শীতকালে খাঁটি ঘি খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা দূর হয়
খাঁটি ঘিয়ের স্বাস্থ্যকর গুনগুলি জেনে নিন
এখন চলছে ডিসেম্বরের মাঝামঝি সপ্তাহ, আর আমরা প্রায় সবাই শীতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছি। এই মরসুমে সুস্থ থাকার জন্য গরম পোশাক থেকে শুরু করে ঘর গরম রাখার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে ফেলেছি। এইসবের সাথে আমাদের খাদ্যতালিকাউপরও নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের খাদ্যতালিকায় এমন সব খাবার আমাদের রাখতে হবে যেগুলি শীতের সময় শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখে। শীতকালে খাদ্যতালিকায় খাঁটি ঘি রাখা ভালো বলে মনে করেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘি আমাদের শীতের নানারকম সমস্যা দূর করতে অনেকাংশে সাহায্য করে। ঘি-তে প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য উভয়ই রয়েছে, যা কাশি এবং সর্দি নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
বিভিন্ন পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ানরা এই ঠান্ডায় ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ঘি স্বাস্থ্যকর গুনে ভরপুর এবং আমাদের শরীরকেও গরম রাখে। তবে এটি সেবন করতে হবে সঠিক উপায়ে। আমরা আপনাদের গনেশ ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
কী কী উপায়ে ঘি সেবন করা হয়?
খাদ্যতালিকায় সবসময়ই আপনি ঘি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কিন্তু শীতকালে এটি বাড়তি উপকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
•আপনার রুটির উপর একটুখানি ঘি ছড়িয়ে নিন, দেখবেন রুটির স্বাদ বাড়বে এবং রুটিও নরম থাকবে।
•শীতকালে নিরামিষ রান্নায় পরিশোধিত তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করে দেখবেন স্বাদে ভরপুর মনে হবে।
•সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর শাকগুলিকে একটু ঘি দিয়ে ভেজে নিতে পারেন।
•বেকিং করা হয় যে রেসিপিগুলিতে সেখানে মাখনের বিকল্প হিসেবে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে।
•ঘি দিয়ে আপনি বাড়িতে তৈরি পপকর্ন, কেক ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন।
শীতকালে ঘিয়ের স্বাস্থ্যকর গুনগুলি হল:
সর্দি-কাশি থেকে দূরে রাখে: পুষ্টিবিদদের মতে, ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কাশি এবং সর্দির চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা নেয়। খাঁটি গরুর দুধের ঘি কয়েক ফোঁটা নাকে দিলে তাৎক্ষণিক সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতকালে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে: পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালে ঘি শরীরেকে ভিতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করে। ঘি ঠান্ডা আবহাওয়ার রান্নার জন্য আদর্শ একটি উপাদান। এটির নিজস্ব একটি স্বতন্ত্র স্বাদও রয়েছে যা যে কোনও খাবারের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনি রুটির মধ্যে একটু দিয়ে খেতে পারেন। আবার সবজির তরকারি বা ডালে দিয়েও খেতে পারেন। যেকোনও রান্নায় ঘিয়ের স্বাদ পেলেই সেই খাবার অমৃত লাগে।
ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে: ঘি শুধুমাত্র খাবার বা স্বাদ বাড়াতে নয়, এটি আমাদের ত্বকের ময়েশ্চারাইজ করতেও সাহায্য করে। এটি ত্বকে লাগালে এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ঘি অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাট দ্বারা গঠিত যা ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। এটি শুষ্ক মাথার ত্বক এবং চুল ময়েশ্চারাইজ করতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
অন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং হজমশক্তি উন্নত করে: পুষ্টিবিদের মতে, ঘিতে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান, যা আমাদের অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ঘি খেলে হজমের সমস্যা কিছুটা চলে যায়। আপনার রুটিতে এক চামচ ঘি যোগ করলে শুধু রুটি নরম হয় না, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।