lifestyle

Careless Wife: আপনার অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণ কী আপনার স্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ? তবে আমাদের দেওয়া এই ৫টি কৌশলে আপনার স্ত্রীর এই বদভ্যাসের পরিবর্তন করা সম্ভব

প্ৰতিটি বৈবাহিক সম্পর্কেই উত্থান-পতন থাকে। কারণ সুখ-দুঃখ নিয়েই আমাদের জীবন। প্রতিটি দম্পতিকেই নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

Careless Wife: একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন মহিলার সাথে জীবন কাটানো মোটেও সহজ কাজ না

হাইলাইটস:

• সম্পর্ক খারাপ হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারোর একজনের গাফিলতিতে

• এক্ষেত্রে স্ত্রী যদি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ তবে দাম্পত্য জীবনে অন্ধকার নেমে আসে

• সুতরাং স্ত্রীর আচরণের পরিবর্তনের জন্য আমাদের দেওয়া টিপসগুলি ফলো করুন

Careless Wife: প্ৰতিটি বৈবাহিক সম্পর্কেই উত্থান-পতন থাকে। কারণ সুখ-দুঃখ নিয়েই আমাদের জীবন। প্রতিটি দম্পতিকেই নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বিবাহিত জীবনে প্রতিপদে যেন নানা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসে। সেই ঝড়কে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারলেই বিবাহিত জীবন সুখের হয়। তবে হ্যাঁ, একটি বিবাহকে কার্যকর করার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ের কাছ থেকেই সমান প্রচেষ্টা দরকার। কারণ বিবাহিত জীবনকে দাড়িপাল্লার সঙ্গে তুলনা করা যায়। দুই পাল্লায় মোটামুটি সমান ওজন থাকলে ভারসাম্য বজায় থাকে। আর ওজনের ফারাক হলেই সম্পর্কেও জটিলতা তৈরি হয়। দাম্পত্য জীবনেও সমস্ত দায়িত্ব, কর্তব্য দুজনকেই সে সাথেই মেটাতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্ত্রী দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মতো আচরণ করেন। মানে সে অত্যন্ত কেয়ারলেস একজন মহিলা। তখনই শুরু হয় সংসারে অশান্তি। কারণ স্বামীর একার পক্ষে সব দিক সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। আপনার স্ত্রীও যদি এইরকম কেয়ারলেস হন, তবে আপনাদের দেওয়া টিপসগুলি ফলো করুন, অনেক বেশি উপকৃত হবেন। দেখে নিন টিপসগুলি –

১. দায়িত্ব থেকে এড়িয়ে যেতে দেবেন না:​

আপনার স্ত্রী ঠিক মতো সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব করেন না, এই বলে যদি আপনি তাকে দায়িত্ব না দেন তবে সে বুঝবে কী করে দায়িত্ববোধ কী জিনিস? কারণ দায়িত্ববোধ জানাটা যে খুবই দরকার। তিনি যতই ভুল করুন তাও তাকে দায়িত্ব দিন। কারণ ভুল করতে করতেই মানুষ শেখে। আপনার স্ত্রীও একদিন ঠিকই শিখে যাবে দায়িত্ববোধ কী জিনিস। তখন থেকে আপনাদের বৈবাহিক জীবনের আলোর রশ্মি ফিরে আসবে।

২. স্ত্রীর উপর বিশ্বাস রাখুন:

যে কোনও দায়িত্ব দেওয়ার পর তার মনোবল বাড়ানোর জন্য আপনাকেই যে তার বড্ড বেশি দরকার। জীবনসঙ্গী তো আর এমনি এমনি বলে না। বিয়ের সময় সাত পাক ঘোরার সময় আমরা তো শপথ নিই, সারাজীবন একে অপরের সুখ-দুঃখে, বিপদে-আপদে পাশে থাকবো। এক্ষেত্রেও আপনাকে তার পাশেই থাকতে হবে। তাই নিজের মনকে শক্ত করে তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আপনি তার থেকে অনেক বেশি পরিপক্ক ফলে দায়িত্ব সামলে নেওয়ার যে রোডম্যাপ তা স্ত্রীকে ভালো করে বুঝিয়ে দিন। এই কাজটি আপনি ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না। আপনি যদি তার পাশে থাকেন তবে তিনিও খুব সহজেই নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

৩. সবসময় স্ত্রীর পাশে থাকুন:

আমরা ছোট থেকেই শুনি ভুল করতে করতেই মানুষ শেখে। এখানেও এই যুক্তিটিই কাজে লাগবে। স্ত্রী ভুল করছে বলে যে আপনি তাকে তিরস্কার করবেন তা তো ঠিক নয়। বরং সবসময় ছায়ার মতো তার পাশে থাকুন। আপনি তার স্বামী, আপনি কোনওদিনই কোনও দায়িত্ব দিয়ে তাকে মাঝ সমুদ্রে একা ছেড়ে দেবেন না। আপনিই তো তাকে বলবেন, তার কোথায় ভুল হচ্ছে, দায়িত্ববোধ অথবা কর্তব্যবোধে গাফিলতির কারণটাই বা কী? তাকে ভালো করে বিষয়টি বলুন আসা করি তিনিও বুঝতে পারবেন। তার সাথে আচরণেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।

৪. অতিরিক্ত কাজের ভার হিতে বিপরীত হতে পারে:

উন্নত সমাজ ব্যবস্থা প্রায় প্রতিটি মহিলাই এখন স্বনির্ভর। তারা একা হাতে সংসার এবং নিজের পেশা দুই সামলাছেন। এইরকম পরিস্থিতিতে যদি আপনি অতিরিক্ত কোনও দায়িত্ব তার কাঁধে চাপিয়ে দেন তবে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ এত বেশি চাপ তিনি নিতে না পেরে ভিতর থেকে ভেঙে যেতে পারেন। তাই আপনার উচিত নতুন কোনও দায়িত্ব দেওয়ার আগে স্ত্রীর মানসিক পরিস্থিতির কথা জেনে তারপরই দায়িত্ব দিন। এতে আপনার দাম্পত্য জীবনের মঙ্গল হবে।

৫. ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন:

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ঠান্ডা মাথায় বসে আলোচনা অনেক ভাঙা সম্পর্কেও নতুন করে জোড়া লাগায়। তাই যেকোনও বিষয়ে ঠান্ডা মাথায় বসে আলোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনারা কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে আছেন তখন কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাকে পরিষ্কার করে বলুন তার এইরকম আচরণের কারণে আপনাদের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাকে ভালো করে বোঝান তার এইরকম আচরণের আপনি ভিতরে ভিতরে ভেঙে যাচ্ছেন। ফলে তাকে বলুন তার এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ থেকে নিজেকে বের করে আনতে। আশা করছি, এইভাবে বোঝালে আপনার স্ত্রী ঠিকই বুঝতে পারবেন। দেখবেন, সে তখন নিজে থেকেই তার আচরণে বদল আনবেন। যার ফলে আপনাদের দাম্পত্য জীবনেও সুখ ফিরে আসবে।

এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button