Habits make You More Professional: ৫টি অভ্যাস যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে আরও পেশাদার করে তুলবে তা জেনে নিন
Habits make You More Professional: ৫টি অভ্যাস যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে আরও পেশাদার হতে সাহায্য করবে
হাইলাইটস:
- সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা একটু কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- আজকাল কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে, আমরা একে অপরের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আছি।
- আমরা আমাদের সিনিয়রদের সাথেও মেমে এবং কৌতুক শেয়ার করি, কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি স্বাস্থ্যকর অনুশীলন নয়।
Habits make You More Professional: সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা একটু কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে, আমরা একে অপরের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আছি, এবং আমরা আমাদের সিনিয়রদের সাথেও মেমে এবং কৌতুক শেয়ার করি, কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি স্বাস্থ্যকর অনুশীলন নয়। অনেক সময় এটি কিছু বিশ্রী পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া কাজের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করছে এবং মানুষকে অপ্রফেশনাল করে তুলছে। আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি জানি কিন্তু সবকিছুর বাড়াবাড়ি খারাপ। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা, তারপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেটে ফেলা অসম্ভবের পাশে। এটি ছাড়াও, অনেক সময় আমাদের আরও পেশাদার হওয়ার জন্য কয়েকটি অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন এবং আপনার সমস্ত প্রচেষ্টা রাখেন, তারপরও উজ্জ্বল না হন, তাহলে আপনার আচরণ একটি সমস্যা হতে পারে। এখানে ৫টি অভ্যাস রয়েছে যা আপনাকে আরও পেশাদার করে তুলতে পারে।
১. কর্মক্ষেত্রে ‘বিএফএফ’ নেই:
আপনি আপনার সহকর্মীর সাথে সত্যিই একটি উষ্ণ বন্ধন ভাগ করে নিতে পারেন তবে আপনার তার সাথে আপনার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সত্যিই কাউকে পছন্দ করতে পারেন এবং তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন কিন্তু যখন কর্মক্ষেত্রে আসে, আপনি জানেন কিভাবে পৃথিবী কাজ করে। সুতরাং, আপনার গোপনীয়তা নিজের কাছেই রাখুন। তাদের প্রকাশ করবেন না। সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হোন কিন্তু বাড়াবাড়ি করবেন না।
২. কোন গভীর রাতে কথোপকথন:
এটি কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের জন্য। কাজের সময়ের পরে কোনও কাজ-সম্পর্কিত কথোপকথন করা উচিত নয়। নির্দেশনা দেওয়া (বস) কাজের সময়ের পরে অনুমোদনের জন্য জিজ্ঞাসা করা পেশাদার নয়। সুতরাং, এটি একটি অভ্যাস করুন। একটি টেক্সট ড্রপ করবেন না যতক্ষণ না এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ না হয়।
৩. শুধু অফিসে ক্ষোভ ছেড়ে দিন, ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না:
আপনাকে বুঝতে হবে যে সবাই এখানে কাজ করতে এসেছে। আপনার বেতন বাড়িতে নিয়ে যান, ক্ষোভ নয়। অফিস থেকে বের হয়ে গেলে, আলোচনা করা বন্ধ করুন। সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। নিশ্চিত করুন যে আপনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং আপনার কাজে আপনার ১০০ শতাংশ দিতে পারেন।
৪. স্ব-বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ:
অন্যের দোষ খোঁজা বন্ধ করুন। একটি সহজ সূত্র আছে- “আপনি যদি চান যে লোকেরা আপনাকে সম্মান করবে, তবে প্রথমে আপনাকে অন্যকে সম্মান করতে হবে।” এটা একটা গিভ অ্যান্ড টেক ফর্মুলা। আপনার ভুল সংশোধন করুন এবং অফিসের সকল বিষয়ে নাক গলানোর বন্ধ করুন। এটি আপনাকে পেশাদার করে তুলবে এবং আপনাকে উৎপাদনশীলও করে তুলবে।
৫. ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়:
এটি সর্বাগ্রে নিয়ম হওয়া উচিত। কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। আপনি সেখানে যাচ্ছেন কাজ করার জন্য আপনার শ্বশুরবাড়ির সাথে আপনার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য নয়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা আপনার ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। মানুষ একটি বিশেষ ধারণা গঠন করতে পারেন।
এইরকম জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে থাকুন।