Food For Child Brain Development: সন্তানের বুদ্ধি বাড়াতে তার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫টি পুষ্টিকর খাবার
Food for child brain development: মস্তিষ্কের বিকাশ বাড়াতে সাহায্য করে এই ৫টি খাবার
হাইলাইটস:
• শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ
• তাই অভিভাবকদের সঠিক খাদ্যতালিকা বানানো জরুরি
• মস্তিষ্কের বিকাশে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করা খাবারগুলি দেখে নিন
Food For Child Brain Development: সুস্থ, সবল এবং বুদ্ধিমান সন্তান সকল বাবা-মাই চান। তাই তো সন্তানের বুদ্ধির ধার বাড়াতে কোনও কিছুর ত্রুটি রাখেন না তারা। তবে আপনার সন্তানের মেধা কিছুটা জিনগত। সঙ্গে কিছু খাবারও (Food For Child Brain Development) আছে যা মেধার বিকাশে যথাযথভাবে সাহায্য করে। তাই সন্তানের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার উপর বিশেষ নজর রাখতে হয় বাবা-মাকেই। সন্তানের যত বেশি বুদ্ধি হবে, ততো গর্বিত হবে তার বাবা-মা। কারণ সন্তানের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির জন্য সে প্রসিদ্ধ হোক, জীবনে অনেক বড়ো হোক, ভবিষ্যতে মানুষের মতো মানুষ হোক এটাই তো সব অভিভাবকের মনের কোণের সুপ্ত বাসনা। তারা তো সন্তানের সাফল্য দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, বাচ্চাদের ছোটবেলাতেই ব্রেনের ডেভলপমেন্ট দ্রুত গতিতে হতে থাকে। আর এই সময় অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনওভাবেই তার পুষ্টির ঘাটতি না থাকে। কারণ পুষ্টির ঘাটতি হলে তা মস্তিষ্কের বিকাশের উপরও আঘাত হানতে পারে। এখানে উল্লিখিত এই ৫টি পুষ্টিকর খাবার যদি আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকায় যোগ করেন তবে তার ব্রেনের বিকাশ হবে দ্রুত গতিতে। কারণ সন্তানের বুদ্ধি বাড়াতে চাইলে সঠিক খাদ্যতালিকা বাছাই করা একান্ত জরুরি। একটা দিক দিয়ে মঙ্গল, সন্তানের বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবারগুলি আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে। তাহলে আর কী, আমাদের দেওয়া তালিকাটি দেখে ঝটপট আপনার সন্তানের জন্য একটি ডায়েট চার্ট বানিয়ে ফেলুন। আর যা যা খাবার রাখবেন তাতে, সেগুলি দেখে নিন –
১. পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সবজি:
বাচ্চারা সাধারণত শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে না। তারা শাক-সবজি দেখলেই একশো হাত দূরে পালায়। কিন্তু সন্তানের ভালো চাইলে যেন তেন প্রকারে তাদের এই খাবারে অভ্যস্ত করে তুলতেই হবে। আপনার বাচ্চা যদি শাক-সবজি এমনি খেতে না চায় তবে স্মুদি বানিয়ে দিতে পারেন। অথবা পাস্তা বা চিকেন বানাতে পালং শাক ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি আয়রন ও ফোলেটের দুর্দান্ত উৎস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে বাচ্চারা খাবারে বেশি পরিমাণ ফোলেট পায় তাদের বুদ্ধি অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় বেশি হয়। তাই নিয়মিত বাচ্চাকে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া অভ্যাস করান। এতে তার বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
২. মাছ:
অনেক বাচ্চা আছে যাদের মাছ একেবারে অপছন্দ। তবে সন্তান একটু বড় হলেই তাকে মাছ খাওয়া শেখান। যার ফলে শিশুর পুষ্টিতে কোনওপ্রকার ঘাটতি হবে না। কারণ মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। রুই-কাতলা-মাগুরের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ, যেমন- স্যালমন, সার্ডিন, টুনা ইত্যাদি মাছও খাওয়াতে পারেন। কারণ এই সামুদ্রিক মাছগুলি পাওয়া যায় প্রোটিন, জিঙ্ক, আয়রন, কোলিন, আয়োডিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আপনার সন্তানের বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে প্রধান ভূমিকা নেয়। তবে ৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ৩০ গ্রামের মতো সামুদ্রিক খাবার দেওয়া যেতে পারে।
৩. বাদাম:
বাদাম সাধারণত প্রোটিন এবং জিঙ্ক-প্যাকড স্ন্যাক্স হিসেবে পরিচিত। প্রোটিন সুস্থ মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতির বিকাশে অবদান রাখে। শিশু বয়সে যখন মস্তিষ্ক দ্রুত বৃদ্ধি পায় তখন জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিঙ্ক আপনার সন্তানের জ্ঞানীয় বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই আপনার সন্তানের প্রতিদিনের স্ন্যাকসে বাদাম রাখতে ভুলবেন না। অন্যদিকে এতে অতিরিক্ত পরিমানে থাকে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ এবং সামান্য পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ফলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এমনকী তার নার্ভাস সিস্টেমও সঠিকভাবে কাজ করে। বাদামগুলি মধ্যে রয়েছে – আমন্ড, ওয়ালনাট ইত্যাদি। তবে বাচ্চাকে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়াবেন না, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪. ডিম:
সব থেকে সস্তা একটি পুষ্টিকর সুপারফুড হল ডিম। বাচ্চার খাবারে ডিমের উপযোগিতার কোনও তুলনা হয় না। সুষম খাদ্য হিসাবেও নিয়মিত ডিম খেতে বলেন বহু পুষ্টিবিদই। সাধারণত ছোট বাচ্চারাও ডিম খেতে খুব পছন্দ করে। ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন। বিশেষ করে ডিমে থাকে ‘কোলিন’ নামের একটি উপাদান। এই কোলিন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুকে নিয়মিত ডিম খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাদের ডিম সেদ্ধ অথবা হাফ বয়েল, অমলেট অথবা পোচ বানিয়ে দিন। বিশেষ করে ডিমের পোচ খেতে খুবই ভালোবাসে বাচ্চারা।
৫. টক দই:
টক দই শিশুদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কোলিন এবং আয়োডিনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শিশুদের থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে আয়োডিন প্রয়োজন, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্নায়বিক প্রক্রিয়ার জন্যও অত্যাবশ্যক। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, হালকা আয়োডিনের ঘাটতিও শিশুর যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। বিশেষত দইয়ে থাকা ক্যালসিয়ামও ব্রেনের টিস্যুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং এর কার্যকারিতা উন্নত করে।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।