমনিতেই Infosys ভারতের বৃহৎ IT কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। কিছুক্ষণ আগে এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন যে, তরুণদের সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ করা উচিত। এর পরে, কর্মজীবনের ভারসাম্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর বিতর্ক শুরু হয়।

We’re now on WhatsApp – Click to join

কিন্তু সম্প্রতি, Infosys-এর একটি অভ্যন্তরীণ প্রচারণায়, কর্মীদের কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজকের ব্যস্ত জীবনে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আবারও সামনে এসেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বজায় রাখার জন্য কিছু টিপস।

কর্মজীবনের ভারসাম্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

• আজকের দ্রুতগতির পৃথিবীতে, কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যেন সকলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, সময়সীমার চাপ এবং প্রযুক্তির কারণে, আমরা সর্বদা কাজের সাথে সংযুক্ত থাকি। এমন পরিস্থিতিতে, কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি আমাদের উৎপাদনশীলতা এবং সুখও বৃদ্ধি করে।

• ক্রমাগত কাজ করলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ভারসাম্য বজায় রেখে, আপনি এই সমস্যাগুলি কমাতে পারেন এবং আপনার মন ও শরীরকে বিশ্রাম দিতে পারেন।

We’re now on Telegram – Click to join

• যখন আমরা আমাদের পুরো সময় কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করি, তখন পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ কম থাকে। কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে, আমরা আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটাতে সক্ষম হই।

• কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখলে মনোযোগ এবং শক্তি উভয়ই বৃদ্ধি পায়। উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্য বিশ্রাম এবং বিনোদনের জন্য সময় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মজীবনের ভারসাম্য কীভাবে তৈরি করবেন?

• আপনার অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন – প্রথমত, আপনার জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা উচিত। কাজ, পরিবার, স্বাস্থ্য এবং শখের মধ্যে প্রতিটি জিনিসের জন্য কতটা সময় দেবেন তা পরিকল্পনা করুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট উন্নত করুন – সময়মতো কাজ শেষ করার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট স্কিল ব্যবহার করুন। একটি করণীয় তালিকা তৈরি করুন এবং প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি সম্পন্ন করুন।

কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটি সীমানা তৈরি করুন – বাড়িতে থাকাকালীনও কাজের ইমেল বা কলের উত্তর দেওয়া বন্ধ করুন। কাজের সময় ব্যক্তিগত সময় থেকে আলাদা রাখুন যাতে আপনি উভয় সময়ই পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন।

বিরতি নিন – কিছু সময়ের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার মন শান্ত হবে এবং আপনি পরিবার বা আপনার শখের জন্য সময় বের করতে পারবেন।

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন – নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য এবং সঠিক ঘুম অপরিহার্য। সুস্থ শরীর ও মন থাকলে আপনি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।

Read more:- সমস্ত ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করতে সুধা মূর্তি দ্বারা শীর্ষ ১০টি প্রেরণাদায়ক এবং অনুপ্রেরণামূলক উক্তি জেনে নিন

‘না’ বলতে শিখুন – যদি কোন কাজ আপনার সামর্থ্যের বাইরে হয় বা আপনার ব্যক্তিগত সময়কে প্রভাবিত করে, তাহলে বিনয়ের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করুন। আপনার সীমানা বুঝুন এবং সেগুলি বজায় রাখুন।

ছুটি কাটান এবং আরাম করুন – কাজের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বছরে কয়েকদিন ছুটি নিন এবং কোথাও যান অথবা আপনার পছন্দের কাজ করুন।

এই রকম জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button