Internet Addiction: আপনি কি ইন্টারনেটের নেশায় বুঁদ হয়ে আছেন? এখনই সাবধান না করলে বিপদ ঘনীভূত
Internet Addiction: ইন্টারনেটের নেশা এমন একটি নেশা যা মদ, গাঁজা কিংবা সিগারেটের নেশার থেকে কোনও অংশেই কম নয়
হাইলাইটস:
- এখন শুধুমাত্র মদ, গাঁজা কিংবা সিগারেট নয়, ইন্টারনেটের নেশাও বিপদ ডেকে আনে
- আর এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে একটা গোটা জেনারেশন
- সময় মতো সাবধান না হলে, পরবর্তীকালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়
Internet Addiction: বর্তমানে ইয়ং জেনারেশন মদ, গাঁজা কিংবা তামাকজাত দ্রব্য সেবনে এতবেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, স্বাস্থ্যের দিকটা চিন্তা করারও তাদের সময় নেই। আসলে কোনও কিছুর নেশাই শরীরের জন্য ভালো নয়। ঠিক তেমনই আরও একটি নেশা হল ইন্টারনেটের নেশা। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে এই নেশায় কোনও ক্ষতি নেই মনে হলেও এটি কিন্তু মদ কিংবা সিগারেটের নেশার থেকে কম ক্ষতিকর নয়।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ডিজিটাল যুগে আট থেকে আশি সকলেরই এখন প্ৰিয় জিনিস হল স্মার্ট ফোন। কারণ এখন এমন কোনও কাজ নেই, যা মোবাইলের সাহায্যে করা যায় না। গোটা পৃথিবীর খবর একমুহূর্তেই জানা যায় ফোনের সাহায্যে। তবে এই নেশায় একবার আসক্ত হয়ে পড়লে, এই জাল কেটে বেরোনো কিন্তু খুবই মুশকিল। দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কি ভাবে যে ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে কেটে যায়, তা জানাই যায় না। তাই বিপদ ঘনীভূত আগেই সাবধান হওয়া উচিত। কিন্তু কী ভাবে বুঝবেন, আপনি ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছেন?
দিনভর যে কাজে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, মন যদি ওই মোবাইলের উপরই পড়ে থাকে, তবে এক্ষুনি সতর্ক হতে হবে। কাজের ফাঁকে টুকটাক মোবাইলে কোনও ছবি কিংবা ভিডিও দেখা এক রকম, কিন্তু সারা দিনে যদি মোবাইল ঘাঁটাঘাটির চোটে আপনার কাজে কোনও গাফিলতি হয়, তবে সত্যিই তা চিন্তার বিষয়।
We’re now on Telegram – Click to join
আপনার মাথায় যদি ক্রমাগত চলতে থাকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কত জন লাইক করল বা কত জন দেখল, তবে ভেবে দেখুন তো একবার, এই সামান্য জিনিস নিয়ে আপনি যদি এত বেশি ভাবেন তবে কি তা স্বাভাবিক? আর যদি এই কারণে কোনও ভাবেই কাজে মন না বসে, কেবল মন পড়ে থাকে মোবাইলের দিকে, তবে বুঝবেন আপনার এটা একপ্রকার নেশা হয়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোরই আর সময় থাকে না কারও। আপনারও যদি বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দেওয়ার চেয়ে নেটদুনিয়া বেশি আকর্ষণ করে, তবে বুঝবেন আপনি পুরোপুরি ভাবেই ইন্টারনেট আসক্ত হয়ে গেছেন।
Read more:- মোবাইল আসক্তি শিশুদের স্বাস্থ্য নষ্ট করছে, এ ধরনের অভ্যাস ত্যাগ করুন, না হলে তারা বিষণ্নতার শিকার হবে
তাই বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই এই আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার সমাধান খুঁজে বের করুন। মোবাইল ছাড়া জীবন কাটানোর সুন্দর মুহূর্তগুলিকে গুরুত্ব দিন। একটু সময় পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান, একসঙ্গে সময় কাটান। পরিবারের সদস্যদের সাথেও সময় কাটাতে পারেন। পারলে দিনে বেশ কিছুটা সময় শরীরচর্চায় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, তবে অবশ্য তা মোবাইল দেখে নয়।
এইরকম জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।