lifestyle

Frizzy Hair: আপনি যদি চুলের রুক্ষতা নিয়ে বিরক্ত হন তাহলে আজ থেকে এই টিপসটি অনুসরণ করুন, চুল হয়ে উঠবে সিল্কি ও মসৃণ।

Frizzy Hair: আমরা আপনাকে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার বলতে যাচ্ছি যেগুলি অবলম্বন করে আপনি এই ফ্রিজি চুল থেকে মুক্তি পেতে পারেন

হাইলাইটস:

  • কুঁচকে যাওয়া চুলের জন্য এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি গ্রহণ করুন
  • মাইক্রো ফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন
  • অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা ভুল

Frizzy Hair: সুন্দর দেখতে ত্বকের পাশাপাশি চুলকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। শীত এলেই শুধু শুষ্ক ত্বকই নয়, ঝরঝরে চুলের সমস্যাও আমাদের সমস্যায় ফেলে দেয়। ঠাণ্ডা বাতাস এবং ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে মাথার ত্বকে ময়লা জমতে শুরু করে, যার কারণে খুশকি জমতে শুরু করে এবং চুল শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের যত্নের রুটিনও বদলাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে শীতে চুলের যত্ন নিতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-

কুঁচকে যাওয়া চুলের জন্য এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি গ্রহণ করুন

কলা এবং দই

চুলের ঝিলিক দূর করতে কলা ও দইয়ের এই হেয়ার মাস্ক চুলে লাগাতে পারেন। হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে একটি পাত্রে দই নিয়ে তাতে কলা, অলিভ অয়েল এবং ২ চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই হেয়ার মাস্কটি আধা ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝলমলে করতে সাহায্য করে এবং চুলের শুষ্কতা দূর করে।

নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই

একটি পাত্রে নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৪০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বা দুবার এভাবে চুলে তেল লাগালে চুলের গভীর কন্ডিশনিং হয়।

আপেল ভিনেগার

চুল সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খুবই উপকারী। এছাড়া চুলের ঝিমুনি ভাব কমায়। এক-তৃতীয়াংশ কাপ আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে চুল ধুলে চুলের আগা ফাটা ভাব দূর হয়। আপেল সিডার ভিনেগারে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ঝিঁঝিঁ দূর করতে কার্যকর।

দই এবং মধু

একটি পাত্রে ৩ চামচ দই নিয়ে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই প্রস্তুত হেয়ার মাস্কটি চুলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর ধুয়ে পরিষ্কার করুন। দই ও মধুর এই হেয়ার মাস্ক দিয়ে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার হয় এবং গঠন ভালো হয়।

ডিম এবং অলিভ অয়েল

এই হেয়ার মাস্ক দিয়ে ফ্রিজি চুলকেও নরম করা যায়। একটি ডিম নিন এবং তাতে এক চামচ অলিভ অয়েল মেশান। এই মাস্কটি চুলে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রাখুন এবং তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। ডিমের উচ্চ প্রোটিন কন্টেন্ট কুঁচকে যাওয়া দূর করে।

কন্ডিশনার ব্যবহার করুন

আপনার চুলের কোঁকড়ানো কমাতে, শ্যাম্পু করার পরে লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার চুলকে মসৃণ ও নরম করতেও সাহায্য করে। এটি আপনার চুলের আর্দ্রতা আটকে রাখবে এবং এটি ঝরঝরে হওয়া থেকে রোধ করবে।

আপনার বালিশের কেস পরিবর্তন করুন

রাতে ঘুমানোর সময় চুল এবং বালিশের মধ্যে ঘর্ষণ তৈরি হয়, যার কারণে চুল ঝরঝরে হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার নিয়মিত বালিশের কভারের পরিবর্তে সিল্কের কভার ব্যবহার করুন। এতে ঘর্ষণ কমে যায় এবং চুল রুক্ষ হয়ে যায় না।

রক্ষাকারী স্প্রে ব্যবহার করুন

চুলের স্টাইল বা শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়, যার কারণে গরম বাতাস বের হয়ে চুলকে শুষ্ক করে। যার কারণে ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়। অতএব, স্টাইলিং সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করার আগে সর্বদা তাপ রক্ষাকারী স্প্রে ব্যবহার করুন।

মাইক্রো ফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন

চুল শুকাতে মাইক্রো ফাইবার ব্যবহার করুন। মাইক্রোফাইবার তোয়ালে চুলের উপর কঠোর না হওয়ার জন্য যথেষ্ট নরম। অতএব, আপনার চুল শুকানোর জন্য এই তোয়ালে ব্যবহার করে ঝরঝরে ভাব কমাতে পারে।

We’re now on WhatsApp- Click to join

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা ভুল

গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীর ও চুলের আর্দ্রতা দূর হয়। এমন অবস্থায় ত্বক ও চুল দুটোই শুষ্ক হয়ে যায়। অতএব, একজনকে হালকা গরম জলে স্নান করা উচিত এবং তাও কেবল ৭ থেকে ৮ মিনিটের জন্য। স্নানে বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়।

প্রতিদিন চুল ধুবেন না

শীতের মৌসুমে প্রতিদিন চুল ধোয়ার ফলে চুল থেকে প্রাকৃতিক তেল দূর হয়, যার কারণে আপনার চুল শুষ্ক ও ঝরঝরে হয়ে যায়, তাই শীতকালে সপ্তাহে মাত্র দুইবার চুল ধোয়া উচিত।

এইরকম আরও জীবনধারার প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button