Pregnancy Issues: রক্তের গ্রুপ গর্ভস্থ সন্তানের উপর কী প্রভাব ফেলে?

Pregnancy Issues: আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রক্তের গ্রুপ গর্ভস্থ শিশুর উপর প্রভাব ফেলে 

হাইলাইটস

  • RH ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা
  •  সমস্যাটা কী?
  • সমস্যার সমাধান কী?

Pregnancy Issues: গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মহিলাকেই নিজের শরীরের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। নইলে একাধিক জটিল অসুখ গোপনেই পিছু নিতে পারে। প্রতিটি মহিলার সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় বেশ কিছু জিনিস সঠিকভাবে মেনে চলা উচিত। সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে একটি যা দম্পতিদের সচেতন হওয়া উচিত। তাহলে কীভাবে রক্তের গ্রুপ গর্ভাবস্থার বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিভাবে রক্তের গ্রুপ শিশুর সমস্যা হতে পারে? সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

RH ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা:

রক্তের গ্রূপ পজিটিভ হবে নাকি নেগেটিভ হবে তা নির্ভর করছে আপনার রক্তের লোহিত কনিকায় Rh অ্যান্টিজেনের উপর। Rh অ্যান্টিজেন হল এক বিশেষ ধরণের প্রোটিন যা রক্তের লোহিত কনিকায় থাকে। যদি Rh অ্যান্টিজেন থাকে তবে আপনার রক্তের গ্রূপ হবে পজেটিভ আর যদি রক্তের গ্রূপ নেগেটিভ হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার লোহিত কনিকায় Rh অ্যান্টিজেন নাই।

তাহলে সমস্যাটা কী?

স্বামী ও স্ত্রীর রক্ত একই গ্রূপের হলে গর্ভধারণ করতে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু যদি স্বামীর রক্তের গ্রূপ পসিটিভ আর স্ত্রীর রক্তের গ্রূপ নেগেটিভ হয় সেক্ষেত্রে কখনও কখনও গর্ভধারণে সমস্যা হয়।যখন আরএইচ-পজিটিভ ভ্রূণের রক্ত মায়ের হল আরএইচ-নেগেটিভ রক্ত প্রবেশ করে তখন বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কারণ অ্যান্টিবডিগুলি ভ্রূণের রক্তকণিকাকে আক্রমণ করে নবজাতকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সমস্যার সমাধান কী?

আরএইচ ফ্যাক্টরের সমস্যা গুলো অনেক জটিল বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় অনেক উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। যদি মায়ের RH নেগেটিভ পাওয়া যায় তাহলে ২৮ সপ্তাহে ডাক্তাররা একটি আ্যান্টি-ডি ইঞ্জেকশন দেয়। এটা একধরনের ভ্যাক্সিন হিসেবে কাজ করে। এর ফলে মা’র শরীরে এন্টিবডি তৈরি বাধাগ্রস্থ হয়, কারণ এন্টিবডি নবজাতকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে বা ভবিষ্যত ভ্রুণকে আক্রান্ত করতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রেই Rh অসামঞ্জস্যতার কারণে ভ্রুণ বা বাচ্চার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে ।যদি কোন ঝুঁকি দেখা যায়, তখন ভ্রুণ বা নবজাতককে রক্ত দেয়ার দরকার হয়। বাচ্চার শরীর থেকে পজিটিভ রক্ত একদিকে বের করা হয় অন্যদিকে নেগেটিভ রক্ত প্রবেশ করানো হয়৷ একে এক্সচেইঞ্জ ট্রান্সফিউশন বলে।

এইরকম জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে থাকুন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.