Body Odor Remedies: ঘামের কারণে গা থেকে কি ভয়ানক দুর্গন্ধ ছাড়ে? চিন্তা নেই, এই ৪ ঘরোয়া টোটকায় করুন মুশকিল আসান
Body Odor Remedies: অনেকের শরীরেই ঘামের কারণে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ বের হয়
হাইলাইটস:
- বর্ষাকাল এসে গেলেও বাইরে বেরোলেই গলদঘর্ম অবস্থা প্রায় সকলের
- তবে অনেকের আবার ঘামের কারণে গা দিয়ে দুর্গন্ধও বের হয়
- আপনি যদি এই সমস্যার সমাধান করতে চান, তবে জেনে নিন ঘরোয়া টোটকাগুলি
Body Odor Remedies: এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার ফলে ঘাম থেকে এখনই নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়। মাঝেমধ্যে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়লেও বাইরে বেরোলেই গলদঘর্ম অবস্থা প্রায় সকলের। আর যারা বাসে-ট্রামে ঘেমে নেয়ে অফিস কিংবা কলেজে যান, তাঁদের হাল আরও বেশি খারাপ। সেই সঙ্গে অনেকের আবার ঘামের কারণে গা দিয়ে দুর্গন্ধও বের হয়। যার ফলে তাঁরা হীনমন্যতায় ভোগেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
তবে জেনে রাখা ভালো যে, ঘাম হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যখন শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায় তখন শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে এই ঘাম। ঘামের কিন্তু নিজস্ব কোনও গন্ধ নেই। শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া যখন ঘামের সংস্পর্শে আসে তখনই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তবে এত চিন্তা করার কারণ নেই। গায়ের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখুন কিছু ঘরোয়া টোটকাও উপর। জেনে নিন বিস্তারিত –
নিয়মিত স্নান করুন
আপনি যখনই গায়ে ঘাম জমতে দেবেন তখনই সেখানে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি হবে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই গা দিয়ে দুর্গন্ধ বের হবেই। তাই সবসময় নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই জন্যই দিনে একবার হলেও স্নান করতে হবে। তবে আপনি যদি অফিস যাওয়ার আগে স্নান করে নেন, তবে ঘেমে নেয়ে বাড়ি ফিরে অবশ্যই একবার গা ধুয়ে ফেলুন। এদিকে স্নানের সময় যদি অ্যান্টিসেপটিক সাবান ব্যবহার করেন তবে তৎক্ষণাৎ ব্যাকটেরিয়া নিমেষে দূরে পালাবে।
We’re now on Telegram – Click to join
এই টোটকাও কাজে আসতে পারে
মূলত প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে পাতিলেবু। কারণ এর রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণও। আর এসব গুণের জন্যই লেবু একনিমেষে ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করতে পারে। এদিকে লেবুর অ্যাসিডিক গুণও ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি রুখে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই ঘরে যদি লেবু থাকে তবে তা দিয়েই গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পারেন।
এর জন্য প্রথমে একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে নিয়ে তা বগলে তা ঘষে নিন। এতে ঘামও কম হবে এবং ব্যাকটেরিয়াও দূর হবে।
ডায়েটে রাখুন এই বীজের জল
শরীর থেকে যদি সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়, তবে গায়ের দুর্গন্ধ অনেকটাই কমে যায়। এর জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চুুমুক দিতে হবে মেথির দানা ভেজানো জলে। এই একচুমুকেই শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে সমস্ত টক্সিন। এছাড়াও এর রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও। আর এই গুণ থাকার জন্য কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন মাথাচাড়া দিতে পারবে না। তাই একেবারে গোড়া থেকে গায়ে দুর্গন্ধের সমস্যাও দূর হবে।
এর জন্য আগের দিন রাতে এক গ্লাস জলে ২ টেবিল চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ছেঁকে পান করুন। এছাড়াও ২৫০ মিলি জলে ১ চা চামচ মেথি দানা ফুটিয়ে এর চা-ও পান করতে পারেন। তাতেও উপকার মিলবে।
নিমের পেস্টও দুর্দান্ত কাজে আসবে
নিম পাতার ঔষধি গুণ সম্পর্কে আর নতুন করে কিছুর বলার নেই। তাই তো যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদেও এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ। তাই এই ভেষজ শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ নিম পাতার গুণে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করতে পারবে না।
Read more:- এই বর্ষাকালে পায়ে চুলকানির সমস্যায় জেরবার? পায়ের সংক্রমণ এড়াতে মেনে চলুন এই ৪ টিপস
এর জন্য স্নানের আগে ৫-৬টি নিম পাতা বেটে বগলে লাগান। তারপর ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে স্নানের সময় ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও নিম পাতা ফোটানো জলেও আপনি স্নান করতে পারেন। তাতেও সুফল মিলবে।
এইরকম বিউটি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।