lifestyle

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পর বিপদ সংকেতগুলি জেনে নিন

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট আপনার জীবনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে

প্রাচীনকাল থেকে পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই চুল একটি মূল্যবান জিনিস। বাহ্যিক রূপই তাদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়, একথা কিছুটা হলেও সত্য। ভারতীয় বস্তুবাদী সমাজে পুরুষরাও বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে বিচার্য হয়ে ওঠেন কোনও কোনও সময়। বিশেষ করে কোনও পুরুষের টাক থাকলে তাকে কর্মক্ষেত্র হোক বা বন্ধুমহল, বারবার টাক নিয়ে পরিহাসের শিকার হতে হয়। তাছাড়া পরিবর্তনশীল ভারতীয় সমাজে আজকাল একজন ব্যক্তির জ্ঞানবুদ্ধির চাইতেও বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং দৃষ্টিনন্দন উপস্থিতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। তার উপর চুল পড়া এক বিরাট সমস্যা। চুল মানুষের মনের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ মাথা ভর্তি চুল ঘন চুল আমরা সবাই পছন্দ করি। ফলে চুল পড়া আমাদের সমস্যার সৃষ্টি করে। এইরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমরা কী করবো বুঝতে পারি না। অনেক ঘরোয়া টোটকা, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়েও কাজ হয় না কিছু। তখন আমরা বাধ্য হয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করানোর সিদ্ধান্তে উপনীত হই। এই সার্জারির বিপদ সংকেত নিয়েই আজ আমরা হাজির হয়েছি। একনজরে দেখে নিন-

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত:

চুল পড়া বা অ্যালোপেশিয়ার অনেকরকম চিকিৎসা রয়েছে। অ্যালোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথি দুই চিকিৎসাই হয়। নানা ধরনের ওষুধ, শ্যাম্পু ইত্যাদি দেওয়া হয়। সেই সব পদ্ধতিতে সাড়া না পেলে মানুষের কাছে তখন আর কোনও বিকল্প থাকে না। কারণ চুল সবার কাছেই অত্যন্ত প্রিয় একটি জিনিস। মানুষএই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ঝোঁকের বশে এসে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

নতুন চুল গজানোর সময়:

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করার পর নতুন চুল গজাতে একটু সময় লাগে। এবার সব মানুষের এক সময় লাগে না। একজনের বেশি সময় লাগলে আরেকজনের সময় লাগবে কম। প্রায় ৩ মাস পর আপনি ফলাফল বুঝতে পারবেন। ধৈর্য হারিয়ে ফেললে চলবে না। নিজের মনকে স্থির রাখুন, ফলাফল হাতেনাতেই পাবেন।

এই সার্জারির পর কী কী বিপদ হতে পারে?

প্রথমে আমাদের জানা উচিত অ্যালোপেশিয়া হওয়ার আসল কারণটি কী? কারণ কিছু কিছু অ্যালোপেশিয়ায় কাজ করে না এই পদ্ধতি। আবার ডায়াবিটিস, ব্লাড প্রেশার, হেপাটাইটিস B, C সহ অন্যান্য রক্তবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অন্য বিপদগুলি হল-

•সার্জারির জায়গাটিতে সংক্রমণ হতে পারে। জায়গাটি যদি পরিষ্কার না করা হয় তবেই এইরকম সমস্যা হয়।

•সার্জারির পর রক্তপাত হওয়া শুভ লক্ষণ না।

•আপনি যদি সুগার বেশি থাকলে তবে এই সার্জারি করানোর কথা ভুলেও ভাববেন না।

•সার্জারির জায়গাটি একটু ব্যথা হবে ফলে জায়গাটি ফুলে যেতে পারে।

সার্জারি না করিয়ে বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করুন:

এখনকার দিনে নানা ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম পাওয়া যায় বাজারে। হেয়ার প্যাচ বা হেয়ার এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি খুব কার্যকরী। তাই সার্জারির দিকে প্রথমেই না গিয়ে আগে বিকল্প পথ খুঁজুন। তারপরও কাজ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button